চেতনা একটা খুব ব্যবসায়সফল শব্দ।এই শব্দ দিয়ে ব্যবসায় করতে বিশেষ কোন পুঁজির দরকার হয় না।দরকার কিছু তৈলমর্দন।
শব্দটা আমাদের সমাজের তথাকথিত প্রগতিশীল নামক জনবিচ্ছিন্ন গুষ্টিটা তাদের একান্ত করে নেওয়ার মিথ্যা ষড়যন্ত্রে সর্বদা লিপ্ত।
আমাদের দেশে সাধারণত যে ধরণের চেতনা নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হয় তার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ..........................................।।
“মুক্তিযুদ্ধ” সকল আলোচনা সমালোচনার অনেক উর্দ্ধে একটা পবিত্র চেতনা’’
মুক্তিযুদ্ধের পবিত্র চেতনাকেও আমাদের দেশের এক শ্রেণীর মেরুদণ্ডহীন বুদ্ধিবিক্রেতা এবং ক্ষমতাসীনদের উচ্ছিষ্ট খেয়ে পড়ে বেছে আছে এমন প্রাণীগুলো আমাদের এই জাতীয়ও চেতনাকেও তারা তাদের পৈতৃক সম্পত্তি বলে মনে করে।অথচ আজকে এই ২পয়সার বুদ্ধিবিেক্রতাগন আমাদের পবিত্র সত্ত্বাকেও লাভজনক সত্ত্বায় রূপান্তরের ন্যায় ঘৃণ্য খেলায় মত্ত এবং এদের কারণেই আজ দেশ,জাতী ও মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা বিপন্ন।
আজকে তারা তাদের নষ্ট বিবেক ক্ষমতাসীনদের কাছে স্বল্প মূল্যে বন্ধক রেখে চেতনাকে পূঁজি করে ব্যবসা করছে।আজকে তাদের চেতনা বিশেষ দিবসের মিথ্যা, বাণোয়াট,গাঁজাখুরি বক্তৃতামালার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখছে, কারণ তাদের চিন্তার বন্ধ্যাত্ব,মনুষ্ত্ত্যবোধের ক্ক্ষীয়ষ্ণতার জন্য
বিশেষ দিবসগুলো এদের ব্যবসায়ের মূলধনের যোগান দেয়,অথচ এই দিবসগুলোর প্রভাব আমাদের জাতীয় জীবণে ব্যাপক।আমারা বাঙালী পরিচয় থেকে বাংলাদেশি পরিচয় দেওয়ার মত যে গৌরব অর্জন করি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে ,তার প্রথম অধ্যায়টা ছিল ৫২’র ভাষা আন্দোলন আর শেষ পরিচ্ছদটা ছিল ১৯৭১ সালের ১৬’ই ডিসেম্বর।অবশ্য এই মৌসুমি চেতনাধারীদের কাছ থেকে এর বেশি আশা করাটাও বোকামী বৈ আর কি হতে পারে।?????
আবার আপনি এদের মত মানুষের মুখেও শুনবেন ধর্মান্ধ, ধর্মব্যবসায়,অসম্প্রদায়িক চেতনার মত কয়েকটা সস্তা বুলি ,আমার তখন মনে হয় যদি এই শব্দগুলোর জীবন থাকতো তাহলে সবার আগে মাদার ল্যান্ড অফ অসম্প্রদায়িক চেতনা, অসম্প্রদায়িক চেতনার স্বর্গরাজ্যে ভারত,এর অসম্প্রদায়িক চেতনার রাজধানী গুজরাট গিয়ে পালিয়ে বাঁচতে!!!!!!,,আর ধর্মব্যবসায় শব্দটার যদি প্রাণ থাকত তাহলে গুলিস্তানের কেল্লাবাবার অথবা মিরপুরের নানাজি শাহ্ আলীর অথবা আমাদের শহীদ মিনারের পাশে যে আব্বাজী তেলশাহর মাজার আছে ঐটার ভিতরের রাক্ষসের ন্যায় দান বাক্সটার ভিতর আশ্রয় নিত িনশ্চয়!!!!!!!!!!!!!!!!! আর যদি ধর্মান্ধ বস্তুটার প্রান থাকত তাহলে সে কোথায় গিয়ে শেষরক্ষা ..................নিশ্চয় কোন ১০০% পিওর ব্রাহ্মণের কোলে বসে সস্থির নিঃশ্বাস ফেলত।
আবার এই অমানবিক মানুষগুলো যখন মানবতার ছবক দেয় তখন আর যাই হোক হাসি সংবরণ করতে.........................................আর বিশ্বের মানবতার একসময়ের শান্তির পায়রা বূশ মিয়ার উত্তরসূরি এখনকার শান্তির দূত জোণাব ওবামাদের দেশ,মানবতার উৎপত্তিস্থল আমেড়ীকা ত বিশ্বের মানবতা কয়েক সহস্রধিক বছরের জন্য লীজ নিয়েছে।ওহহ; থাক এখানেই
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫