অতি উচ্চ মুনাফার লোভ-দেখানো বিজ্ঞাপন দিয়ে দেশে সাধারণ লোকজনের কাছ থেকে অনেক দিন ধরে অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহ করছে এক শ্রেণীর প্রতারক। বেশ কিছু দিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক মাল্টি লেভেল মার্কেটিং বা এমএলএম নামে এই ব্যবসার মাধ্যমে মানুষ প্রতারিত হতে পারে বলে সতর্ক করে আসছে।এই ব্যবসা মানিলন্ডারিং আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেও মনে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।এদিকে, দেশের অর্থনীতিবিদরাও এ বিষয়ে গ্রাহকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। অন্যদিকে, একে আইনী কাঠামোয় আনার দাবি জানিয়েছেন এ ধরনের ব্যবসায় জড়িয়ে-পড়া গ্রাহকরা।
::::
সম্প্রতি কিছু এমএলএম কোম্পানি ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের অতি উচ্চ মুনাফার কথা বলে তাদের সংগৃহীত অর্থ দিয়ে বিদেশে স্বর্ণ কেনা হচ্ছে বলে জানায়। এরই মধ্যে এসব কোম্পানি কয়েক লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে বলে জানা গেছে।এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক গণমাধ্যমে এসব কোম্পানির বিষয়ে সচেতন হবার জন্য বিজ্ঞাপন দেয়।এর পরই এসব অবৈধ ব্যবসায় জড়িয়ে-পড়া লোকজন তাদের পুঁজি হারানোর ভয়ে আতংকিত হয়ে পড়েছেন।
তবে এমএলএম ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের দাবি : তারা কোনো ধরনের প্রতারণা করছেন না।যদিও এদের কেউই তাদের ব্যবসার পক্ষে বৈধ কোনো কাগজপত্র বা নাম-ঠিকানা দেখাতে পারেননি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন : স্বর্ণ কেনার কথা বলে লোকজনের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা সরাসরি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম জানান : থাইল্যান্ডেও এমএলএম ব্যবসার মাধ্যমে গ্রাহকরা প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন।তিনি এই ব্যবসাকে ফৌজদারী অপরাধ বলেও উল্লেখ করেন।
কয়েকদিন আগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান এসব কোম্পানির বিষয়ে বলেছিলেন : গ্রাহকদের টাকা সংগ্রহ করে বেনামে এরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছে যা পুঁজিবাজারকেও আরো অস্থিতিশীল করে তুলেছে । এসব কোম্পানিকে দেশ থেকে তাড়ানোরও ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা।
কিন্তু সাধারণ মানুষ যেন এসব হায় হায় কোম্পানীর দিকে যেন বেশি করে ঝুকেঁ পড়ছেন। আর এসব হায় হায় কোম্পানী নানান নামে, নানান ফর্মেটে তাদের কাজ চালাচ্ছে। কতদিন চলবে এসব?
সরকার কী কিছু করবেনা? আর মানুষও কী এটা বুঝবেন না??
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:৫৪