বাতাসে রক্তের গন্ধ ভাসে, গণতন্ত্রের রক্ত। বোমাতে বোমাতে গণতন্ত্র ঘোরে,
গণতন্ত্র ঘোরে বন্দুক নলে। বাঙালীর রক্তের কোন দাম নেই এখন। শাসকদের শোষণে পিষ্ট বাঙালী অতিষ্ট হয়েছে অনেক আগে। কতিপয় মানুষের মৃত্যু কামনা করতেও তাদের মন বাঁধে না, তবে জনগণের জন্য কে এগিয়ে আসবে? সাহসী, সংগ্রামী কোন মহান নেতার উত্থান আবার কবে হবে এ রাষ্ট্রে, যে নেতা মহান নেতাদের চামচামি না করে নিজেই মহান হবার লড়াই করবেন। আমি বসে আছি তার আশায় বুক ভরে। আমি শুধু সেই নেতার গুণগান করার আশায় বেঁচে আছি। তাকে বাহবা দেবার বড্ড ইচ্ছে আমার। আর কতদিন জিম্মি থাকবে জনতা, কতদিন জিম্মি থাকবে গণতন্ত্র!
প্রকৃত গণতন্ত্র কখনো ছিল না এদেশে। যেখানে সংবাদমাধ্যমগুলো রাজনৈতিক শক্তি, সেখানে কীভাবে সম্ভব নতুন শক্তির উত্থান। এত আবাল কেন মিডিয়া?
তৃতীয় শক্তির উত্থান সবচেয়ে বেশি সম্ভব ছিল গণজাগরণমঞ্চ থেকে, কিন্তু প্রকৃত অর্থে ইমরান সাহেবের একটি ভুল সিদ্ধন্তের জন্যই সেটা সম্ভব হয় নি। তিনি পুরো বাঙালির স্বার্থের কথা না ভেবে একটা গোষ্ঠীর স্বার্থের কথা ভেবেছিল। সে সময় সবাই শুধু একটি বিষয়ের অপেক্ষায় ছিল, কখন ইমরান সাহেব দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলবেন। এই একটি বিষয় তাকে মহান নেতা না বানিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে ডাস্টবিনে। আজও হয়তো ইমরান সাহেব দুঃস্বপ্ন দেখেন, এই ভুলের জন্য।
আবার কবে জনতা জাগবে, সেই প্রত্যাশায় থাকা ছাড়া কোন কাজ নেই আমার। সংবাদ পড়াও বাদ দিয়েছি, সংবাদ আমাকে কুরে কুরে খায়, আমাকে বিদগ্ধ করে দেয়। ক্ষত-বিক্ষত দিন। ক্ষত-বিক্ষত দেশ। খুবলে খুবলে রক্ত খাচ্ছে দুই গোষ্ঠী। এদের যারা সমর্থন করে তারাও বাঙালীর রক্ত খায়, মাংস খায়।