১৬ ডিসেম্বর ২০১০ দ্য ইকোনোমিষ্ট পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধ
১৬ ডিসেম্বর ২০১০ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ইকোনোমিষ্ট পত্রিকায় এই নিবন্ধটি প্রকাশ করা হয়। এতে “বাংলাদেশ রেসপন্ডস টু ক্রিটিসিজম অব ইটস প্ল্যান টু ট্রাই ওয়ার ক্রিমিন্যালস” নিবন্ধে বলা হয়েছে : বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুন্যালের আইনে স্বাক্ষ্য আইনের ধারা এবং আপিলের সুযোগ বিষয়ে অভিযুক্তদের সমর্থক এবং তাদের আন্তর্জাতিক লবিষ্টদের সমালোচনাও তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনটিতে । ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতা শাহরিয়ার কবীরকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে: একাত্তরের যুদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশে; এর শিকার হয়েছে নিরীহ বাংলাদেশীরা; অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বাংলাদেশে আর অপরাধীরাও বাংলাদেশী। সেই অপরাধের বিচার বাংলাদেশের আইনে বাংলাদেশেই হবে। আর বাংলাদেশই এর মান নির্ধারণ করবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়: আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন, ১৯৭৩ নিয়ে দেশে এবং বিদেশে সমালোচনার প্রেক্ষিতে সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধ বিষয়ে অভিজ্ঞ আমেরিকান কুটনীতিক ষ্টিফেন রাফকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। একই বিষয়ে জাতিসংঘের সহায়তাও চেয়েছে সরকার।
এটি সরকারের জন্য বেশ ঝুকিঁপূর্ণ বলে মন্তব্য করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। এই উদ্যোগের কারণে বিদেশী চাপ আসতে পারে। এতে করে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যেতে পারে বলেও প্রতিবেদনে আশংকা প্রকাশ করা হয়।
তবে প্রতিবেদনে আরো বলা হয়: সরকার দ্রুত যুদ্ধাপরাধের বিচারের আশা করলেও আইনমন্ত্রী ব্যারিষ্টার শফিক আহমেদ জানিয়েছেন: যুদ্ধাপরাধের বিচার শেষ করতে ২০১৪ সাল অর্থাৎ সরকারের মেয়াদের শেষ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ি ষ্টেফান রাফ ঢাকা এসেছেন। ১১ জানুয়ারি ব্যারিষ্টার শফিকের সঙ্গে দেখা করে যেসব কথা বলেছেন তাতে ইকোনোমিষ্ট এর অাশংকা সত্যি হতে যাচ্ছে বলে অনেকের অাশংকা।
এ সরকার কত দক্ষতার সংগে এসব চাপ সামাল দিতে পারে সেটা দেখার অপেক্ষা সবারই।
সবার চাওয়াও সরকারের সাফল্য।