এইতো মার্চ মাসের মাঝামাঝির দিকে একদিন দুপুরে মালিবাগ কেএফসিতে খেয়ে চায়ের খোঁজে বেশ কিছুদূর হেঁটে চলে এলাম তালতলা সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের দিকে। একটা দোকানে দেখলাম চায়ের কাপগুলো বেশ অন্যরকম, আমাদের গড় যে কাঁচের ছোট কাপ সেরকম না! যাহোক কাপের আকারে তো আর চায়ের স্বাদ বোঝা যায় না, কিন্তু দোকানদার দেখলাম খুব যত্ন করে কাপটা ধুচ্ছে।
যে চা এলো, তা কিন্তু ছিল একেবারেই দারুণ। শুধু যে স্বাদ দারুণ তা না - চায়ের আস্বাদন উন্নত করতে আর যা যা দরকার - পরিবেশ, মানুষ দেখা, কথার অংশবিশেষ শোনা - সেও ছিল বেশ খাসা। আমার সামনের দুজন কঠিন প্রেম আর বিরহের দৈহিক আঙ্গিক নিয়ে বেশ জোরেশোরে কথা চালাচ্ছিলো। প্রায় বিশ মিনিট কেটে গেল নিমেষেই।
দোকানদার নিজেও বেশ আড্ডাবাজ মানুষ, পাড়ার লোকেও তাকে চেনে - তার থেকে বিভিন্ন জিনিস নিচ্ছে - তার চা বানানো বেশ স্পেশাল - সেই টেকনিক এবং দোকান নিয়েও কিছুটা বললেন আরকি।
প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে করোনায় ঘরে। বলে না, যখন জীবন তোমাকে লেবু দিবে, লেবুর সরবত বানাও? সেই চেষ্টাই চালাচ্ছি, একেবারেই যে অসফল হচ্ছি বলবো না, বরং প্রতিদিনই তো মনে হচ্ছে বেশ মানিয়ে নিচ্ছি। কিন্তু মাঝে মাঝে লেবু চিপলে যে বেশি তিতা হয় না, তাও কিন্তু না।
এ জিনিসগুলা মিস করি এই করোনা আমলে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩১