ভেতরের লোনা কষ্ট জ্বালায়
একদিন মিশে যাবো হঠাৎ
খুঁজেও পাবি না তখন।
এই যে আষাঢ়ের আগমনে
হাঁসফাঁস পৃথিবীর মুক্তির সুর!
এ যেন আমারও মুক্তি ধ্বণি
গেয়ে চলেছে অবিরাম,
দখিনা বাতাসে কান ঘেঁষে
দূর দুঃখ সেতারে আজ
বহুদিন পর উঠিছে ঝংকারে
পুরোনো দুঃখ দিনের দুঃখ সুর
মেতেছে দুঃখ জলের দুঃখ খেলায়
পুরোনো সেই জল খেলায়!
এ যেন বর্ষার থৈ থৈ কালো জলে
সমস্ত ব্যথা বেদনার বিষ ধুয়ে
শুদ্ধ সুখি হওয়ার আহবান!
কালো আঁধারে মিশে থাকা
বর্ষার জলে ভেজা জড়োসরো
একটা কালো কাক
ডেকে চলেছে অবিরাম
তার ডাকে নেই জীবনের কোন সুর
নিয়তির পিছু পিছু হয়তো তারও
চলে এসেছে মুক্তির ডাক!
কালো এই মুক্তির রাতে...
শিশির ভেজা গাছের ছাল
ভেজা মাটির সোঁদা গন্ধে
মিলেমিশে একাকার
বাতাসময় স্নিগ্ধতার ছোপ ছোপ সুখ
আর বুনোলতাপাতার উচ্ছাসে
চারিধারে থৈ থৈ সুখের
অকৃত্তিম জলধারায়
পৃথিবী আজ শান্তিময়
বড়ো বেশি শান্তি ময়!
চোখের আড়ালে চোখ
উঁকি মারে যেন,
কি যেন বলতে চায় সে!
কি এক অদ্ভুত জীজ্ঞাসা
সেই আড়ালে থাকা চোখে।
ভাঙাচুড়া রাতপথ
পেরুতে চায় না যেন
মহাকালের মহাযাত্রায়
বেড়িয়েছে পুরো পৃথিবী
শেষ হবার নয় অত সহজে
শেষ কি হবে না তবে?
রাত শেষ না হলে যে
সকাল আসবে না,
আসবে না বিকেল!
বিকেলের বৃষ্টিতে
তোমার হাতটি ধরে
ভেজা কি হবে না তবে
এই জীবনে?
তবুও স্বপ্ন দেখি
ভেতরে ভেতরে স্বপ্ন আঁকি...
বর্ষা ভেজা এই রাতপথে,
হাত রেখেছি তোমার হাতে!