প্রায় দুই বছর ধরে ঢাকার বাইরে আমি, ইউরোপের বুলগেরিয়ায়। ঢাকার যে জিনিসগুলি সবচেয়ে মিস করিঃ
১। ঢাকার রাস্তায় দিকবিহীনভাবে হেঁটে বেড়ানো। এসব পশ্চিমা দেশে রাস্তাঘাটে লোক নাই, ঢাকার রাস্তা লোক, ফেরিওয়ালা, জীবনের নানা নাটকে পূর্ণ। রাস্তাঘাটের দুর্দশার কারণে এক একটা পাড়ায় হাঁটা মাঝে মাঝেই এক এক রকম এডভেঞ্চার। এক একটা পাড়ার চরিত্র একেক রকম। প্রিয় কিছু রুট আমারঃ
- ইকবাল রোড থেকে সলিমুল্লাহ রোড ভিন্ন, সলিমুল্লাহ রোড থেকে রাজিয়া সুলতানা রোড ভিন্ন, রাজিয়া সুলতানা থেকে নূরজাহান রোড ভিন্ন।
- পল্টনে রাস্তায় বাইরে দাঁড়িয়ে দরগা শরীফের ইতিহাস পড়া।
- মতিঝিলে নটর ডেম কলেজ থেকে শুরু করে কমলাপুর রেল স্টেশন পর্যন্ত রাস্তা একরকম। আবার সেখান থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত রাস্তা আরেক রকম।
- বসুন্ধরার মোড় থেকে শুরু করে ব্লক এফ পর্যন্ত রাস্তা এমনকি গুগল ম্যাপসেও যেন ঢাকার মাইক্রোকজম, একদম বিশাল হাইরাইজ থেকে শুরু করে ব্লক এফের চরভূমি, মাঝখানে ব্লক ই-তে মাদ্রাসার দিকে বিভিন্ন ক্ষেত-খামার আর হাঁটার বিশাল এলাকা।
- মিরপুর ১৪ থেকে ক্যান্টনমেন্ট সৈনিক ক্লাবে গেলে দুই রকমের দুইটা এলাকা পার হওয়া লাগে, কাফরুল এক রকম - ক্যান্টনমেন্ট তো যেন আরেক গ্রহ। ক্যান্টনমেন্টের ভিতরেও আবার বৈচিত্র্য কম না।
- বাসাবো সবুজবাগের নিরিবিলি গলিগুলি
২। আরেকটা জিনিস যেটা বেশ মিস করি সেটা হল টং-এর দোকানের চা। চা এখানেও বানানো যায়, কিন্তু চা বানায় খেতে হবে কেন? টং এর দোকানে ফেলো কড়ি খাও চা, সাথে মানবদর্শন, সারমেয়দর্শন। কখনো চাওয়ালার সাথে আড্ডা, কখনো বন্ধু আর কলিগের সাথে আড্ডা।
৩। কখনো কখনো বাসে করে ধুমাধুম যে কোন জায়গায় চলে যাওয়া। গুলিস্তান থেকে মুন্সীগঞ্জের দীঘিরপাড় একরকম, আবার ইছাপুরা-সিরাজদিখাঁন আরেকরকম। মাওয়া ঘাটে ইলিশ খাওয়া, আবার ঘাটের আগে কলেজমোড়ের দৃশ্যাবলি কতই না ভিন্ন।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৪