: ভাই শুনছেন ইসি নাকি দুই ধরনের সরকারের অধীনেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে?
: ঠিকই তো আছে।
: না মানে ইসি দুই নৌকায় পাঁ দিয়ে ফেললো না?
: হুম তা ঠিক। ইসি এতদিন পুরো একটা নৌকাতেই ছিল। এখন শীষের দিকেও একটু টান দেখাচ্ছে, এই আর কি!
: কীসের শীষ, ধানের নাকি গমের?
: নাহ, শীষ শেষ পর্যন্ত ধানেরটাই থাকবে। গম টম বাতিল হয়ে যাবে।
: কন কী? হুদা-জাহানারা গং এর মিশন এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল?
: শোনেন এই ধরনের থার্ড ক্লাস ফাতরামি করলে ইসির লোকেরা আন্তর্জাতিকভাবে গনধোলাই খাবে। তাই এই পথে আর যাচ্ছে না ওরা।
: তাহলে কোন পথে যাচ্ছে?
: খুব শীঘ্রই আদালত থেকে নির্দেশনা আসবে, সাথে সাথে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করবে ইসি। এভাবে বিএনপিকে বন্ধুহীন করা হবে।
: তারপর?
: হাসিনার অধীনে দেয়া নির্বাচনকে যে কোন মূল্যে সফল করবে তারা।
: বিএনপি নির্বাচনে না গেলে?
: ইসি তো এটাই চাচ্ছে। বিএনপি যেন নির্বাচনে না যায় সে ব্যবস্থাই হচ্ছে।
: এতে ইসির লাভ?
: ফেয়ার খেলায় তাদের পছন্দের দল জিতবে না। তার চাইতে এটাই ভালো না যে প্রতিপক্ষ না আসায় এক পক্ষের কাছে সহজেই জয়ের মালা তুলে দেয়া গেল!
: তাহলে পাতানো নির্বাচন একটা হচ্ছে, এই তো?
: নাহ। হিসাবে ভুল করলেন।
: কী রকম?
: প্রথম প্ল্যান হলো ১৮ দল খুব হার্ডলাইনে গেলে, অর্থাৎ হাসিনা পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে আর্মি ব্যাকড ফখরুদ্দিন মার্কা একটি সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়া হবে। তারা দুই/তিন বছর দেশ শাসন করবে প্রো আওয়ামী লীগ কায়দায়। ২/৩ বছর পর একটা ভোট হবে ২০০৮ স্টাইলে।
: দ্বিতীয় প্ল্যান?
: ১৮ দল খুব সহিংস না হলে অথবা আর্মিকে রাজি করানো না গেলে পাতানো নির্বাচন হবে। এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সকল বিরোধী দলকে ব্যান করে নতুন স্টাইলে দেশ চালাবে।
: তাহলে দেশের ভবিষ্যৎ বড় অনিশ্চিত?
: তা বলতে পারেন। তবে এর মধ্যেও কথা আছে।
: কী রকম?
: ১৮ দল যদি মাথা ঠান্ডা রেখে শেষ টাইমে খেলতে পারে, যদি কোন ফাউল না করে, তাহলে হাসিনার দুই প্ল্যানের কোনটাই সফল হবে না।
: ১৮ দলকে কীভাবে খেলতে হবে?
: এখনই খুব আক্রমনাত্মক খেলা যাবে না। আক্রমনাত্মক খেলতে হবে একেবারে ইলেভেন্থ আওয়ারে, অক্টোবরে। যখন প্রতিপক্ষের নার্ভ দুর্বল থাকবে। আর কোনভাবেই পাতানো নির্বাচন হতে দেয়া যাবে না। কারণ নির্বাচন একবার করে ফেলতে পারলে আগামি পাঁচ বছর দেশের কাউকে টুঁ শব্দ করতে দেবে না হাসিনা।
: কিন্তু আক্রমনাত্মক খেলতে গেলে যদি আর্মি আসে?
: খালেদা জিয়ার উচিৎ হবে তলে তলে আর্মিকে কনভিনস করা । বলতে হবে তোমরা চুপ থাকো, ফেয়ার নির্বাচনে আমরা আসলে তোমাদের কোন ক্ষতি করা হবে না।
: আর্মি কনভিনস হবে?
: আলবৎ হবে। কারণ এখন একটা শিশুও জানে ফেয়ার নির্বাচন হলে বিএনপি আসবে ক্ষমতায়। তাই নিজের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধার গ্যারান্টি পেলে সম্ভাব্য সরকারি দলকে অবশ্যই সাহায্য করবে আর্মি। নিদনপক্ষে চুপ থেকে সমর্থন জানাবে।
: জামায়াতকে ব্যান করার পর খালেদার আন্দোলনের কনফিডেন্স থাকবে?
: জামায়াতকে ব্যান করলেও ক্ষতি নেই। জামায়াতের কর্মীরা তো থাকবে। আর তাছাড়া ব্যানের বিরুদ্ধে আপিলে যাবে জামায়াত। এত শর্ট টাইমে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত ফয়সালা দিতে পারবে না আপিল বিভাগ। তাই ঘটনা যাই ঘটুক, খালেদার আগামি তিন মাসের মূল ফোকাস থাকা উচিৎ হবে তত্বাবধায়ক। তত্বাবধায়ক আসলে সব ফাঁড়াই কেটে যাবে এক সময়।
: তাহলে রোজার পর খুব জমজমাট খেলা অপেক্ষা করছে?
: হুম, যান গ্যালারির সিট আগেই বুকিং দিয়ে রাখেন।
Optimistic Rokon