কোচরা গরো।,বর্মন ইত্যাদি নৃগোষ্টির সহধর্মী বৈশিষ্ঠ ধারণ করে আছে।তাদের অবস্থানও দেশের গারো অধ্যুষিত অঞ্চলগোলোর কাছাকাছি।প্রধানত শেরপুর ঝেলার অঞ্চলগোলোতে (নালিতাবাড়ি, ঝিনাইগাতি,শ্রীবর্দি) এই জনগোষ্টির বাস। সঠিক কোন পরিসংখান না থাকলেও পরিমান করা হয় প্রাঁয় পাঁচ হাজার কোচ রয়েছে শেরপুরে। তবে বৃহত্তম ময়মনসিংহের মধুপুরেও অনেক কোচ পরিবার রয়েছে। সেখানে পীরগাছায় "কোচ আদি বাসী ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র" চালু হয়েছে সমপ্রতি। কোচরা দাবি করে থাকে তাদের আদিবাস ভারতের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও মেঘালয় অঞ্চলে।ঐসব এলাকায় এখনো অনেক কোচ রয়েছে।অতিতে কোন এক সময় কোচ বিহার অঞ্চল থেকে কোচদের কোন গোত্র মেঘালয় অঞ্চলে দুর্গম গারো পাহারের দিকে চলে এসেছিল বলে ধারনা করা হয়।
কোচদের মধ্যে বহু গোত্র ও ভাগ বিদ্যমান। বিয়েসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিকতায় এসব গোত্র ও ভাগ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচ্য। এ পরিবারগুলো পিতৃতান্ত্রিক,তাই পুরুষরাই সম্পদের মালিক হয়। এ খেত্রে তারা হিন্দু উত্তরাধিকার আইন অনুসরণ করে থাকে।
কোচ সমাজে শক্তিশলী সালিশ ব্যবস্থা রয়েছে এবং তার রায়ই চূঢ়ান্ত। তারা দাবি করে থাকে তাদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে। যদিও তার কোন লিখিত বর্ণরুপ দেখেযায় না। অসমীয়া, গরো ও বাঙলা ভাষার মিশ্রিত এক রুপ এই ভাষা। শিক্ষার হার অতি কম। দারিদ্রতা তাদের মুল সমস্যা। শিকার করা একসময়কার প্রধান পেশা হলেও বর্তমানে গ্রামীন পরিসরে শ্রম বিক্রিই কোচদের মূল অবলম্বন। বাঙ্গালিদের মতই খাবারের অভ্যাস । তবে গরুর মাংস খায়না তারা।পরিবর্তে শুকুরের মাংশ, কচ্ছপ,কুচিয়া,সজারু ইত্যাদির মাংশ ভালবাসে। হিন্দু বলে নিজেদের পরিচয় দিলেও নিজস্ব বহু দেব-দেবী রয়েছে তাদের। কামাখ্যাকে তারা প্রধান তীর্থস্থান মনে করে এবং রৃষিকে মনে করে প্রধান দেবতা।