
যারা ব্রাহ্মন অথবা যাদের বাসায় পেয়াজ নাই অথবা যারা আমার মত ভুলুক্কুর রান্নায় পেয়াজ দিতে ভুলে যান, তাদের হতাশ হওয়ার কোন কারন নাই। কারন আমি তাদের জন্য নিয়ে এসেছি এক নতুন মুরগী পোলাও, সরি ব্রয়লার (ব্রয়লার মুরগী জিন্দাবাদ) পোলাও রেসিপি। তবে ব্রয়লার খান না এমন নাকউচু ভাই ওবোনদেরও কোন সমস্যা নাই তারা ব্রয়লারকে দেশী মুরগী দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে পারেন।
তাহলে শুরু করা যাক। প্রয়োজনীয় উপকরনের মধ্যে রয়েছে, ফাটাফাটি কোয়ালিটির বাসমতি চাল। এখানে চালটা ফাটাফাটি কোয়ালিটির বলছি এই কারনে, যেহেতু আমরা পিয়াজ ব্যবহার করবনা সেহেতু চালের ক্ষেত্রে নো কম্প্রমাইজ। এবার লাগবে কিছু মুরগীর উইংস/ রান, আদারসুন পেষ্ট, সামান্য শাহী জিরা (আস্ত হলেই চলবে নো বাটাবাটি), টক দই, মরিচের গুড়া, লবন, গোলমরিচ, এলাচ, দারচিনি, এক চামচ লেবুর রস, সামান্য তেল।এবারে একটা বড় হাড়িতে মুরগীর মাংশের সাথে সব উপকরন মিশিয়ে চুলায় দিতে হবে মাঝারী আচে। আরেকটি পাত্রে যথেষ্ট পরিমান পানি দিয়ে চুলায় দিতে হবে এবং পানি ফুটে উঠলে ধুয়ে রাখা চাল, , সামান্য লবন ও এক চা চামচ তেল দিয়ে ভাত রান্না করে নিতে হবে। তিনটা আলু মাঝারী সাইজে কেটে লবন ও মরিচের গুড়া মিশিয়ে তেলে কড়া ভাজা দিতে হবে। মিনিট আটেক পরে যখন মুরগির সকল পানি শুকিয়ে যাবে তখন এককাপ পরিমান দুধ ও এককাপ পানি দিয়ে জ্বাল বাড়িয়ে ঢাকনা লাগিয়ে দিতে হবে। এবারে মুরগীর ঝোল শুকানোর অপেক্ষা। ইতিমদ্ধে নিশ্চয় ভাত রান্না কমপ্লিট। মুরগীর ঝোল শুকিয়ে আসলে, মুরগীর উপরে ভাত ও ভেজে রাখা আলু বিছিয়ে দিয়ে এয়ারটাইট করে ঢাকনা লাগিয়ে দিতে হবে। এই পর্যায়ে চুলার আচ একেবারে কমিয়ে দিতে হবে। ঘী থাকলে দুই চামচ ঘী দেয়া যেতে পারে। মিনিট পনেরোর মধ্যে তৈরী হয়ে যাবে মজাদার ব্রয়লার পোলাও। সালাদের সাথে গরম গরম পরিবেশন করতে পারেন।

কোল্ড ড্রিংক্স খেতে পারেন পার্টি ইমেজ দেয়ার জন্য।
আর লাস্টে যদি এরকম একপিস কেক ডেজার্ট হিসেবে থাকে তাহলেত একেবারে বেহেশতি সুখ পাবেন।

এবার দেরি না করে খাওয়া শুরু করেন।
বি.দ্র: শুধুমাত্র পোলাওয়ের ছবিটা গুগল থেকে