প্রথম পর্বটা দেখে নিন এখানে
দ্বিতীয় পর্ব আবার এখানে
পোষ্টটা ছিল এ বছরের ফেব্রুয়ারির,২০১২, অনেক কষ্টে সত্য উদঘাটন করে আজ আপডেট দিলাম...
আপডেট অংশঃ
"তোরা যে যা বলিশ ভাই আমার সোনার হরিণ চাই"
এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ছেলেটি সব ক্ষমা করতে চেষ্টা ও আবারও সম্পর্ক শুরু করে।
ছেলেটির ভাষ্য মতে
"ভাই অনেক বেশী ভালবেশে ফেলেছিলাম, তাই +/- করে দেখলাম কাছে রাখতে না পারলে কোথায় ও কেমন যেন কষ্ট লাগে। তবে আগের মত মন উজার করে দিতে পারি না,কোথায় যেন বাধা? "
তার কিছুদিন পর, ছেলেটি মেসের ওর বড় আপুর সাথে কথা বলে কিছু অনুসন্ধান করে,কিন্তু তারা কিছুই জানে না। এই আপুই জহিরের কল একদিন রিসিভ করেছিল তবে বুযতে না পেরে, কল ধরেই মেয়েটির স্বামীর নাম ধরে বলে, ...ভাইয়া,ও তো গোছলে।
পরে জহির প্রশ্ন করেছিল ... টা কে?
মেয়েটি উত্তর দিয়েছিল ক্লাসমেট,একসাথে প্রাইভেট পড়ি!
ছেলেটি অই আপুকে একটু ঈংগিত দেয়্, যা যতসামান্য!
তারপর সব মিলিয়ে মেয়েটি ক্ষোভে দুঃখে বিষ খেয়ে ফেলতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে যায়, সম্পর্ক জানাজানি হয় পরিবার ও মেসের মধ্যে...
তারপরও এখনো চলছে, চলবে...
ব্যাক্তিগত কৌতুহল ও পাঠকের প্রশ্ন বিবেচনা করে, আমরা যোগাযোগ করেছিলাম ছেলেটি ও মেয়েটির সাথে
তাদের কাছে আলাদা ভাবে রেখেছিলাম কিছু প্রশ্ন
দেখুন তার উত্তরঃ
ছেলেকে প্রশ্নঃ১ > আপনার স্ত্রী, আপনি কেন যোগযোগের বেলায় এতো কঠোর হলেন?
উত্তরঃ একদিনেতো হইনি! ছোট ছোট অনেক ঘটনার পরই এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে দেখতে চেয়েছিলাম, বিশ্বাসের বাস্তবতা ও গভীরতা কতদুর যায়।
প্রশ্নঃ২ আপনার প্লান কি ছিল তখন?
>> আমার প্লানে এতো কঠোরতা ছিলনা!
আমি ভাবছিলাম যেহেতু একটা ফোন চালু আছে, ও অন্য নাম্বার থেকে ট্রাই করবেই.... আর কিছু বকাজকা করে সব ঠিক করে দিব।
প্রশ্নঃ৩ মানুষকে খারাপের সুযোগ করে দিয়ে রিক্স কেন নিলেন?
>> ওভার কনফিডেন্টের কারণে।
প্রশ্নঃ ৪ মানে?
>> আমি এতোদিন ধরে ওর প্রতি এমন ধারনা ছিল যে, নকিয়া ১১০০ মডেল সেট দিয়ে যেমন ছবি তোলা যায় না, ফাংশন না থাকায়
আমি ভেবেছিলাম ওর মধ্যে ও তেমন এতোটা নিচে নামার ফাংশন নেই
প্রশ্নঃ৫ এখন কি বিশ্বাস বা মানসিকতা?
>> এখন বিশ্বাস যে, যে কেউ যে কোন সময় যেকোন কিছু করতে পারে, এমনকি খুন ও
(অশ্রুসিক্ত....)
প্রশ্নঃ৬ এখন প্লান কি?
>> ওর ক্ষমা চাইবার কারনে নয় বরং আমার ভালবাসার প্রতি শ্রদ্ধা রাখবার জন্যই এখনো আছি
জীবনে শুধু Ctrl z চাপতে ইচ্ছা করে
ইচ্ছা করে, সব ভুলে কলেজ লাইফের মত একাকী জীবনে ফিরে যেতে
(প্রায় অশ্রুসিক্ত....)
প্রশ্নঃ৭ এখন আপনাদের কি অবস্থা?
>> চলছে, তবে সব কিছুই এখন মনে হয় নাটকের অভিনয় !
আবেগের কোন কথাই সহ্য হয় না...
এই বুযি চাপাবাজি আবার !!!!
এবার মেয়েটির কাছে আসা যাক, অনেক অনুরোধের পর...
প্রশ্নঃ১ কেন এমন হলো, এতোটা গড়ালো?
>> আমি অন্য নাম্বার থেকে ট্রাই করছি দু এক বার হলেও।
বেশী করি নাই জিদের বশে...
প্রশ্নঃ২ জহিরের কথা কোনদিন ও জানালেন না কেন?
>> রাগ করবে তাই। ভেবেছিলাম আস্তে আস্তে জহিরের অধ্যায় এমনিতেই শেষ হয়ে যাবে।
প্রশ্নঃ৩ এজন্য একটা বারের জন্য ও তাকে নামটা বললেন না?
>> কেন যে বলি নাই বুযতেছিনা।
প্রশ্নঃ৪ কি বুযলেন এতো কিছুর পর?
>> ও যে আমাকে এতো ভালবাসতে পারে জানা ছিল না। এতোটা প্রগাঢ় ভাবে কোন দিন ই উপস্থাপন করে নাই
(অশ্রুসিক্ত...)
আমিই জগন্য... ...
প্রশ্নঃ৫ আগের বিশ্বাস ফেরত পাবেন?
>> পাওয়াটা অসম্ভব, তবুও চেষ্টা থাকবে।
প্রশ্নঃ৬ বোযার কি উপায় আপনি ঠিক হবেন?(অনেক সাহস করে)
>> উপায় নাই, সময়ের অপেক্ষা।
পাঠকবৃন্দের কাছে গল্পটার শেষ পর্যন্ত দিতে পেরে ও অনেক দিন পর লিখতে পেরে ভাল লাগছে...।
আমার
উদ্দেশ্যঃ
আগেই বলছি সত্য ঘটনাটি
সকলের সতর্ক করার জন্য সংগৃহিত
সতর্কিত হবেন।
অনুরোধঃ
সবাই সকল সেক্টরে শেয়ার করবেন। বিশেষ করে ভালবাসার মানুষটির সাথে।
চাইলে একটা নাটক ও দেখতে পারেন, রেদোয়ান রনির "উচ্চতর শারীরিক বিজ্ঞান" ।
ফলাফলঃ
সতর্ক হতে পারবেন।
এমন কিছু হতে নিলে এই গল্প মনে পড়ে গিয়ে সাবধান হতে পারবেন।
পরে কোন আপডেট আসলে আপনাদের জানাবো।
ধন্যবাদ, সকলে ভাল ও কলংকমুক্ত জীবন যাপন করুন এই কামনা রইলো।
এই লিংকটি শেয়ার করতে পারেন সকল সেক্টরে, জানাতে পারেন সত্য এই ঘটনাটি বাংলার মানুষের কাছে...
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২০