আওরঙ্গ শাহা দিল্লীশ্বর মহামতি।
অশ্বপতি গজপতি নর নৌকাপতি।।
সহশ্রেক ছত্রধারী অধিক তাহান।
পৃথিবী পূজিত শাহা মহাবলবান।।
মহাবল অবিরল চতুরঙ্গ ডল।
সৈন্যের নাহিক অন্ত যুঝুয়া সকল।।
এক বৎসরের পন্থ পাষাণ আসন।
ত্রিভুবন ভরি তান কৃতির বাখান।।
দক্ষিনে সাগরকূল উত্তরে হিমাচল।
এ সকল অধিকারী নৃপ মহাবল।।
যমুনার তীরে শুভ স্থল সুললিত।
চতুর্দিকে পাষাণের বূহ্য সুবলিত।।
মনোহর মনোরম কনক প্রাচীর।
তার মধ্যে শোভা করে সুবর্ণ মন্দির।।
শিরেত সুবর্ণ তাজ শোভিত প্রধান।
কিবা ইন্দ্র কিবা চন্দ্র কিবা পঞ্চবাণ।।
হীরমণি জড়িত শোভিত সিংহাসন।
পণ্ডিত মণ্ডিত সভা অতি বিলক্ষণ।।
সপ্ত-দ্বীপ নব-খণ্ড মহিমা প্রকাশ।
বাহুদর্পে রিপু দল করিলা বিনাশ।।
কথেক কহিতে পারি তাহান মহিমা।
দয়াল ধার্মিক শাহা দিতে নাহি সীমা।।
(দৌলত উজির বাহরাম খাঁ বিরচিত লায়লী-মজনু থেকে)