বৃষ্টিভেজা সেই সকালে……
আলসী কাঁথায় জড়িয়ে থাকা মিষ্টি ওমে
ঘুম ভেঙ্গে, ফের স্বপ্ন ছুঁতে আবার ঘুমে
কী দেখে যে বৃষ্টি নামে,
মেয়েটির চোখে বৃষ্টি নামে
অসম্ভবে…
মেয়েটি যেন বুঝতে পারে
একলা থাকার, একলা হাঁটার
ভীষণ রকম একলা হওয়ার দিন বুঝি তার গেছে ঘুচে
বারে বারে তুমি কি তার বুকের ভেতর
কাঁপন লাগাও, তুফান উঠাও
বোশেখী ঝড়ে?
দুপুরবেলায়, ক্লাশের ফাঁকে
চা’য়ের সাথে আড্ডা দিতে, তোমার ছায়া
অলক্ষ্যেতে তার চোখেতে ভেসে আসে
খুব আবেশে
বলবে কি আজ- ভালবাসি? ভালবেসে?
মেয়েটি থাকে প্রতীক্ষাতে, খুব আশাতে!
মেয়েটি যে হায় ভীষণ বোকা
বোঝে কি তোমার সহজ আসা
সহজ ডোবা, সহজ ভাসা
খুব সহজে তার চোখেতে চোখটা রেখে সহজ হেসে
সহজ রকম ভালোবেসে, এক সকালে
নির্নিমেষে ভুলে যাওয়া!
তবুও তো, পাগলী সে যে
রোজ বিকেলে টং এর দোকান
এক কাপ চা, ধোঁয়া ওঠার - অপেক্ষাতে
দিন কাটে তার
দিন কাটে তার, বশ না মানা
অস্থিরতায়…
সে কি আর বুঝতে পারে
রোজ নিশি-তে- ‘ঘুমোও মেয়ে’ বলে তুমি
তাকিয়ে থাক- তার চোখেতে
বুঁজে আসা চোখের পাতায় ছোট্ট চুমু
জোনাক জ্বলা নিভু আলোয়
সব ভ্রম তার, সব বিভ্রম…
মেয়েটি ভীষণ অবুঝ আজো…
সে কি আর সত্যি জানে, তোমার সাথে-
রোজ সকালে ভালোবেসে, মিষ্টি হেসে
একটি নতুন কাব্য লেখার
খুব শখ তার
খুব সাধ তার……
মেয়েটা ভাবে-
আবার যেদিন তোমার সাথে দেখা হবে, কথা হবে
বলবে সে যে, অসম্ভবে- যা আছে মোর
সব যদি নাও- ফিরিয়ে দেবে একলা সকাল?
দুপুর বেলায় একলা খাওয়া বিচ্ছিরি চা
ফিরিয়ে দেবে একলা বিকেল?
একলা আমার-
বিষাদ মধুর বিষণ্নতা?
----
মাঝে মাঝে একেকটা সকাল শুরু হয় কবিতা দিয়ে-
সারাদিনমান কবিতা'রা আসে যায় অলক্ষ্যে
আমি ব্যাকরণ জানি না, মানিও না...
হঠাৎ হঠাৎই শব্দের নাচন শুরু হয়
মস্তিষ্কে সেই প্রলয়নৃত্য থামাতে এই লেখাটা-
কেন যেন মনে হচ্ছে, এটা আমার না
অনেকগুলো কবিতা থেকে যা যা ঢুকে গেছিল মাথায়
বেরিয়ে এসেছেঃ ন-কবিতা হয়ে
আমার কোন দোষ নেই
বিশ্বাস করুন- আমি নির্দোষ!
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৩