ঘটনাটা একটু আগের। আমার এক বড় ভাইয়ের সাথে যাত্রাবাড়ীর এক হোটেলে গেছি সামুচা খাইতে। আমরা বসছি ঠিক কাউন্টারের পাশের টেবিলে। এদিকে সামুচা তখনো চুলায় তাই আসতে দেরি হচ্ছিল। আমরা বসে কথা বলছিলাম। ভাই আমার জগন্নাথ থেকে এম বি এ কইরা এখন উত্তরা ব্যাংকের অফিসার কিন্তু তার বরিশাই্ল্লা ভাষা পরিবর্তন হয়নি।
কাউন্টারে মালিক আমাদের কথায় বুঝতে পারল ভাই এর বাড়ি বরিশাল।
তারপর দুজনের মধ্যে কথা হল। জানা গেল দুজনের বাড়িই একই জেলা বরগুনায়। এদিকে সামুচা আসে না। প্রচন্ড গরম। বয়কে বললাম ফিল্টার থেকে পানি দিতে। কিন্তু মালিক বয়কে মামের বোতল আনতে বলল। ভাই নিষেধ করলেও মালিক বয়কে মামের বোতলই আনতে বলল।
এদিকে আমি বসে ভাবছি, ইস! বরিশালের মানুষদের মধ্যে কত মিল।





তারপর আমরা খেয়ে যখন বিল দিতে গেলাম- জানতাম না আমাদের জন্য এমন বিস্ময় অপেক্ষা করছে। না ভাই মালিক বিল নেন নি- তা না। বিল নিয়ে সে বলল '' ভাই, ফিল্টারের ঐ জার একটু আগে ট্যাপের পানি দিয়া ভরছি,দেশী মানুষ তো তাই খাইতে দিলাম না''।




বড় ভাইয়ের দেশী মানুষের কতা হুইনা মুইতো শ্যাষ!!! খালি মনে মনে কইলাম--


ওরে বরিশাইল্লা !!