২ তারিখ রাত ১১টায় রংপুরের গাড়িতে উঠে ভোরে পৌছে গেলাম। গাড়ি থেকে নামার সাথেসাথে বুঝলাম শীত কত প্রকার ও কি কি। উত্তারান্চেলর শীত বলে কথা। কাঁপতে কাঁপতে ২জনে রিকশায় করে গেলাম জেল রোডে ননাসের বাড়িতে। ওখানে আব্বা, আম্মু মানে আমার শ্বশুড় শ্বাশুড়ি আগেই আসছেন। আম্মুর শরীর খারাপ ছিলো। রংপুরে উনি ডক্টর দেখাতে এসেছেন। আর আমরা লম্বা ছুটি পেলাম বলে ভাবলাম সবার সাথে দেখা করে আসি। ননাসের বাচ্চা দুটোকেও অনেকদিন দেখিনা। ওদেরও দেখতে মনচাচ্ছিল খুব।
যাওয়ার আগের দিন কোথায় কোথায় ঘুরবো জানার জন্য ব্লগে সাহায্য চেয়েছিলাম।
View this link
সবাই বেশ সাহায্যও করে ছিলো। অনেক ধন্যবাদ সবাইকে যারা আমাকে সাহায্য করেছিলেন।



সময়ের অভাবে সব মিলিয়ে মোটামুটি শহরটা আর আশেপাশের জায়গাগুলোই দেখতে পারলাম । তার কিছুটা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করার আসলাম।
আগে রংপুর সম্পর্কে কিছু জেনে নেই। রংপুর নতুন বিভাগীয় শহর রংপুর। এই জেলা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী জনপদ।নামকরণের ক্ষেত্রে লোকমুখে প্রচলিত আছে যে পূর্বের ‘রঙ্গপুর’ থেকেই কালক্রমে এই নামটি এসেছে।ইতিহাস থেকে জানা যায় যে উপমহাদেশে ইংরেজরা নীলের চাষ শুরু করে। এই অঞ্চলে মাটি উর্বর হবার কারনে এখানে প্রচুর নীলের চাষ হত। সেই নীলকে স্থানীয় লোকজন রঙ্গ নামেই জানত। কালের বিবর্তনে সেই রঙ্গ থেকে রঙ্গপুর এবং তা থেকেই আজকের রংপুর।অপর একটি প্রচলিত ধারনা থেকে জানা যায় যে রংপুর জেলার পূর্বনাম রঙ্গপুর। প্রাগ জ্যোতিস্বর নরের পুত্র ভগদত্তের রঙ্গমহল এর নামকরন থেকে এই রঙ্গপুর নামটি আসে। রংপুর জেলার অপর নাম জঙ্গপুর । ম্যালেরিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব থাকায় কেউ কেউ এই জেলাকে যমপুর বলেও ডাকত। তবে রংপুর জেলা সুদুর অতীত থেকে আন্দোলন প্রতিরোধের মূল ঘাঁটি ছিল। তাই জঙ্গপুর নামকেই রংপুরের আদি নাম হিসেবে ধরা হয়। জঙ্গ অর্থ যুদ্ধ, পুর অর্থ নগর বা শহর। গ্রাম থেকে আগত মানুষ প্রায়ই ইংরেজদের অত্যাচারে নিহত হত বা ম্যালেরিয়ায় মারা যেত। তাই সাধারণ মানুষ শহরে আসতে ভয় পেত। সুদুর অতীতে রংপুর জেলা যে রণভূমি ছিল তা সন্দেহাতীত ভাবেই বলা যায়। ত্রিশের দশকের শেষ ভাগে এ জেলায় কৃষক আন্দোলন যে ভাবে বিকাশ লাভ করে ছিল তার কারণে রংপুরকে লাল রংপুর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল। সুপ্রাচীনকাল থেকে এ জেলা গৌরবময় ও বৈচিত্রপূর্ণ ইতিহাসের অধিকারী। এ অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ঘাগট, যমুনা, ধরলা প্রভৃতি নদ-নদী।
View this link
৩ তারিখ সারাদিন বাসায়ই ছিলাম। সবার সাথে মজা করে দিনটা কাটালাম। ৪ তারিখ দুলাভাইয়ের বাইক নিয়ে সকালে ২ জনে বের হলাম।
যাত্রা হলো শুরু
Click This Link
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ০ কি:মি
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উল্টাপাশে আমার নামে বেকারি






*পিঠে ছালা বেঁধে নিতে ভুলবেননা।



** আর কোন প্রকার ঝামেলার জন্য লেখক দায়ী নয়।





জেলা পরিষদের বাহির থেকে দেখুন। অনের আগের ভবন কিন্তু কত্ত সুন্দর!!!!!!!
এবার চলুন আস্তে আস্তে এর ভিতরে ঢুকে দেখি
Click This Link
Click This Link
Click This Link
এটা হলো এখানকার একটা বিখ্যাত স্কুল।
Click This Link
Click This Link
Click This Link
রাস্তার নাম এরশাদ মোড়
Click This Link
এরশাদ মোড় থেকে একটু সামনে গেলেই শাপলা চত্বর।
আজ এতটুকুই আগামী পর্বে থাকবে তাজহাট,পায়রাবন্দ ও ভিন্ন জগত...।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২৯