আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এর বৈজ্ঞানিকরা আজ থেকে শুরু করলো মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসবাসের একটি দুঃসাহসী পরীক্ষা।কোন না কোন ভাবে; কোন না কোন প্রকারে, কোন না কোন মানুষের আত্ম ত্যাগ ছাড়া পৃথিবীতে বিজ্ঞানের বড় কোন আবিষ্কার হয়েছে কি না কিংবা আবিষ্কৃত কোন কিছুর ত্রুটি সংশোধন হয়েছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন করার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।
আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ৪ গবেষক (২ জন পুরুষ ও ২ জন মহিলা) ৩৭৮ দিনের জন্য একটি বদ্ধ ঘরে প্রবেশ করেছে আজ ২৫ শে জুন, ২০২৩ তারিখে। এই ৪ জন গবেষক এই বদ্ধ ঘরের মধ্যে খুবই সীমিত সম্পদের মাধ্যমে জীবনধারণ করবে আগামী ৩৭৮ দিন। এই ঘর থেকে বাহিরে বের হতে পারবে না। বলা চলে গত সপ্তাহে আটলান্টিক মহাসমুদ্রের নিচে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ডুবোজাহাজ টাইটানের যাত্রার মতোই ঝুঁকিপূর্ণ এই গবেষণাটি। এই পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলও মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে যদি কোনদিন মানুষ পাঠানো হয় তবে সেখানকার সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে মানুষ বেঁচে থাকতে পারবে কি না তার একটি কৃত্রিম পরীক্ষা করা পৃথিবী পৃষ্ঠের মধ্যে। যেহেতু মঙ্গল গ্রহে যাওয়া আসার সময় লাগবে ১৪ মাস ও এই সময়টায় নভোচারীরা চরম একাকীত্ব থাকবে তাই আজ থেকে শুরু হওয়া এই পরীক্ষায় ৪ জন গবেষক ১২ মাস ১৩ দিন এই বদ্ধ ঘরে একাকীত্বের পরিবেষে অবস্থান করার সময় তাদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার কেমন পরিবর্তন হয় সেটাও পর্যবেক্ষণ করা।
কোন না কোন ভাবে; কোন না কোন প্রকারে, কোন না কোন মানুষের আত্ম ত্যাগ ছাড়া পৃথিবীতে বিজ্ঞানের বড় কোন আবিষ্কার হয়েছে কি না কিংবা আবিষ্কৃত কোন কিছুর ত্রুটি সংশোধন হয়েছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন করার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। আটলান্টিকের পানি চাপের পড়ে ধ্বংস হয়ে মৃত্যু বরণ করা ৫ জন অভিযাত্রীর প্রাণের বিনিময়ে হয়ত আগামী দিনগুলিতে সমুদ্রের গভীরে যাত্রায় অভিযাত্রীদের নিরাপদ অভিযাত্রা নিশ্চিত হবে।