somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আপনাকে যে কারনে আর্জেন্টিনাকে ঘৃণা করতে হবে......!

১৪ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রথমেই আপনাকে দু'টো নাম বলবো "লুলা ডি সিলভা" এবং "গুস্তাবো পেত্রো" প্রথমজন হচ্ছে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট আর দ্বিতীয়জন হচ্ছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট। এই দু'টো মানুষকে আপনার ভালোবাসতেই হবে, আপনার ভেতর মানুষের প্রতি মমত্ববোধ থাকলে তাদের জন্য আপনার প্রার্থনা করতেই হবে। কারন এই দুটো মানুষ আমাদের ভালোবাসার মানুষগুলো যারা মধ্যেপ্রাচ্য নিজেদের অধিকারের জন্য "দৈত্যদের" বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তাদের সঙ্গে লড়াইয়ে শামিল হয়েছে। তাদেরকে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে সর্বাত্মক সাহায্য-সহানুভূতি-সমর্মিতা দেখাচ্ছে যেটা ১/২ টা মুসলমান দেশ ছাড়া আর কেউ করছে না। ব্রাজিলের জনসাধারণ আমাদের প্রিয় ওই দেশটার প্রতি সহমর্মিতা দেখাচ্ছে, তাদেরকে বরন করে নিচ্ছে শরনার্থী হিসেবে। ব্রাজিল এবং কলম্বিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে(ICJ) "দৈত্যদের" বিরুদ্ধে লড়াই করছে, দক্ষিণ আফ্রিকাকে পেছন থেকে সাহায্য করছে। কলম্বিয়া তার দেশ থেকে "দৈত্যদের" রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে, আন্তর্জাতিক ফোরামে দৈত্যদের বিরুদ্ধে নেওয়া প্রতিটি পদক্ষেপে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। সব ধরনের বানিজ্যিক সম্পর্ক, কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। দৈত্যদের কাছে যেসব দেশ অস্ত্র বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া রেজুলেশনে তার শক্ত ভূমিকা রয়েছে। দৈত্যদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত শক্ত ভাষায় কথা বলেছে।



ব্রাজিল এর প্রেসিডেন্ট ও তার দেশ থেকে লাত্থি দিয়া দৈত্যদের দূতকে বের করে দিছে। আন্তর্জাতিক প্রতিটি ফোরামে দৈত্যদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বানিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমাদের ভালোবাসার মানুষগুলোর লড়াইয়ে দু-হাত ভরে শামিল হয়েছে। কখনো গোপনে ব্যাকডোরে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে। সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে মিলে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে লড়াউ করছে। আমাদের ভালোবাসার দেশটাকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। দৈত্যদের প্রেসিডেন্টকে সন্ত্রাসী হিসেবে স্বীকৃত দিয়েছে। তার বিনিময়ে লুলা ডি সিলভাকে "পার্সোনা নন গ্র্যাটা" করেছে দৈত্যরা। তাদের দেশে আনওয়েলকাম কিংবা অনেকটা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ব্রাজিলের স্বার্থ সম্পর্কিত অনেককিছুতে দৈত্যরা ক্ষতি সাধন করেছে।



আরেকটা নাম মনে রাখেন "হ্যাবিয়ার মিলেই" সে হলো আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট। যে কিনা ঐ "দৈত্য" দেশটাকে স্বাধীনতাকামী মানুষদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সাহায্য-সহযোগিতা করতেছে। যে দৈত্য এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার মানুষকে নির্মমভাবে খুন করেছে, ২৫ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। লাখ লাখ মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। আশ্রয় শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে সেখানেও রাসায়নিক বোম নিক্ষেপ করে পোকামাকড়ের মতো আগুনে ফ্রাই করেছে। প্রতিনিয়ত গনহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে, ফুলের মতো পবিত্র শিশুদের গনহত্যা করছে, তাদেরকে নির্মমভাবে খুন করেছে প্রতিনিয়ত। নারীদেরকে ধর্ষণ করছে। তাদের উপর খাদ্য অবরোধ দিয়েছে। তাদেরকে ক্ষুদা ও পিপাসায় মেরেছে। সে দেশের অন্যতম বড় সহযোগী রাষ্ট্র হলো আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনা আন্তর্জাতিক প্রতিটি ফোরামে ঐ দৈত্যটাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে। যতোগুলো রেজুলেশন হয়েছে সবগুলোতে ঐ দৈত্যের পাশে ছিলো।

সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছি ঐ দেশের মেসি নামের একটা প্লেয়ার আছে, যে কিনা ইউনিসেফ এর শিশু অধিকার তহবিলে তার বেতনের একটা অংশ ডোনেট করে। জাতিসংঘের সম্ভবত শিশু অধিকারের দূত সে এখন পর্যন্ত একটা টু শব্দও করে না!!! তার মুখ দিয়ে এখন পর্যন্ত আগুনে ঝলসানো কোন শিশুর পক্ষে একটা সিঙ্গেল শব্দও বেড় হয় না!!! তার পায়ের জাদুতে আমিও মুগ্ধ, তার ক্রীড়া নৈপুণ্যের আমিও একজন ভক্ত। তাই বলে সে চুপ থাকবে!!! আরও অবাক করা বিষয় হলো অতিসম্প্রতি, তার দেশ দৈত্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা স্বাধীনতাকামী মুক্তিযুদ্ধাদেরকে "সন্ত্রাসী" হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে!! সেলুকাস!!! অপরদিকে মানবতার শত্রুদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে!!! নিশ্চয়ই আগুনে ঝলসানো শিশুদের মধ্যে হাজার হাজার তার ভক্ত আছে, ধর্ষিত হওয়া নারীদের মধ্যে লাখ লাখ তার ভক্ত, মুক্তিযুদ্ধাদের মধ্যে তার লাখো ভক্ত রয়েছে। তাদের জন্য ও তার এটলিস্ট কিছু করা উচিত ছিলো। কিছু না পারলেও অন্তত আন্তর্জাতিক ফোরামে তার কথা বলা উচিত। কারন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সেলিব্রিটি হলো সে। অথচ পৃথিবীর সমস্ত বিখ্যাত সংগীতশিল্পী, চিত্রপরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রী, ফুটবল খেলোয়াড়, ক্রিকেটার,পরন তারকা, রাজনীতিক, অধিকার কর্মী, প্রেসিডেন্ট-প্রাইম মিনিস্টাররা এই দৈত্যদের বিরুদ্ধে শক্ত ভাষায় কথা বলেছে। আর বর্তমানে তার ক্যারিয়ার এমন জায়গায় নাই যে তাকে এই কথা বলার জন্য নিষেধাজ্ঞায় পড়লে বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে, বরং সে অমরত্ব লাভ করেছে। তার আর পাওয়ার কিছু নাই।


এর পরও যদি আপনি আর্জেন্টিনা করেন এবং পরবর্তীতে boyকট চোদান তাইলে আপনার মুখে জুতার বাড়ি। শালা আগে তোর যৌবনের প্রথমের বিরুদ্ধে boyকট কর। ব্রাজিল এবং কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট এর মতোই স্পেনের প্রেসিডেন্ট একজন অসাধারণ মানুষ, যে কিনা দৈত্যদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এজন্য আমাদের ভালোবাসা স্পেনের প্রতিও থাকবে। তাদের মানুষদের প্রতিও।

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৯
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৯

'পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......
[/সব

আমার এক মামা ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জব করতেন হোটেলের শুরু থেকেই। সেই মামা মাঝেমধ্যে আমাদের জন্য হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে মুখরোচক কেক, পেস্ট্রি ছাড়াও বিভিন্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তার চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না, তবুও

লিখেছেন খাঁজা বাবা, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩২



শেখ হাসিনার নাকি বায়ক্তিগত চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না। শেখ মুজিবের বেয়ে নাকি দুর্নীতি করতে পারে না। সে এবং তার পরিবার যে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করতে পারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়ে সামু কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬

ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দলের পতন ঘটানো হয়। এটা আমাদের একটা জাতীয় গৌরবের দিন। এটা নিয়ে কারও সন্দেও থাকলে মন্তব্যে লিখতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জ্বীনভুতে বিশ্বাসী বাংগালী ও ঢাকায় ৫০ হাজার ভারতীয় একাউন্টটেন্ট

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৩




ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর ব্লগে লিখেছিলেন যে, উনার ভগ্নিপতিকে জ্বীনেরা তুলে নিয়ে গিয়েছিলো; ২ সপ্তাহ পরে ভগ্নিপতিকে দিয়ে গিয়েছে; এই লোক, সামুর কাছে আমার বিরুদ্ধে ও অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেছুর নিজস্ব একটি জ্বীন ছিলো!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৪



আমাদের গ্রামের খুবই সুশ্রী ১টি কিশোরী মেয়েকে জংগলের মাঝে একা পেয়ে, প্রতিবেশী একটা ছেলে জড়ায়ে ধরেছিলো; মেয়েটি ঘটনাকে সঠিকভাবে সামলায়ে, নিজের মাঝে রেখে দিয়েছিলো, এটি সেই কাহিনী।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×