হায় ! হায়!
তেতুঁল নিয়ে এতো গবেষণার পর এখন দেখা যাচ্ছে এটা একদম ভূয়া !
যদিও হেফাজত শুরুতেই দাবী করেছিল এটা কারসাজী, একদম ভূয়া....
কিন্তু এখন ডাইরেক্ট প্রমাণ করলো সেই অনুষ্ঠানের এক প্রত্যক্ষদর্শী !
"হুজুর ঈদগাহে সাধারণত আঞ্চলিক ভাষাতেই ওয়াজ করেন, কারণ এখানে গ্রাম্য মানুষেরাই বেশি আসেন। অথচ এই ওয়াজে তেতুল তত্ব, গার্মেন্টস তত্ব, শিক্ষা তত্ত্বটুকু শুদ্ধ বলে বাকি সবটুকু আঞ্চলিক ভাষা শুরু করলেন!
যেন আগে থেকেই ডিল ছিল, সারা দেশের মানুষকে শোনাতে হবে —তাই এই অংশটুকু শুদ্ধ বলবেন।"
"আলোচিত ভাষণটি গত পৌষ মাসে দেন যা আজ থেকে অনেক আগের, পুরো ভিডিও দেখুন আঞ্চলিক ভাষায় হুজুর বলেছেনও পৌষ মাসের শীতে......"
ভাল করে পড়ুন...শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত...
দেখুন কিভাবে আওয়ামী পা চাটা মিডিয়া ইসলাম ও ইসলামী ব্যক্তিত্বদের চরিত্র হননে কি জঘণ্য মিথ্যাচারই না করেছে !
''''আল্লামা শফী সাহেবের ভিডিও রহস্য উদ্ঘাটন''''
আল্লামা শফীর তেতুলিয়া ভিডিওতে স্বয়ং আমি উপস্থিত ,
ভিডিওটা দেখলাম। হাটহাজারী ঈদগাহ ময়দানে হুজুর এই বিখ্যাত এবং সর্বাধিক আলোচিত ভাষণটি গত পৌষ মাসে দেন যা আজ থেকে সাত মাস আগের। মজার ব্যাপার হলো এই ভিডিওতে আমিও আছি! অনুভূতিটাই অন্যরকম! সবাই আমাকে দেখছে!! ৭.৩০ সেকেন্ডে স্ক্রিনের ডানে এবং ৭.৩১ সেকেন্ডে মাঝে আমাকে দেখা যায়। টুপিটা অল্প বাঁকা, মাথায় হলদেসবুজ রুমাল জড়ানো এবং পিছনে তিনজন সাদা কাপড় পরা —ব্যক্তিটি আমি। হুজুরের যত বক্তব্য শুনেছি এটার সাথে কোনোটারই মিল নাই ! হুজুর সাধারণত সবাইকে মাতিয়ে রাখেন। তার বয়ানে কিছুক্ষণ পরপরই শ্রোতাদের সমস্বরে "ঠিক" শব্দটি শোনা যায়। অথচ এখানে কেউ আওয়াজই করছে না! হুজুর তাঁর বয়ানে কিছুক্ষণ পরপর একটি কথা বলার পর বলেন, "আরে বলেন না।" তখন হুজুরের সাথে সাথে সবাই সেই কথাটি বলে। এখানে তিনি বার বার "আরে বলেন না" বলেই যাচ্ছেন কিন্তু কেউ সাড়া দিচ্ছে না! হুজুর ঈদগাহে সাধারণত আঞ্চলিক ভাষাতেই ওয়াজ করেন, কারণ এখানে গ্রাম্য মানুষেরাই বেশি আসেন। অথচ এই ওয়াজে তেতুল তত্ব, গার্মেন্টস তত্ব, শিক্ষা তত্ত্বটুকু শুদ্ধ বলে বাকি সবটুকু আঞ্চলিক ভাষা শুরু করলেন! যেন আগে থেকেই ডিল ছিল, সারা দেশের মানুষকে শোনাতে হবে —তাই এই অংশটুকু শুদ্ধ বলবেন।
সব ঠিক- আল আরব এন্টারপ্রাইজ, স্টেজ, হুজুর, দর্শক, মৌসুম, কণ্ঠ —কিন্তু বলার ভঙ্গিমা ভিন্নতর! এই ডিজিটাল সরকারের আমলে এগুলো অসম্ভবের কিছু না। শুধু শ্রোতাদের শব্দসংযোগ সম্ভব হয় নি।
শেখ মুজিবের ভাষণ নিয়েও জনগণ এতো আলোচনা করে নি যতটা হুজুরের ভাষণ নিয়ে হয়েছে। এদিকে বিদেশী গবেষকদের গবেষণা করতে আগ্রহ জেগেছে। মেয়েদের দেখে ছেলেদের জিহ্বাতে লালা আসা নিয়ে দারুণ একটি গবেষণা তারা উপহার দিয়েছেন। তাসলিমা নাসরিনও দারুণভাবে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন।
দেশের মানুষ বুঝে, সরকার কেনো হেফাজতের পিছে লেগেছে। পাঁচ সিটি নির্বাচনে হার। সামনে জাতীয় নির্বাচন।সংসদে পঞ্চাশটি আসনের লোভ সরকার হেফাজতকে কেনো দেখায় জনগণ বুঝে। বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে, হেফাজতে ইসলাম অরাজনৈতিক সংগঠন। দেশের মানুষ হেফাজতের সাথে আছে। তারা সরকারকে ঘৃণা করে...........
গতকালের "মানবজমিন" পত্রিকার অনলাইন জরিপের প্রশ্ন ছিল- "আল্লামা শফীর নামে প্রচারিত ভিডিওটি কারসাজিমূলক বলে মনে করেন কি?"
ফলাফলে দেখা যাচ্ছে ৮৫.১% লোক মনে করে এটা কারসাজি অন্যদিকে ১১.৯% লোক এটা কারসাজি নয় বলে রায় দিয়েছে।
মূর্খরা যখন হেরে যায় তখন ব্যক্তিগত আক্রোশে লিপ্ত হয়.....
Courtesy: মাহবুবুর রশীদ
বাংলাদেশ ইসলামিক অনলাইন এক্টিভিস্ট ফোরাম ।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২২