নিকোটিনের উৎকট স্পর্শে মিলিয়েছি আমার এই কোমল ওষ্ঠদ্বয়কে ,
চেয়েছি আমার কিছু গোমোটে কষ্টকে শূন্যে মিলিয়ে দিতে।
এই নিকোটিনের ধোঁওয়াগুলো উড়িয়ে নিয়ে যায় আমার নিবিষ্ট চিত্তকে, আমার স্থির আত্মাকে ধর্ষণকারী সেই নির্লজ্জ কষ্টগুলোকে,
রেখে আসে দূর দূরান্তে দিগন্তের উপারে নীলিমার শেষে।
যেখান থেকে ফিরে এসে আর পারবে না বাঁধতে বাসা,
আমার এই ভগ্ন হৃদয়ে।
নিকোটিনের এই কালো ঘুঁট ঘুঁটে ধোঁওয়াগুলো আমার অনুর্বর মস্তিষ্ককে
উর্বর থেকে আরও উর্বরতর করিয়াছে,
আর দীর্ঘ করে টেনে দিয়েছে এক স্থির প্রশান্তির ছায়া।
সূর্যের আলো যখন দিগন্তের লালিমায় হারিয়ে যায়,
তখন শুরু হয় আমার এই পথচলা;
একটা সময় এই প্রগাড় অন্ধকারগুলো ঘিরে ধরে আমার চারিপাশ,
ঘিরে ধরে হত্যা করে আমার পবিত্র ছায়াকেও।
ঠিক তখনিই আগ্নেয়গিরির মত জেগে উঠে একদণ্ড নিকোটিন
আগুণ ও ধোঁওয়ার কূণ্ডূলী পাকিয়ে;
আর ঠিক তখনিই দূর হয়ে যায়, যত সব অন্ধকারের শক্তি ও জীবনকে স্থবির করে দেওয়া শক্তিগুলো।
অবশেষে ধোঁওয়াগুলো কষ্টকে বুকে আলিঙ্গন করে হারিয়ে যায় না ফেরার দেশে কুৎসিত ছাই হয়ে।
[বিঃদ্রঃ এই কবিতাটা আমার পূর্বের জীবনের একটা কবিতা, এখন আর এইধরনের চিন্তা মাথায় আসে না ]
মোহাম্মদ ফরহাদ মিয়াজি
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১০