বাংলাদেশে এই মাত্র যে ভূমিকম্পটি অনুভব করলেন সেটি ৬ মাত্রার একটি শক্তিশালি ভূমিকম্প যার উৎপত্তি কেন্দ্র (এপিসেন্টার) ছিল ঢাকা থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দুরে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে।
সুনামির সতর্কতা: উপকূলবর্তী জেলা গুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চ জলোচ্ছ্বাসের বা সুনামির সম্ভাবনা রয়েছে (পরবর্তী ২-৪ ঘণ্টার মধ্যে) যেহেতু ভূমিকম্পটি সংঘটিত হয়েছে গভীর বঙ্গোপসাগরে।
মান: M6.0
উৎপত্তি কেন্দ্র: 8.254°N 88.080°E depth=40.0km (24.8mi)
গভীরতা: ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪০ কিলোমিটার গভীরে
সময়: রাত ১০ টা বেজে ২১ মিনিট ৫৪ সেকেন্ড
এখানে উল্লেখ্য যে বাংলাদেশের উপকূলে সুনামির সম্ভাবনা কম। কারণ বঙ্গোপসাগরে ফল্ট লাইন গুলো উত্তর দক্ষিণে বিস্তৃত (সুমাত্রা ফল্ট)। ফলে ঐ ফল্টে ভূমিকম্প হলে ভূমি চ্যুতি হয় পূর্ব-পশ্চিমে। ফলে পানির ঢেউ গুলো প্রবাহিত হবে পূবে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, বার্মা, মালয়েশিয়ার দিকে ও পশ্চিমে ভারত ও শ্রীলংকার দিকে।
যে কারণে ২০০৪ সালের বক্সিং ডে ভূমিকম্পের ফলে উপরোক্ত দেশ গুলোতে সুনামির ফলে ৩ লাখ মানুষ মারা গেলেও বাংলাদেশে কয়েক জন (সম্ভবত ৮ জন) জেলে (ঐ সময় গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতেছিল) ছাড়া কেউ মারা যায় নাই।
সুত্র: আমেরিকান ভূতাত্বিক অধিদপ্তর
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:১১