বিগত কয়েকদিন যাবত সাধারন ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও আলেম-উলামাদের অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম আর শাহবাগের গনজাগরন মঞ্চ মুখামুখি অবস্থানে রয়েছে। এবং তাদের তীব্র প্রতিবাদে চট্রগ্রামে সমাবেশ হতে পারেনি। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের বয়কট করার ও তাদের সমাবেশ প্রতিহত করার ঘোষনা দেওয়া হচ্ছে।
হেফজতে ইসলাম মুলত সম্পুর্ন অরাজনৈতিক একটি সংগঠন। এ দলে বিভিন্ন শ্রেনীর বিভিন্ন পেশার সব ধরনের মানুষ এখানে রয়েছে। একটি অরাজনৈতিক ঈমানি সংগঠন হওয়াতে এতে রয়েছে সব মানুষের মিলন মেলা। যেমনিভাবে আওয়ামিলীগ-বিএনপি, জাতিয়পার্টির ধর্ম প্রাণ সব মুসলমান খোদাদ্রোহীদের প্রত্যাখ্যান করে কাধে কাধ মিলিয়ে স্লোগান দিচ্ছে ঠিক তেমনি খেটে খাওয়া মানুষ, রাজনীতি নিয়ে যাদের মাথাব্যাথা নেই তারাও স্লোগানে স্লোগানে ইসলাম বিদ্বেষীদের বিচারের দাবীতে এগিয়ে যাচ্ছেন। এ সকল ধর্ম প্রাণ মানুষ দেশের প্রবীণ সর্বজন শ্রদ্ধেয়, দেশের বর্তমানে আলেম-উলামা, ছাত্র-জনতার প্রধান মুরব্বি চট্রগ্রামের হাটাহজারী মাদরাসার প্রধান মাওলানা আহমদ শফি দা: বা: এর নেতৃত্বে ইসলাম বিদ্বেষীদের, খোদাদ্রোহিদের রুখতে আন্দোলন করছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। বরং জামাতে ইসলামের জন্ম লগ্ন থেকেই তারা জামাত বিরোধিতা করে আসছে। তাই হেফজতে ইসলাম ও যুদ্ধাপরাধীদের ফাসি চায়। তারা এ দাবীর সাথে একমত।
যেটা আমি আমার আগের পোস্টে বলে এসেছি
"প্রতিপক্ষ কারা? আলেম-উলামা নাকি জামাত-শিবির"
তাই এ দাবীটা যেন বিশেষ কারো বেফাস কথাবার্তার মাধ্যমে প্রশ্নবিদ্ধ করা না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্ট রাখার আহবান জানাব।
গতকাল ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শাহবাগ আন্দোলনের অন্যতম উদ্দোক্তা ঘাদানিক জনাব শাহরিয়ার কবির মাওলানা আহমদ শফি দা:বা: কে নিয়ে কিছু বাজে মন্তব্য করায় এ লেখাগুলো লেখলাম।
পত্রিকায় তার সেই ভাষন টা
ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির হেফাজতে ইসলামের আমির ও চট্টগ্রাম হাটাহাজারী মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা শফীকে মাওলানা নামধারী ব্যক্তি আখ্যায়িত করে বলেছেন, ‘আমি তাকে মৌলবাদী দুর্বৃত্ত ছাড়া কিছু বলি না।’
গতকাল স্থানীয় প্রেস কাব মিলনায়তনে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শাহরিয়ার কবির এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন নির্মূল কমিটির জেলা সভাপতি ফয়জুর রহমান।
শাহরিয়ার কবির বলেন, চট্টগ্রামে শাহবাগের ছেলেদের সমাবেশ করতে না পারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তির সুস্পষ্ট পশ্চাদপসরণ। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধী ট্রাইব্যুনালেও জামায়াত ঢুকে গেছে। ট্রাইব্যুনাল থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার হয়ে যাচ্ছে। শাহরিয়ার কবির বলেন, ইসলামকে রক্ষা করতে জামায়াত এবং হেফাজতে ইসলামকে বর্জন করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, মানবাধিকার কমিশনের জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এইচ এম খালেকুজ্জামান, সিপিবির জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাত ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলা সভাপতি আমীর আহম্মেদ চৌধুরী রতন। শাহরিয়ার কবিরের আগমন উপলক্ষে ময়মনসিংহ প্রেস কাবে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ সময় সভায় আগতদের পুলিশ দেহ তল্লাশি করে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮