হঠাৎ দেখবি পালিয়ে গেছি
হারিয়ে গেছি দূরে
দূরের কোন পুরে।
খুঁজবি জানি অনেক করে
মন পৃথিবী কান্না সুরে
মাতবি দুখের পাল উড়িয়ে
ভেতর নদীর জল ফুড়িয়ে
ভাঙবি মনের তীর,
জ্বলবে ভেতর নীড়।
আর্তনাদে ছুটবি যে তুই
বাগান ভরে হাসবে না জুঁই
ব্যাথার নদী স্বপ্ন জলে
ঢুকরে ওঠে শান্তি বলে
শান্তি এখন কষ্ট নদী!
কেমন নদী বুঝতি যদি
কষ্ট নদী কষ্ট পাথর!
চোখের ভিতর স্বপ্ন নিথর,
ভালোবাসার তুলসি পাতা
মরে যাওয়া শেষ কবিতা...
ভালোবাসার ছোট ছোট দাবিগুলো মানতে খুব কষ্ট হয় বুঝি তোর? জানিস, আমারও কষ্ট হয় খুব, য়খন দেখি তুই মানতে পারছিস না, যখন বুঝি তোর মানতে কষ্ট হচ্ছে। আমি তখন আর ঠিক থাকতে পারি না, একটুও না। মনের ভেতর একটা ঝড় ওঠে তখন, সব কিছু তছনছ করে দেয় এক নিমিষে। দম ফাটা কষ্টে ভেতরে ভেতরে মরে যাই আমি।
ভালোবাসার ছোট ছোট না মানা দাবিগুলোয় ভেতরটা কেমন জ্বলে যায় তা যদি তুই বুঝতি, তুই বুঝবি না। কি অসহ্য কষ্ট হয়, তাও বুঝবি না, কখনো বুঝবি না জানি। আমার সময় খারাপ কাটুক, কাটবে, এটাই আমার নিয়তি। তুই ভালো থাক, তোর সময় ভালো কাটুক। ভালোবাসার সমস্ত সুখ তোকে ঘিরে থাক, জ্বালাগুলো সব আমারই থাকুক, নিভৃতে জড়িয়ে রাখুক এই বিদীর্ণ প্রাণ।
বুকশহরের কোলে ঠিক যেখানটায় থৈ থৈ জলমেলা বসেছিলো গত রাত্রিতে, আজ সেখানে ধূ ধূ মরু হাহাকার। ঐ শোনো কানপেতে, আর্তনাদে ফেঁটে পড়ছে হৃদয়। শুনতে কি পাচ্ছো? পশ্চিম আকাশে লাল রক্তের উল্লাসধ্বনি। মৃত্যু ফাঁদে একে একে ধরা দিচ্ছে পলাতক স্বপ্নপাখির দল। কল্পনার ভাঙা দেয়াল টপকে পালিয়ে যাচ্ছে স্মৃতির ময়ুর। রাত গভীর হচ্ছে। মুচকি হেসে হঠাৎ আত্মহূতি দিলো পূর্নচাঁদ। রাশি রাশি অন্ধকার গিলে খেলো সমগ্র শহর, সাথে একজোড়া চোখ।
কষ্টগুলো কষ্ট হয়ে লেপ্টে থাকে বুকের কোনে, গহীণ মনে, তোমার সনে..
আমি কষ্ট নিয়ে পথ চলি, চলতে চলতে কথা বলি, তোমায় নিয়ে, আমায় দিয়ে..
তোমায় নিয়ে কষ্টে বিভোর স্বপ্ন জোনাক পথিক পথে, তোমায় নিয়ে কষ্ট রথে, পথে পথে..
আমি আকাশদুপুর কান্না খেলি, তোমায় মেলি, সুখের ভেতর দুঃখ খেলি, তোমায় মেলি..
তুমি আমার সপ্ব সকাল কান্না হাসি, নোনতা জলের গোপন হাসি, তোমায় ভালোবাসি..