আমি দমের কারিগর নই
======================
অনেক পরিচিতি লাভ বা বয়স্ক বাতাস কান্না লুকানো শিখলেই
মানুষ তার একান্ত কিছু মাঠ-খাট-বালিশ-কোলবালিশ কালো পর্দায়
ঢেকে রাখে;ওখানকার ফসলেরা জন্মান্ধ কালো। যারা থাকেন তাদের
কালো আস্তিনের গিঁট খোলা; কোমর খুলে সাপগুলি হেঁটে যায় চিহ্ন রেখে
একান্ত নিজস্ব গুহায়। আর বয়ামের ভেতর প্রজাপতিদের উড়াউড়ি;
আহা!
মায়া কেবলি মায়া
ভয় কেবল হরণের-হারানোর।
কেননা!
কেবলি নেমে যায় আয়ুর পারদ, অস্থির নীমপাখি ডেকে যায় উঠোনে,
ভেংচি দিয়ে মাথার উপর উড়ে যায় শ্বেতচিল। আমি দমের কারিগর নই;
জরায়ুর জঠরের মুখ সেলাই করে দিতে পারিনা; কালো উত্থিতমাংসদন্ড সূর্য্যের মত তেঁতে উঠে --- কাম জেগে উঠে পঞ্চশিরায়--শিরায়।
এরপর মৃতরা হয়তো হারিয়ে যায় চৌথা আসমানে। আমার জন্মান্ধ অনিদ্রিত চোখের কোনায় লেগে আছে দুধেল চাঁদ ও ঠোঁটে ননী
আমার এখনও আয়েশ মেটেনাই----আমার মন ভরেনাই।
-------আল্লাইয়ার
====================
[উৎসর্গঃ আমার বড় ফুফুকে; আমার ছেলের ধারনা তিনি এখন আকাশে উড়ে বেড়ায়]
দির্ঘ ২ বছর বা আরো বেশী সময়ের পর আবার লিখতে বসলাম। নানাবিধ কারনে লিখায় মন বসেনাই।
কিছুদিন আগে ক্যান্সারে আমার এক প্রীয় মানুষ আমার বড় ফুফুকে হারালাম। তিনি আমার লিখার একজন ভক্ত ছিলেন।
সেদিন রাত প্রায় ১১টা; আমি ল্যাব এইডের সামনে বসে চা খাচ্ছি, খুব যত্নে- যাতে ঠোঁট বা জিভ না পুড়ে যায়।আহা আমার নিজের প্রতি নিজের কত মায়া!! অথচ হাসপাতালের বিছানায় আমার ফুফু স্রষ্টার কাছে প্রতি নিয়ত মরন ভিক্ষা চাইছিলেন এবং সে আমাকেও বলছিলো "আমাকে মেরে ফেলো"। আমি জানি একটা মানুষের কাছে প্রীয় হচ্ছে তার জীবন। খুব সহজে মানুষ এর নিঃশ্বেষ চায়না। জীবন আমাকে আবার ভাবালো।
আমার মা; আমার জন্মদাত্রী মা তিনিও ক্যান্সারের রুগী। আমি দিনে দিনে খুব শক্ত হয়ে পরছি। কেননা আমি দমের কারিগর নই। আমি খুব অতি সাধারন একজন মানুষ; আমি আমার চারপাশের মানুষকে কেবল হারাতেই পারি। আমি দমের কারিগর নই।
এই কবিতাটা আমার ফুফুকেই লিখে দিলাম