somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্মার্ট হতে চাইলে ইসলামের বিরুদ্ধে লিখুন!!!

২০ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি নামায পড়িনা।এজন্য অবশ্য গর্ববোধ করিনা।ইসলামের কোন আচার আচরনও আমার চলা ফেরার মধ্যে নাই বা পালন করি না। এজন্য কি আমাকে নাস্তিক বলা যাবে?...... কেউ যদি সেজন্যে আমাকে নাস্তিক বলে আমি তার ঘোরতর প্রতিবাদ জানাবো। কারন আমি আল্লাহকে এবং তার নবীকে বিশ্বাস করি এবং শ্রদ্ধা করি।

ইসলামে যা যা নিষিদ্ধ তা নিয়ে বেশী ভাবিনা কারন ভাবলে আমার জীবনটা পানসে হয়ে যাবে।কাউকে বলিও না যে ক্লাবে গিয়ে মদ খেয়োনা, মেয়েদের সাথে ফ্লাড কোরনা,সামার আসলে মেয়েরা যখন শর্ট শর্ট জামা পড়ে রাস্তায় হাটে তখন তাদের খোলা বুকের দিকে তাকিয়োনা বা খোলা উরুর দিকে তাকিয়ে ভেবোনা যে, ইশ্ যদি কাছে পেতাম!!...কারন আমিও তাকাই আর হয়তোবা একই জিনিস ভাবি।

পৃথিবীতে ধর্মের আবির্ভাব হয়েছে পাপ এবং পুণ্য নামক দুই ভাইয়ের কারনে। এই দুই ভাই আমাদের জীবনের সাথে ওতো-প্রতোভাবে জড়িত। প্রতিটি ধর্মের সারমর্ম হচ্ছে এই দুই-ভাইকে কন্ট্রোলে রাখা।সব ধর্মেই বলা আছে পাপ কাজ থেকে দুরে থাকার কথা। আমরা সেটা মানি বা না মানি সেটা অন্য বিষয় কিন্তু মূল বিষয়তো সেটাই।আমরা যখন কোন পাপ কাজ করতে উদ্যোত হই তখন আমাদের মনে দুটি জিনিস এসে খোঁচা দেয়; ১. বিবেক ২. পরকালের ভীতি। বিবেক আমাদের চিন্তা,শিক্ষা,পারিবারিক মূল্যবোধ বা আচারের উপর নির্ভর করে। আর পরকালের ভীতি নির্ভর করে ধর্মীয় শিক্ষার উপর। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন যদি মিথ্যা বলতাম তখন আমার বাবা-মা বলতো; মিথ্যা বলেনা আল্লাহ্ গুনাহ দেবে।মা বলতো; মিথ্যা বললে দোযখের আগুনে পুড়বো। এই দুটি অদেখা চরিত্র কিংবা স্থানের কারনে মিথ্যা বলতে ভয় পেতাম এবং এখনো পাই।এখন আমার বাবা-মা যদি আমাকে বলতো যে মিথ্যা বললে বাঘে খাবে হয়তো কচি মনে সেটা বিশ্বাস করতাম,কিন্তু এখন তো জানি যে বাঘ নামের প্রানীর নিবাস হচ্ছে গহীন অরন্যে আর মিথ্যার সাথে তার কোন সম্পর্ক নাই। আমি যদি মনে এই ধারনা নিয়ে বড়ো হতাম, মিথ্যা বললে বাঘের খাদ্য হবো তাহলে হয়তো এখন কথায় কথায় মিথ্যা বলতাম।

ব্লগে জয়েন করার পর থেকেই দেখে আসছি এখানে অনেক সদস্যই ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলাটাকে এক ধরনের বিশেষ পারদর্শীতা মনে করেন। তারা কোরআন-হাদীসের ভুল খুজে বেড়ান। মোল্লাদের ফতোয়ার দোহাই দিয়ে ইসলামকে ছোট করার প্রয়াস খোজেন।অথচ তারা খুব ভালো মতোই ফতোয়াবাজ মোল্লাদের উদ্দেশ্য বোঝেন।তারা হয়তো নিজেদের মুসলিম বলতে লজ্জাবোধ করেন এবং ব্লগে ইসলামের বিরুদ্ধে দু'কলম লিখে নিজেদের জ্ঞানী মনে করেন। কেউ কেউ আবার সে লেখায় বাহাবা দিয়ে আগুনে ঘি ঢালেন।এদেরকে কখনো কিন্তু দেখা যাবেনা অন্য ধর্মের বিষয়ে কোন ভাল-মন্দ লিখতে।মূর্তি পূজা যদি ইসলামে জায়েজ থাকতো হয়তো তারা সে নিয়ে সমালোচনাও করতো না।আমরা জানি আল্লাহ্ আকার নেই,তিনি নিরাকার।হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর কোন ছবি নেই পৃথিবীতে যাতে তার ছবির পুজা কেউ না করতে পারে।আমি মনে করি ছোট্ট এই দু'টি বিষয় ইসলামকে অন্য ধর্মগুলো থেকে বিশেষ আলাদা করেছে।আমি কোন ধর্মকে খাটো করছিনা কারন খোদ ইসলাম ধর্মই তা সাপোর্ট করেনা।ইসলাম ধর্ম পারস্পরিক সহবস্থান এবং সাম্যে বিশ্বাস করে।কিন্তু আমরা সেটাকে মানতে চাইনা।তাই নিজেদের ধর্মের বিরুদ্ধে লিখি।নিজেরা মারামারি করি।উপর দিকে থুথু ফেলি আর তা আমাদের গায়ে এসে পড়ে মিসাইল-বোমা হয়ে।

ইসলাম ধর্মে যদি লেখা থাকে মেয়েদের পর্দা করা উচিত, তাহলে আমাদের নিজস্ব জ্ঞান দ্বারা বুঝতে হবে এখানে বলা হয়েছে যে, মেয়েদের যেসব অংগ ঢেকে চললে শালীনতা বজায় থাকবে এবং ছেলেরা কামাতুর দৃষ্টিতে তাকাবেনা তা ঢেকে চলা।এখন কেউ যদি এমন ফতোয়া দেয় যে মেয়েদের পর্দা করা মানে হচ্ছে যে বোরকা পড়া (এটাই বুঝায় পর্দা করা বুঝাতে) তাহলে ধরে নিতে হবে আইয়েমী জাহেলিয়াতের সময় মেয়েদের অবস্থা এতই করুন ছিলো যে তাদের নিরাপত্তার জন্যই সারা শরীর ঢেকে চলতে হতো। কিন্তু এখন তো অতো খারাপ অবস্থা না, তো মোটামুটি যতোটুকুতে শালীনতা বজায় রাখা যায় তাতেই চলবে।এই নিয়ে মোল্লাদের ফতোয়ার সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদেরও ফতোয়া দিতে হবে!!!

হ্যা হবে।কারন আমরা যদি কোরআন শরীফের ভুল খুজে বের করি বা আল্লাহ্ বা মুহাম্মদকে নিয়ে সমালোচনা করি তাহলে সেটা হবে আমাদের স্মার্টনেসের একটা আধুনিকরুপ এবং অনেক মানুষ পাওয়া যাবে ব্লগে বা সমাজে যারা বাহাবা দিয়ে কমেন্ট করবে।

একটু ভেবে দেখুন আমরা মুসলিমরা কতোটা আনইউনাইটেড। যার ফলে অন্য ধর্মাব্লম্বীরা নিজেদের স্বার্থে আমাদের তালেবান বানায় আবার নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার হলে সন্ত্রাসী উপাধী দিয়ে নির্বিচারে হত্যা করে। কারন আমরা নিজেদের গায়ে নিজেরা থুথু মেরে অভ্যস্থ্।আমাদেরই অনেকে শুধুমাত্র মুসলিম নাম ধারন করার কারনে সালমান রুশদী বা তাসলিমা নাসরিনের মতো বিখ্যাত হয়।এমন কোন অমুসলিম লেখকের নাম বলতে পারবেন যে কিনা ইসলামের বিরুদ্ধে লিখে তাদের মতো বিখ্যাত হয়েছে?

অনুরোধ রইলো এখন থেকে দয়া করে কেউ যদি ইসলাম বা আল্লাহ্-এর অসারত্ব প্রমানের চেষ্টা করেন তবে দয়া করে পাশাপাশি এও লিখবেন যে আপনার মতে কোন ধর্মটা আমাদের অনুসরন করা উচিত এবং কেন?

একজন যতো বড়ো নাস্তিকই হোক আমি জানি যখন সে এমন কোন বিপদে পড়বে যে তার মনে হবে এ থেকে উদ্ধারের আর কোন রাস্তা নেই। আশার প্রতিটি দরজা একে একে বন্ধ হয়ে আসবে।তখন তার মনে হবে কেউ একজনকে বিশ্বাস করতে।গভীর মনে তার কাছে প্রার্থনা করতে।কারন সত্যিই কেউ একজন আছে এবং সে আমাদের খুব কাছেই থাকে।

পৃথিবীর সকল প্রানী সুখী হোক।সকলেই শান্তি লাভ করুক।










সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৩৬
৩৪টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: প্রভূ-ভৃত্য নয়, চাই সমতা ও ইনসাফভিত্তিক মৈত্রী

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৫০

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: প্রভূ-ভৃত্য নয়, চাই সমতা ও ইনসাফভিত্তিক মৈত্রী

ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের ছবিটি http://www.gettyimages.com থেকে সংগৃহিত।

ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভৌগোলিক নৈকট্যের গভীর বন্ধনে আবদ্ধ। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ‘হয় পানি, না হয় তোমাদের রক্ত​এই নদীতেই প্রবাহিত হবে

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:২০




কাশ্মীরের পহেলগামে ভয়াবহ হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এ ঘটনায় সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে নয়াদিল্লি। এমনকি পাকিস্তানকে এক ফোঁটা পানিও দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বাঁধলে বাংলাদেশের কি করণীয় ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:১৬


কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ নাগরিক মুসলিম হওয়ায় এবং ভারত বিদ্বেষী(যৌক্তিক কারণ আছে) হওয়ায় এই ঘটনাকে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে মুসলিমদের উপর নির্যাতন থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউসুফ সরকার

লিখেছেন তানভীর রাতুল, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:২৭

নৈতিকতা এবং নীতিবোধ কখনোই আইনের মুখে পরিবর্তিত হয় না (দুঃখিত, বলা উচিত “হওয়া উচিত নয়”)।

নৈতিকতা ও নীতিবোধ কখনোই সহিংসতা বা আইনী চাপের মুখে বদল হয় না (দুঃখিত, বলা উচিত “হওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাক-ভারত যুদ্ধ হলে তৃতীয় পক্ষ লাভবান হতে পারে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:২৭



সাবেক ভারত শাসক মোগলরা না থাকলেও আফগানরা তো আছেই। পাক-ভারত যুদ্ধে উভয়পক্ষ ক্লান্ত হলে আফগানরা তাদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করতেই পারে।তখন আবার দিল্লির মসনদে তাদেরকে দেখা যেতে পারে। আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×