somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রতিদান-৮

২৯ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
(আগের পর্বের পর থেকে)

আরোহীকে বললাম,“ আমার বাবা-মা যদি এখন আমাকে বিয়ের কথা বলে, তাহলে আমি তাদের একটা কথাই বলবো।”
“কি কথা?” জানতে চাইলো আরোহী।
“ পৃথিবীর কোন মেয়েই বিয়ে করবে না আমাকে। এমনকি কোন মেয়ের বাবা-মায়েরাও চাইবে না যে, তাদের মেয়ের জীবনটা নষ্ট হোক আমার কারণে।”
“ তার মানে?” জিজ্ঞেস করলো আরোহী।
“ আমি বলবো, “ আমার এইডস হয়েছে, যার কোন চিকিৎসা নেই।”
“তুমি মিথ্যে বলবে?”
“হ্যা, প্রয়োজনে তা-ই করবো।”
“ এ কথা বললে কিন্তু তুমি তোমার এলাকায় থাকতে পারবে না।” বলে আরোহী আমাকে সর্তক করে দিলো।
আমি বললাম, “জানি।”
“তারপরও....তুমি নিজের এত বড় ক্ষতি করবে?”
‍"হ্যা"
“কিন্তু কেন?”
“শুধু তোমাকে বাচানোর জন্য। কারণ, আমি এখন তোমাকে ভালবাসতে শুরু করেছি।”
“ আচ্ছা, তুমিও কি তা করবে, জয় যা করেছে আমার সাথে?”
“ না আরোহী, আমি তা কখনো করবো না । আমি শুধু ভালবাসা দেবো তোমাকে। কোন কষ্ট দেবো না তোমাকে কখনো ।”
“তাই।”


পরদিনের ঘটনা

আরোহী বললো,“আচ্ছা আরমান, মনে করো, তোমার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে। আর আমি তখন তোমাদের বাড়িতে। (আর তখন) হঠাৎ একদিন জয় এসে আমাকে বললো,“ আরোহী, আমার ভুল হয়ে গেছে (তখন), আমাকে মাফ করে দাও এখন। (তুমি) চল এখন আমার ঘরে।”
আচ্ছা আরমান, তোমাকে এখন একটা প্রশ্ন করি আমি?”
আমি বললাম,“ করো?”
“ জয়ের এসব কথা শোনে তুমি কি করবে তখন? (তুমি কি তখন) আমাকে যেতে দেবে তার সাথে?”
“না, আমার জীবন থাকতেও আমি যেতে দেবো না তোমাকে?”
“(আর) আমি নিজেই যদি যেতে চাই? তারপরও কি তুমি যেতে দেবে না আমাকে?”
“না।”
“কেন?”
“কারণ, আমি সহ্য করতে পারবো না তোমাকে হারানোর ব্যথা।”
আমার কথা শোনে আরোহী অবাক হয়ে বললো,“ তুমি এতো ভালবাসো আমাকে?”
“অবশ্যই,” আমি বললাম,“শোন আরোহী, আমি তোমাকে যেতে না দিলেও তুমি ঠিকই যেতে পারবে ওর (জয়ের) কাছে।”
“কিভাবে?” জানতে চাইলো আরোহী।
আমি বুদ্ধি দিলাম তাকে,“ তোমাকে তালাক দেওয়া কখনো সম্ভব নয় আমার পক্ষে।”
“ তুমি তালাক না দিলে আমি কিভাবে যাবো ওর কাছে?”
“কেন? তুমি কি তালাক দিতে পারবে না আমাকে?”
“ হ্যা, তা অবশ্য পারবো। কিন্তু তালাক তো আর এমনি এমনি হবে না। এর জন্য তো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকতে হবে তোমার বিরুদ্ধে।”
“এ নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবে না তোমাকে। তুমি শুধু আদালতে বলবে যে, আরমান পুরুষত্বহীন। কোনদিন সন্তানের বাবা হতে পারবে না।”
আরোহী আবারো অবাক হয়ে বলে,“ আরমান, এসব কি বলছো তুমি? তোমার মাথা ঠিক আছে তো?”
“ হ্যা, ঠিক আছে।” জবাব দিলাম আমি।
“আমার জন্য তুমি কেন নিজের এতো বড়ো ক্ষতি করবে? তুমি কি জানো আমার এই একটা কথায় ধ্বংশ হয়ে যাবে তোমার জীবনটা?”
“ জানি, আমি সবই জানি। তোমার এই একটা কথায় কি হবে আমার পরিণতিটা?”
“ তারপরও তুমি কেন আমাকে এমন বুদ্ধি দিচ্ছো?”
“কারণ, আমি তোমার মুখে হাসি দেখতে চাই।”
“ঠিক আছে। এখন বাদ দাও এসব কথা। যখন সময় হবে, তখন দেখা যাবে।কারণ, তখন আমার পাশে শুধু আমার প্রেমিক(জয়) থাকবে না, স্বামীও (আরমান) থাকবে। আমাকে তখন শুধু প্রেমিকের কথা ভাবলে চলবে না, স্বামীর কথাও ভাবতে হবে।”
“তোমার স্বামীর কথা না ভাবলেও চলবে।” আমি বললাম।
আরোহী বললো,“জ্বী না। আমি যদি তখন তাকে ছেড়ে চলে যাই, তখন তার জীবনটাও যে, ধ্বংশ হয়ে যাবে।”
“তাই।”
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪১
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অদ্ভুতত্ব.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৩

অদ্ভুতত্ব.....

আমরা অনিয়ম করতে করতে এমন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, অনিয়মকেই নিয়ম আর নিয়মকে অনিয়ম মনে হয়। নিয়মকে কারো কাছে ভালো লাগে না, অনিয়মকেই ভালো লাগে। তাই কেউ নিয়ম মাফিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের কালো রাজনীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত অধ্যাপক ইউসুফ আলী !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৮




অধ্যাপক ইউসুফ আলী মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন।

উনি ছিলেন বাংলার অধ্যাপক। ৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান আইনসভার সদস্য হন। ৬৫ সালে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য,... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯






ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার দশটা ইচ্ছে

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩১



প্রত্যেক রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মনে হয়-
যদি সকালটাকে দেখতে না পাই। কেউ যদি জিজ্ঞেস করেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্ময়কর জিনিস কি? তাহলে বলব মানুষের বেচে থাকা। মরে গেলেই তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×