বাংলাদেশ যখন ঘুরে দাড়াবার স্বপ্ন দেখচ্ছে ঠিক সেই মুহুর্তে জাতিকে হানাহানির দিকে ঠেলে দেয়া হবে না । সেটা এদেশের আপামার জনগনই চায় না । তবে গতকাল দেশের বিরোধীদলীয় নেত্রী যে প্রসংগে কথা বললেন তা রীতিমত দুঃখজনক । স্বাধীনতা বিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলে কিভাবে দেশ হানাহানির দিকে যায় সেটা বোধগম্য হলো না । স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার কোন রাজনৈতিক প্রপাগাণ্ডা নয়, এটা নির্বাচনী ওয়াদা। দেশের নতুন প্রজন্ম স্বাধীনতা বিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় আর তার প্রতিফলন আমরা এবারের ভোটে পেয়েছি। তাই স্বাধীনতা বিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অবশ্যই সরকারের অন্যতম দায়িত্ব । বাকি সব মানুষের চাওয়া তো আছেই । সেখানে গুটিকতক ব্যক্তি আর তাদের কিছু দলীয় চামচা বনাম সমগ্র দেশের মানুষের চাওয়া কি করে হানাহানি হতে পারে??
গুটিকতক ব্যক্তিস্বার্থকে রক্ষার জন্য এমন বক্তব্য বড়ই বেমাননা । তবে কি খালেদা জিয়া আর কোন ইঙ্গিত করলেন ?? এইসব স্বাধীনতা বিরোধীদের রক্ষা করতে প্রয়োজনে তারা দেশকে হানাহানির দিকে নিয়ে যাবেন ??
আর তার বক্তব্য রীতিমত পরস্পর বিরোধী ...তিনি বলেছেন: ‘স্বাধীনতার পরপরই প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দেওয়া হয়। স্বাধীনতাবিরোধীদেরও তখনকার সরকার ক্ষমা করে দিয়েছিল। এটা আমাদের ব্যর্থতা, আমরা তাঁদের বিচার করতে পারিনি। আজ প্রায় চার দশক পর স্বাধীনতাবিরোধীদের সহযোগীদের বিচারের কথা বলে সাধারণ ক্ষমার কথা ভুলে গিয়ে বর্তমান সরকার আবার জাতিকে হানাহানির দিকে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’ ধরে নিলাম তার বক্তব্যর প্রথম অংশ ঠিক, তবে আজ সেইদিনের বর্থ্যতা সফল হলে দোষ কোথায় ?? আর যদি প্রকৃতদের ছেড়ে দেয়া হয় তবে তাদের এখন বিচার করলে দোষ কি ?? আর সেই সরকার তো যদি ব্যর্থ সরকারই হয় তবে তাদের সেই বর্থতা কি আমরা চিরদিন বয়ে চলব ?? ব্যর্থ সরকারের সাধারণ ক্ষমা তবে কেন গ্রহণযোগ্য থাকবে ?? (যদি সাধারণ ক্ষমার বিষয়টি আমরা জানি কাদেরকে করা হয়েছিল, হয়তো খালেদা জিয়া ভালো করে জানেন না )
আমাদের সাধারণ জনগনের প্রত্যাশা তিনি যে কাজ করতে পারেননি কিংবা করেননি (হয়তো তার পক্ষে সম্ভব নয়) সেটা অন্য করলে সমস্যা কোথায় ?? দেশে স্বাধীনতা বিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে । খামাখা দেশকে হানাহানির দিকে ঠেলবেন না।।