আজকের প্রথম আলোতে রুবাইয়াত নিজেকে ডিফেন্ড করছেন । ব্লগে কিংবা যেকোন আলোচনায় পাকিস্তানপ্রেমীরা যেভাবে ইতিহাস হাতড়ে খুঁজে মরেন মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তেমনিভাবে তিনি হাতড়ে খুঁজেছেন কতজন নারী ধর্ষিত হয়েছেন, আর তার তথ্য প্রমাণ। প্রশ্ন জাগে আর কতজন নারী ধর্ষিত হলে তিনি সঠিক ইতিহাস খুঁজে পেতেন ?? নিজেকে ডিফেন্ড করতে তিনি তথ্য প্রমাণ খুঁজেন অথচ তিনি তার সিনেমা নির্মান করেছেন ঐতিহাসিক পটভূমিতে কিন্তু কল্পনার ভিত্তিতে। নাকি তিনি খুঁজছিলেন পাকিস্তানীদের মহান বানানো দলিল-দস্তাবেজ ? না পেয়ে তিনি আশাহত হয়েই এমন কাল্পনিক আখ্যানের আশ্রয়ে মুক্তিযুদ্ধকে হেয় করে বীরঙ্গনাদের যাতনাকে নিয়ে এমন রঙ্গলীলায় মেতে উঠেছেন !?! আর পাকিস্থানী মেজরকে বানিয়েছেন তার হিরো । নৃশংস পাকিস্তানী হয়েছে মহান !! এমন পাকিস্তানপ্রেম এর জন্য তাকে বাহবা পেতেই পারেন !!!!!! তবে মজার বিষয় হচ্ছে তিনি নাকি স্নাতকোত্তর পর্যায়ে থিসিস করেছেন বীরঙ্গনাদের নিয়ে !! আর নির্মাণ করেছেন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর একটি উক্তি থেকে অথচ উনি প্রিয়ভাষিণীর উপর যে অন্যায় অত্যাচার আর নির্যাতন করা হয়েছে তা গৌণ্য করে ফেললেন।
তিনি বলেছেন ইতিহাসকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে দেখার সুযোগ আছে । হুমম .. তা ঠিক । আমরা যখন দেখি একজন বীরঙ্গনার নিযার্তনের নির্মম চিত্র ঠিক সেই ছবিটি তিনি দেখেন বীরঙ্গনার নির্লজ্জ প্রেমলীলা। এই ভিন্ন দৃষ্টিভংগি অবশ্যই উদ্দেশ্য প্রণোদিত। যে দৃষ্টিভংগি রাজাকার আর দোসরদের। এই সময়ে এই ছবি প্রদর্শনের পিছনে অন্যকোন ইন্ধন আছে কিনা গূঢ় কোন রহস্য আছে কিনা, সেভাবনার অবকাশ থেকে যায়।
মেহেরজান নির্লজ্জ ইতিহাস বিকৃতির ছবি। শহীদ-বীরঙ্গনাদের আত্মত্যাগের সাথে প্রতারণার ছবি। মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করা ঔদ্ধতপূর্ণ, বেহেয়াপনার ফ্যান্টাসী।