বাংলদেশ আওয়ামীলীগ।এই দেশের ঐতিয্যবাহী দল।এই দল না থাকলে আমরা এই দেশই পেতাম না।এই দলের নেতাদের নিকট তাই আমাদের প্রত্যাশা অনেক অনেক বেশী।এখন সেই দলটিই ক্ষ্মতায়।২০০৯ সালে আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় আশার পরে আমরা অনেক কিছু পেয়েছি যা বিগত দিনের সরকার গুলো উপেক্ষায়ই করে গেছে।আমাদের বিদ্যুত ব্যবস্থার যে হাল ছিলো সেটা মনে হয় জনগন ভুলেই গেছে।প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং এ ভুগতাম সেটা মনে হয় জনগণের আর মনে নাই।
এই সরকার বিগত বছরের যে কোন সরকারের তুলনায় আমাদের বিদ্যুত ব্যাবস্থার উন্নতি সাধণ করেছে।খুব সুন্দরভাবে মায়ানমারের সাথে এবং ভারতের সাথে সমুদ্রসীমার বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে যা অন্য কোন সরকার আসলেই করতে পারত না।এই সরকার না থাকলে আমাদের দেশে জংগী সমস্যা ভয়াবহ রুপ ধারণ করতো এতেও কোন সন্দেহ নেই।এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের সময় যে সব বিদেশী মেহমান আমাদের সহযোগিতা করেছে তাদের এত বছর পরে হলেও সম্মানিত করেছে।জাতি হিসেবে এই কাজ আমরা কেন এতো দেরিতে করলাম এই কথা ভাবতে অনেক দুঃখ হয়।কোন সরকার এই বিষয়ে এর আগে কেন উদ্যগ নেয়নি সেটা ভাবলেও কষ্ট লাগে।এই জায়গা টুকুতে তো রাজনীতি থাকা উচিত ছিলো না।যদিও এই আয়োজন করতে যেয়ে কিছু কুলাংগার ক্রেষ্টে জালিয়াতি করায় সারা বিশ্বের কাছে আমাদের অপমানিত হতে হয়েছে।এটার কোন বিচারও হয় নাই।তবুও ভালো যে আমরা তাদের কাছে এত দিন ঋণী ছিলাম।সেটার কিছুটা শোধ দিতে পেরেছি।এই সরকার ইতিহাসের অনেক মিথ্যাচার জাতির কাছে তুলে ধরেছে যা অনেকেই জানতো না।অনেক দেরিতে হলেও যুদ্ধপরাধীদের বিচার করা শুরু করেছে।যোগাযোগ ব্যাবস্থার দিকে তাকান।এতো অল্প সময়ে এতগুলো ফ্লাইওভার করার কাজ তারা হাতে নিয়েছে।ইতিমধ্যে কিছু সম্পন্ন করেছে।যানযট কমাতে তারা আন্তরিক চেষ্টা করছে।পদ্মা সেতুর মতো এতো বড় প্রকল্পের কাজ বিদেশীরা হাত গুটিয়ে নেয়ার পরেও সরকার সাহস হারায় নি।নিজের তহবিল থেকেই কাজ শুরু করেছে। এটাই সরকারের বিশাল প্রচেষ্টা বলে আমি মনে করি।বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এর দিকে তাকান।এই দিকেও সরকার সফল।দূর্নীতি কিছু হলেও কমেছে।দুঃখ জনক হলো বিএনপি সরকারের ভাল কাজগুলোকে কোন ভাবেই সাধুবাদ জানাতে পারে নাই।
এতো কিছুর পরেও এই সরকারকে জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চাচ্ছে না।এই মুহুর্তে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ক্ষমতায় আসবে বি এন পি জোট।এই সরকার দেশকে যা দিয়েছে বিএনপি তা কখনো দিতে পারতো না।তাহলে জনগণ বিএনপির পক্ষে কেন?
এর একমাত্র উত্তর জনগণ জানে না যে এই সরকার আসলে দেশকে কি দিয়েছে।এই সরকারের মন্ত্রী এমপি ও দলীয় লোকেরা ঘুম থেকে উঠার পর থেকে ঘুমাতে যাবার পূর্ব পর্যন্ত অব্যাহতভাবে কে কত বেশী বিএনপির প্রচার চালাতে পারবেন সেই প্রতিযগিতায় ব্যাস্ত।প্রতিদিন বিএনপির নামে যে পরিমান সময় বিষেদগার ও সমালোচনা করেন তার সামান্য সময়ও যদি নিজেরা কি কি উন্নয়ন করেছেন সেটার প্রচার চালাতেন তাহলে জনগণ কিছুটা হলেও তাদের উন্নয়ণের কথা জানতে পারতো।একটি দল যত খারাপই হোক কোন মানুষই সেই দলের এত সমালোচনা সহ্য করতে বা শুনতে রাজী না।বিএনপি সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সমালোচনা বর্তমানে মানুষের সহ্য সীমার উপরে উঠে গেছে।এখন মানুষ যোক্তিক সমালোচনাও মানুষ শুনতে রাজী নয়।সব কিছুই জনগণ অপপ্রচার মনে করে।কিন্তু এর দায় কার?বিএনপি সত্যই ভাগ্যবান যে তারা শুধু এই কারণেই বিনে পয়সায় জনগনের ভোট গুলো পেয়ে যাবে।সরকারের এতো এতো উন্নয়ন জনগনের মাথাতেই নেই।জনগণ এখন সরকারের নেতাদের মুখে মুখে বিএনপির সমালোচনা শুনে আর এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে আর এক কান দিয়ে বের করে দেয়।এটা জনগণেরও দোষ না ।৬ বছর ধরে শুনতে শুনতে কানই তো পচে গেছে।আর কতো!!আওয়ামীলীগের জন্য খারাপ লাগলেও এখন কিছুই করার নেই।জনগণ বিএনপির পক্ষে।বিএনপি আসলে জনগন আসলে কি পাবে সেই দিকে কেউ তাকাচ্ছে না।জনগন শুধু এই রকম সমালোচনা শোনার থেকে মুক্তি পেতে চাচ্ছে।বিএনপি জোট পেট্রোল বোমা মেরে যতটুকু জনসমর্থন হারাচ্ছে তার চাইতেও আর বেশী জনসমর্থ হারাচ্ছে দলটির নেতাদের গলাবাজীতে।দুঃখ লাগে এতটুকুই যে আওয়ামীলীগ যখন হারে তখন শুধু দলটিই হারে না পরো দেশটাই আসলে হেরে যায়।এতো কিছুর পরেও দলটির স্বভাব পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২২