বাংলাদেশে টিকার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল ফেব্রুয়ারি মাসে।আমি তখন চার মাসের ছুটিতে ঢাকায়, বাকি ছিল আরো দের মাস।তখন ২য় ডোজ একমাসের মধ্যেই দেয়ার কথা ছিল।প্রথম অবস্থায় লোকজনের টিকা নেয়ার সাড়া ছিল কম, কাজেই অতিসহজেই ১ম ডোজ নিয়ে নিলাম।কিন্তু ১৫দিন পর জানতে পারলাম ২য় ডোজ দেয়া হবে দুই মাস পর। আমি পিজি হাসপাতাল থেকে নিয়েছিলাম তাই ডিজি সাহেবের অফিসে যোগাযোগ করলাম।সেখান থেকে আমাকে পাঠানো হলো খুরশিদ আলম সাহেবের নিকট। তিনি ব্যাক্তিগত মোবাইল নাম্বার আমাকে দিয়ে বললেন আপনি প্রবাসী তাই ভিসার সমস্যা হবে আমরা তা চাইনা। পনেরদিন পর টিকা কার্ডের লিখিত তারিখ অনুযায়ী আমি পিজিতে গেলাম টিকা নিতে। কিন্তু তারা সাফ জানিয়ে দিল দুই মাস আগে সম্ভব নয়। খোরশেদ আলম সাহেবকে খুঁজে পেলাম টিভি সাংবাদিকদের নিকট। তিনিও তার অপারগতা জানালেন। view this link
টিভি নিউজে আমার বক্তব্য
কাজেই ২য় ডোজ না নিয়েই চলে এলাম সৌদি আরবে।এখানেও তখন অতি সহজে অক্সফোর্ডের এস্ট্রোজেনেকা ও ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু আমি চেস্টা করছিলাম আমার ১ম ডোজকে এখানে রেজিস্ট্রেশন করতে।কিন্তু সেরকম কোন সুযোগই তখন ছিলনা। এখন অবশ্য সেই ব্যবস্থা শুরু করেছে।
২য় ডোজের চিত্র
আমার ১ম ডোজের তিন মাস পর সৌদিতে আবারো ১ম ডোজ হিসেবেই অক্সফোর্ডের এস্ট্রোজেনেকা টিকা নিলাম। কিন্তু হায় ১৫ দিন পরই ম্যাসেজ এলো ২য় অর্থাৎ আমার ৩য় বারের মতো টিকা নেয়ার তারিখ। আমি ম্যাসেজ উপেক্ষা করলাম, কিন্তু তারা নাছোর বান্দা পরপর ৪ বার তারিখ নির্ধারন করলেন কিন্ত আমি উপস্থিত হলামনা।শেষতক তারা আমাকে নিজ থেকে তারিখ নির্ধারন করে টিকা নেয়ার অনুরোধ করলো।
আমি কোবিড-১৯ সংক্রান্ত যতো মেডিকেল জার্নাল আছে দেখা শুরু করলাম। একটু একটু আশারবাণী শুনলাম, ৬মাস পর নেয়া যেতে পারে। আরো আশান্বিত হলাম যখন টিভিতে দেখলাম তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান ৪ঠা আগস্ট ৩য় ডোজ নিয়েছেন। আমি একমাস তার পেছনে ছিলাম, তিনি ভাল আছেন দেখে আমিও বুকিং দিলাম সৌদি আরবের ২য় এবং আমার দেহে ৩য় ডোজের জন্য।
আলহামদুলিল্লাহ্ তিনদিন আগে টিকা নিয়েছি এখনো কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়নি।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৫২