আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্রাড আ্যডামস বলেছেন: ‘একাত্তুরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম একটি বিয়োগান্তক ঘটনা। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত।’
লন্ডনে হাউস অব লর্ডসে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিষয়ক সেমিনার শেষে বাংলা ওয়েবসাইট বাংলানিউজ ২৪ ডট কম এর লন্ডন প্রতিনিধি সৈয়দ আনাস পাশার সঙ্গে একান্ত আলাপে আ্যডামস এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ সরকারের যুদ্ধাপরাধ বিচারের উদ্যোগকেও তিনি ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছেন। তবে আ্যডামস বলেন, বিচারটি যাতে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এ সময় তিনি বাংলাদেশের (১৯৭৩) যুদ্ধাপরাধ আইনকে যুগোপযোগী করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। আ্যাডামস বলেন, প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত ও নিরাপরাধরা যাতে কোনও হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যাপারে খুব সচেতন থাকতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে।
এ প্রসঙ্গে তিনি সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরকালে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওয়ার ক্রাইম বিষয়ক অ্যাম্বাসেডরের সুপারিশের কথাও উল্লেখ করেন।
ব্রাড আ্যডামস বলেন, ৭১ এর যুদ্ধাপরাধের বিচার শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সব শান্তিকামী মানুষই চায় বলে আমার বিশ্বাস। কারণ পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংসতম এ যুদ্ধাপরাধ মানব জাতির জন্য কলঙ্ক হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।
বিচার শুরুর প্রাক্কালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি তার কোনও বার্তা আছে কি-না, জানতে চাইলে আ্যডামস বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত বা তাদের পরিবারের সদস্যদের বিচার চাওয়ার অধিকারকে স্পষ্ট ভাষায় স্বীকৃতি দিতে চাই আমি। এ বিচার প্রাপ্তি তাদের অধিকারের অংশ।’ একটি সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি লাভের পর ক্ষতিগ্রস্তরা সান্ত্বনা পাবেন বলে মনে করেন তিনি।
সৈয়দ আনাস পাশার সঙ্গে আলাপে ব্র্যাড অ্যাডামস আইনকে কী ধরণের যুগোপযোগী করতে বলেছেন সে বিষয়ে পরিষ্কার কোন ধারণা আনাস পাশা তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেননি।
আনাস পাশার প্রতিবেদন
আমার আগের একটি পোষ্টে এই বিষয়ে বিদেশী পরামর্শ আর খবরদারির কথা বলেছিলাম।
আমার আগের পোষ্টটি
এটাও সে ধরণের একটি বিষয় কিনা সেটা বিশেষজ্ঞরা ভাববেন? কিন্তু সাধারণ একজন নাগরিক হিসেবে আমার মনে হচ্ছে সেরকমই।