খবরের কাগজের বিজ্ঞাপনটার উপর চোখ পড়তেই ভ্রু কুচকে গেল আনিস সাহেবের। আজকাল কি বদমাশগুলো খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া শুরু করছে নাকি? কিন্তু পুরো বিজ্ঞাপন পড়ে বুজতে পারলেন এক শিক্ষক ‘পড়াইতে চাই’ বলে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। সেটা প্রিন্টিং মিসটেক হয়ে ‘থাপড়াইতে চাই’ হয়ে গেছে। যাক বিজ্ঞাপন শেষে ভেতরের পাতায় এসে চোখ আটকে গেলো আনিস সাহেবের। ‘অনৈতিক কর্মকান্ডে নারীপুরুষ’ শিরোনামটা দেখে হতাশ হলেন। দেশটা কি রসাতলে গেল? কিন্তু ভেতরের খবর পড়ে কিছুই মিলাতে পারলেন না শিরোনামের সাথে। নারী পুরুষ মিলে শব্জির ক্ষেত খামার করছেন এতে অনৈতিকতার কি আছে? পরে পাতাটি অর্থনীতির পাতায় ছাপা হয়েছে তাই তিনি বুঝতে পারলেন শিরনামটি হবে ‘অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারীপুরুষ’। এবার তিনি গেলেন বিনোদন পাতায়। ইভটিজিং বিরোধী সিনেমার শুটিং নিয়ে লেখা হয়েছে।মনে একটু শান্তি পেলেন আনিস সাহেব ইভটিজারদের যন্ত্রনায় মেয়েদের আজকাল বাইরে বেরোনো মুশকিল হয়ে গেছে। এ ধরনের পদক্ষেপ সত্যি প্রশংসনীয়। কিন্তু সিনেমার নায়িকার ডায়লগ শুনে তিনি অবাক। ‘অসভ্য, শয়তান, মেয়েদের কি করে ব্যবহার করতে হয় শিখনি।’ তবে এককালে বাংলা সিনেমার ভক্ত হওয়ার কারনে বুঝতে অসুবিধা হল না। যে ডায়লগ টি হবে ‘অসভ্য, শয়তান, মেয়েদের সাথে কি করে ব্যবহার করতে হয় শিখনি।’ মেজাজ টি খারাপ হয়ে গেল আনিস সাহেবের একদিনে পত্রিকায় এত ভুল। ছুড়ে ফেলে দিলেন পত্রিকাটি মেঝেতে।
সম্পাদক সাহেবের আজ মনটা খুবই খারাপ। একদিনে এত গুলো ভুল? কড়া নির্দেশ দিলেন তিনি পরের দিন যেন ‘ছাপার ভুলের জন্য দুঃখিত’ লেখাটি প্রথম পাতায় প্রকাশ করা হয়। পরের দিন পত্রিকার প্রথম পাতায় ছাপা হল ‘পাছার ভুলের জন্য দুঃখিত’!
বিঃ দ্রঃ আনিস সাহেব পত্রিকাটি ছুড়ে ফেলে না দিলে আর একটি ভুল উনার চোখে পড়ত। তা হল একটি সিনেমার রিভিউ। সিনেমার নাম ‘মায়ের জন্য পাগল’। ভুলে কি ছাপা হয়েছিল তা আর বলার দরকার নাই।