১৯৭১ সালে জামাতের ছাত্র সংগঠন ছিলো ইসলামী ছাত্র সংঘ। রাজাকার এবং বুদ্ধিজীবিদের হত্যার জন্য বিশেষ খুনী স্কোয়াড আল বদরদের সদস্যরা ছিলো এই ছাত্র সংগঠনের। স্বাধীনতার পর তারা পলাতক থাকে, পুনর্বাসিত হয় জিয়ার সেনাশাসনের সময়। ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ছাত্র সংঘ নাম পাল্টে রাখে ছাত্র শিবির। প্রসঙ্গত তাদের ছোটদের সংগঠন শাহীন শিবির থেকে এই শিবির নামটি নেয় তারা। এছাড়া মোডাস অপারেন্ডিতে ১৯৭১ আর ২০০৮ এ কোনো বিভেদ নেই। তাদের প্রথম সভাপতি মীর কাশেম আলী ছিল ১৯৭১ সালে আলবদর হাইকমান্ড সদস্য, চট্টগ্রাম শহর ছাত্র সংঘ সভাপতি এবং চট্টগ্রাম জেলা রাজাকার বাহিনী ও চট্টগ্রাম শহর আলবদর বাহিনী প্রধান। দ্বিতীয় সভাপতি আলবদর বাহিনীর প্রধান সংগঠক কামারুজ্জামান সম্পর্কে নতুন করে বলার নেই। আলোচ্য দলিলে তৃতীয় সভাপতি আবু তাহের বিশেষ ভূমিকা আছে। মুক্তিযুদ্ধকালে মীর কাশেম আলীর উত্তরসূরী হিসেবে সে চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রসংঘের সভাপতি হয় এবং জেলা আলবদর প্রধানের দায়িত্ব পালন করে।
আলোচ্য স্ক্যানড দলিলটি ইমেজ ফাইলে দেওয়া।ছাত্র শিবিরের বিস্ময়কর উত্থান ও প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে কীর্তিকলাপ এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে তুলে ধরেছিলেন সেলিম ওমরাও খান, নিমাই সরকার ও সৈয়দ শামীম নামে তিন তরুণ তুর্কি সাংবাদিক। পৃষ্টার ক্রম নম্বর লাল কালিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:১৭