আজ আমার ২৩তম জন্ম বার্ষিকী। অর্থাৎ ২৩টা বসন্ত নীরবে পার করেছি; কেউ কথা দেয় নি (রাখার তো প্রশ্নই ওঠে না!)
তাই আজ দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে লিখতে বসেছি নিজেকে নিয়েই। আমি কেমন তা তুলে ধরছি জাতির উদ্দেশ্যেঃ
প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত চারিত্রিক সনদপত্র অনুযায়ীঃ
‘‘এতদ্বারা প্রত্যয়ন করা যাইতেছে যে, মোঃ মশিউর রহমান পিতাঃ মোঃ আফসার আলী, মাতাঃ মোছাঃ মুর্শিদা খাতুন কে ব্যাক্তিগতভাবে চিনি ও জানি। সে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুনামের সহিত পড়ালেখা করিয়াছে। আমার জানা মতে, সে একজন সৎ, চৌকস ও পরিশ্রমী ছাত্র।
অত্র প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নকালে কোন প্রকার রাষ্ট্রবিরোধী বা অত্র প্রতিষ্ঠানের নিয়ম শৃংখলার পরিপন্থী কোন কাজে অংশ গ্রহণ করে নাই। তাহার নৈতিক চরিত্র ও আচরণ ভালো। আমি তাহার সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করিতেছি।’’
এতো গুণে গুণান্বিত সে! নতুন করে আর কিছু বলার নেই।
শিক্ষা জীবনে হিরোক রাজ্যের মহামান্য রাজার যথাযোগ্য শিক্ষামন্ত্রীর বাণীকে সে কায়োমনোবাক্যে মেনে চলে।তা হলঃ
“জ্ঞানের কোন শেষ নাই
জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা বৃথা তাই।”
লালন বাবাজীর দুকলি গান-ই তার জীবন চলার প্রধান পাথেয়ঃ
"এমন মানব জনম আর কি হবে
যা করার তা ত্বরায় কর এ ভবে।"
অতএব অন্যের ক্ষতি না করে আনন্দ উদযাপনের মধ্য দিয়ে জীবন পরিচালনায় বিশ্বাসী সে। তার কাছে মনে হয়-
‘’পাপ-পূণ্যের কথা আমি কারে বা শুধায়?
এক দেশে যা পাপ গণ্য অন্য দেশে পূণ্য তাই’’
তাই সে বলে—
‘’মানুষ আমি মানুষেরেই পূজা করি ভাই
আমার কাছে তার থেকে বড় কিছু নাই।’’
তার বাবার উপদেশঃ
"কা তব কান্তা কন্তেঃ পুত্রং
সংসারঃ মোহঃ মতিঃ বিচিত্রং
কুষ্যতং বা কুৎঃ আয়াতং ততং চিন্তং তদিতং।"
(সম্ভবত পরীক্ষার খাতায় Qoutation হিসাবে ব্যবহারের জন্য তার বাবা ছোটবেলায় মুখস্থ করেছিলেন।) সরল বাংলায় সেটার অর্থ দাঁড়ায়-
"বৌ-ছেলে-মেয়ে কেহই তোমার আপন নয়
কোন এক বিচিত্র কারণে শুধু মিছে মায়া হয়
‘নিজের তরে নিজে’ এর চেয়ে বড় সত্য নাই।”
এই সত্য মেনে নিয়ে সে এখন তার জীবন পরিচালনা করছে। খোজ নিয়ে জানা গেছে, এলাকার ‘নুইজু‘ পাগলের সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কিন্তু দুঃখের বিষয় তিনি আর বেঁচে নেই। তাছাড়া 'হালে পাগলী’র সাথেও বিশেষ উঠাবসা বা বিশেষ খাতির ছিল। প্রায়শই তাকে উপর্যুক্ত বিশেষ প্রকৃতির ব্যক্তিদের সাথে সময় অতিবাহিত করতে দেখা যেত।
এই পৃথিবীটা তাঁর কাছে আজব জায়গা মনে হয়। তাই সে ঘুরে ঘুরে পৃথিবীর রহস্য খুজতে সর্বদা ব্যকুল থাকে।