আমি প্রবাসী হলেও রান্না নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা খুবই কম। কারন খুব কম সময়ই প্রবাসে ব্যাচলরের জীবন কাটিয়েছি। কিন্তু এবার আমার এক আত্মীয় বিশেষ করে সৌদি গাওয়াহ’র ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করলো।সেই জন্যই আমি আমার ইয়ামেনী ড্রাইভারের নিকট গাওয়াহ বানানোর প্রক্রিয়াটা শিখে নিলাম। সে যখন মার্কেট থেকে এটার উপাদানগুলি নিয়ে এলো,আমিতো দেখে অবাক!এলাচ লবঙ্গের গুড়া!!
আরব সংস্কৃতিতে একটি ঐতিহ্যগত পানীয় হচ্ছে গাওয়াহ বা আরবীয় কফি। প্রথাগতভাবে, এটি বাড়ীতে বা বিশেষ অনুষ্ঠান জন্য অতিথিদের সামনে পরিবেশিত হয়।এটা সর্বদাই খেজুর বা অন্যকোন মিষ্টি ফল সহ পরিবেশন করা হয়।
এটা একটি ছোট আকারের বিশেষ কফি কাপে পরিবেশিত হয়।এর কোন হ্যান্ডেল নেই তাই কাপের উপড়ে আঙ্গুল দিয়ে ধরে খেতে হয়।
বাদশা আব্দুল্লাহ গাওয়াহ খাচ্ছেন
আরবি কফি সাধারণত ছোট একটি কাপে বেশ সময় নিয়ে ছোট ছোট চুমুকে খেতে হয়।তবে গল্পে মশগুল থাকলে দুই তিন কাপও অনেকে খেয়ে নেয়।এই কফি পরিবেশনকারী (ওয়েটার) ট্রেডিশনাল পোষাক পড়ে অতিথিদেরকে তার ফ্লাস্ক থেকে গাওয়াহ ঢেলে দেন। অতিথিকে বেশী সন্মান জানাতে অনেক আবার বাড়ীর কিশোর ছেলেকে দিয়েও গাওয়াহ পরিবেশন করেন।
সৌদি কফি বা গাওয়াহ ( قهوة ) কফির বিন থেকে তৈরি করা হয়,এটা বানানোর পদ্ধতি খুবই সহজ।
উপাদানঃ
১।পানি ৩ কাপ
২।কফির গুড়া ২ টেবল চামচ
৩।এলাচের গুড়া ৩ টেবল চামচ
৪।লবঙ্গের গুড়া ১/৪ টেবল চামচ
প্রণালীঃ
প্রথমে একটি কেটলিতে পানি ঢেলে খুব বেশি করে ফুটিয়ে নিতে হবে।সেই ফুটন্ত পানিতে কফির গুড়া দুই চামচ ঢেলে খুবই হালকা আচে ২০মিনিট ফুটাতে হবে।কেটলির ঢাকনাটি অবশ্যই বন্ধ থাকবে।
এরপর চুলা থেকে কেটলী নামিয়ে পাচমিনিট পর ৩ চামচ এলাচের গুড়া এবং ল পোয়া চামচ লবঙ্গের গুড়া দিয়ে সবগুলি ভাল করে নেড়ে নিতে হবে।এবং আবারো চুলায় উঠিয়ে ৫-৭মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। এভাবেই হয়ে গেল আরবি কফি বা গাওয়াহ। এখন ফ্লাস্কে ঢেলে নিয়ে ৩-৪ ঘন্টা ধরে খেতে পারবেন।
মনে রাখবেন গাওয়াহ’তে কোন চিনি বা দুধ মেশাতে হয়না।
গাওয়াহ'র একটি বিশাল ভাস্কর
**কিছু ছবি নিজের তোলা কিছু ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা