বিহার সম্পর্কে খুব পজিটিভ চিন্তাভাবনা কখনোই ছিল না। সত্যি কথা বলতে তেমন কোন চিন্তাভাবনাই ছিল না। ভারতের অন্যতম গরীব রাজ্য; এগারো কোটি লোক প্রায়; মাথাপিছু আয় বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক। বিহারকে প্রায়ই তুলে ধরা হয় ভারতীয় ডিসফাংশনের উদাহরণ হিসেবে। এমনকি এখনো নেট ঘাটলে বিহার নিয়ে কি খবর আসে - উদ্বোধণের আগের দিন বাঁধ ভেঙ্গে কলাপ্স করলো। লালু প্রসাদ যাদবের কাজ কারবার দেখে আমাদের হাসিই প্রায় হয়তো প্রায়শই।
অথচ বিভূতিভূষণের আরণ্যক পড়ে পুর্ব বিহারের ভাগলপুর, পূর্নিয়া, এমনকি মুঙ্গের নিয়েও আমার তীব্র আগ্রহের সৃষ্টি হল! মোটামুটি ফুলকিয়া আর নাঢ়া বইহারের প্রেমে পড়ে গেছি বলা চলে। সাথে মহালিখারূপের শৈলশ্রেণী, স্বরস্বতীকুন্ড। পূর্ণিয়ার হো হো নাচ আর ভাগলপুরের ছক্করবাজি নাচ। গাঙ্গোতাদের যাযাবর জীবন। ধাতুরিয়া নাচুনে আর যুগলপ্রসাদের প্রকৃতিপ্রেম। দারিদ্র্য যে মহৎ, স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবন সৃষ্টি করতে পারে, সেটা তুলে ধরে যে অসাধারন সাহিত্য সৃষ্টি করা যায়, সেটার প্রমাণ একবার আগে দিয়েছিলেন মানিক বন্দোপাধ্যায়, এখন দিচ্ছেন বিভূতিভূষণ।