আমি গত ২৯ শে মার্চ গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করি।আমি গত ৩ই মার্চ সন্ধ্যায় ফেসবুক মেসেঞ্জারে দেশের বাহিরে কথা বলার সময় আমার ইন্টারনেট ব্যালেন্স শেষ হয়ে যায়।কিন্তু তখন আমার মোবাইলে মাত্র ৩০টাকা বাকি ছিলো।আমি দ্রুত ২২ টাকা খরচ করে ৩ দিন মেয়াদের ৬০ মেগা ডাটা ক্রয় করি এবং কথা শেষ করি।তাতে মাত্র ১ মেগা ডাটা খরচ হয়।রাত ৮ টার দিকে আমি মোবাইলে ১৫০ টাকার মতো রিচার্জ করি।মোবাইলে ব্যালেন্স বেড়ে যাওয়ায় আমি রাত ৯ টার দিকে আরো ১০২৪ মেগা ডাটা ৯৪ টাকা দিয়ে ক্রয় করি যাতে হঠাত করে আমার ইন্টারনেট ডাটা ব্যালেন্স শেষ না হয়।কিন্তু ১০২৪ মেগা ডাটা ক্রয় করা মাত্রই গ্রামীণফোণ আমার ১০২৪ মেগা ডাটা থেকেই ডাটা কাটা শুরু করে।৬০ মেগা ডাটার ৫৯ মেগা ডাটা অব্যাবহ্রত থেকে যায়।এই ডাটা সে আমাকে আর ব্যাবহার করতে দিচ্ছে না।এদিকে ৫৯ মেগা ডাটার মেয়াদ যেহেতু ৩ দিন তাই দুই দিন পরে এর মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।এক দিকে আমি আমার কেনা ডাটা ব্যাবহার করতে পারলাম না অপরদিকে পরে ক্রয়কৃত ডাটার ব্যালেন্সও কমে গেলো।এইটা গ্রামীণফোণের প্রতারণা।এই ছিলো আমার অভিযোগ।২৫/০৪/২০১৭ইং শুনানী হলো।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও সদস্য শাহীন আরা মমতাজ ছিলেন বিচারক।তিনি গ্রামীণ ফোণের কাছে ব্যাখ্যা চাইলেন।তিনি স্পষ্ট ভাবে গ্রামীণফোণকে বল্লেন আমি আমার টাকা দিয়ে ২ টা কেনো আমি ১০টা প্যাকেজ কিনতে পারি এবং আমি যে প্যাকেজ় আগে কিনেছি সেটা আমাকে আগে ব্যাবহার করার সু্যোগ দিতে হবে অথবা আমার ইচ্ছে মতো আমি যেকোন প্যাকেজ ওই মেয়াদের ভিতরে ব্যাবহার করতে পারি।আপ নারা আমাকে শেষেরটা ব্যাবহারে বাধ্য করতে পারেন না।আপনারা যেটা করছেন সেটা ভয়ানক প্রতারণা।
গ্রামীণ ফোণ ব্যাখ্যা দিলো তারা নিজেরা কোন আইন করেন নাই।তারা আইন অনুসারে ব্যাবসা করেন মাত্র।এইটা নাকি বিটিআরসির নিয়ম।বিটিআরসি নাকি বলেছে যে প্যাকেজ গ্রাহক শেষে কিনবে সেটাকেই আগে ব্যাবহার করাতে হবে।
উপ-পরিচালক এই ব্যাখ্যা শুনে আরো ক্ষেপে গেলেন।তিনি বল্লেন বিটিআরসি এই কাজ করতে পারে না।আমাকে বিটিআরসির নিয়মটা দেখান।আর এইটা যদি বিটিআরসি করেও থাকে তারাও এইটা ভুল করেছে।আপনারা সেটা ঠিক করেন নাই কেন?আপনাদের থার্ড সেন্স কি বলে?
গ্রামীণ ফোন তখন অন্য পথে চেষ্টা করলো। তারা বল্ল আপা উনি এই অভিযোগ এইখানে না করে বিটিআরসিতে করতে পারতেন।সেখানেও ফাইন করা হয়।আমাদের অন্যায় হলে আমরা সেখানেই এই আইন ঠিক করে নিতাম।উনাকে বিটিআরসিতে অভিযোগ দিতে বলেন।
উপ-পরিচালক এই কথা শুনে বল্লেন তাহলে আমি আজকেই আপনাদের জরিমানা করে দেই।আপনাদের জরিমানা করলে আপনারাই বিটিআরসিতে বলে আইন পরিবর্তন করাবেন।এই কথা শুনে উনারা বল্লেন আপা আমরা সময় প্রার্থনা করি।আমরা আপনাকে বিটিআরসির নিময়টা দেখাবো।আজকে নিয়মটা আনি নাই।উপ-পরিচালক গ্রামীণ ফোণের সময় মঞ্জুর করলেন।আমাকে বল্লেন আরেক দিন হিয়ারিং হতে পারে।আমি শুধু বল্লাম আপা উনারা এই বিষয়টিকে যে কয় দিন ধরে রাখবেন সেই কয়দিনই উনাদের লাভ।আপা আমাকে বল্লেন সময় তো দিতে হবে।আপনার শুনানী শুনলাম।আপনাকে আর আসতে হবে না।এখন দেখা যাক রায় কি হয়।যদি রায় আমার পক্ষে হয় তাহলে গ্রামীণফোণ সহ সব অপারেটরদের ইন্টারনেট ব্যাবসায় পরিবর্তন আনতে হবে।অনেক গ্রাহকের অনেক টাকা বেচে যাবে।গ্রাহক হয়রানী কমবে।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে বিটিআরসি কি সত্যেই গ্রামীণফোণের বা অন্য অপারেটরদের ব্যাবসায়ীক স্বার্থে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে এই আইন করবে?আমার এটা বিশ্বাস হয় না।এরা বিটিআরসির কাধে বন্ধুক রেখে পার পেয়ে যেতে চাচ্ছে।আপনারা কি বিটিআরসির মোবাইল ইণ্টারনেট প্যাকেজের ব্যাবহার আইন জানেন?
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৪৮