somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নস্টালজিক
পেশায় গীতিকার, লেখক। তড়িৎ কৌশল পড়া বাদ দিয়ে একদিন গীতিকার হব বলে বেড়িয়ে পড়েছিলাম শব্দের তালাশে। ইদানিং আবার বেড়িয়ে পড়তে ইচ্ছে হয়। এবার এই অন্তর্জাল থেকে। নস্টালজিক এর নাম শেখ রানা। নিজেকে চেনার পর হাতে বেশী সময় থাকে না।

আমার বই। তাদের কথা।

০৬ ই মার্চ, ২০২২ ভোর ৬:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমার প্রথম বই প্রকাশিত হয় ২০১২ একুশে বইমেলায়। সেই ধারাবাহিকতায় এবং নিয়মিত লেখায় নিমগ্ন থাকায় এ বছর একুশে বইমেলা পর্যন্ত বই প্রকাশের সংখ্যা নয়। লিরিক ও লিরিকের পেছনের গল্প, ভ্রমণ, অনুবাদ, কবিতা, টুকরো জার্নাল, গীতিকবিতা আর সাক্ষাৎকার- নানাবিধ শাখায় লেখায় সুযোগ হয়েছে। আনন্দ নিয়ে লিখেছি।
বইগুলো নিয়ে পরিচিত পর্ব একসাথে রাখলাম। পরিচিত পর্বে বই এর কথা, রিভিউ অথবা বই থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে।

সবাইকে শুভেচ্ছা নিরন্তর।




১) আজ তোমার মন খারাপ মেয়ে
ধরণ- লিরিক ও লিরিকের পেছনের গল্প
প্রচ্ছদ- নির্ঝর নৈঃশব্দ
স্টল নাম্বার- ২৬ স্টুডেন্ট ওয়েজ


আজ তোমার মন খারাপ মেয়ে।

আমার প্রথম বই। লিরিক আর লিরিকের পেছনের গল্প নিয়ে বইটা করেছিলাম। আমার গদ্য লেখার শুরু এই গানের গল্প লিখতে যেয়েই।

পরী, বৃষ্টি পড়ে, ফিরে পেতে চাই, মার ঘুরিয়ে, সামনে দাঁড়া, শঙ্খ ভালোবাসা, বিষাদী আকাশ, মেঘবালিকা, তুমি হবে বুড়ি- বেশ কিছু পরিচিত ও জনপ্রিয় গানের গান হয়ে ওঠার গল্প লিখেছিলাম আজ তোমার মন খারাপ মেয়ে বইটায়।

আমার বেশীরভাগ লেখা গীতিকবিতা তো আদতে আমি, আমারই কথা। আমার চারপাশ, বোধ, কল্পনা অথবা নাজেল হওয়া অপার্থিব শব্দপাখি। সেই শব্দপাখি স্বপ্নালু পথের আইল ধরে হাঁটাপথে স্টুডিওতে যায়, কথা বলে, আড্ডা দেয়। তার গায়ে সুরের নরম পোষাক চাপে। কথা আর সুরের বন্ধুতায় এক এক গান সৃজন হয়। আনন্দময়ী গানের পেছনে হয়তো লুকিয়ে থাকে অতলান্তিক বিষাদ, তলিয়ে যাবার অন্তরাল। অথবা দৃশ্যত দুঃখজাগানিয়া গান হয়তো লেখা হয় এক ধরণের সুররিয়াল বিষাদ ধরে যা আদতে মন ভালো রোশনাই।

কে জানে তার হদিশ! আমি নিজেই বা তার কতটুকু ধরতে পেরেছি!

পরিমার্জিত দ্বিতীয় সংস্করণে পরী, বৃষ্টি পড়ে, ফিরে পেতে চাই, গাছ এর গল্প নতুন করে লিখেছি। প্রথম বইটায় প্রচ্ছদ করেছিল প্রিয় ছোট ভাই মুরাদ। দ্বিতীয় সংস্করণে প্রচ্ছদ আঁকিয়ে আমাদের সুপরিচিত নির্ঝর নৈঃশব্দ। এই উপলক্ষে আবারও দুজনকে অভিবাদন, ধন্যবাদ।

আজ তোমার মন খারাপ মেয়ে মেলায় পাওয়া যাবে স্টুডেন্ট ওয়েজ এর স্টলে। স্টল নাম্বার-২৬।

সবার মঙ্গল হোক।






২) রুল টানা খাতা
প্রচ্ছদ- মুরাদ
প্রকাশক- অনুপ্রাণন প্রকাশনী।
স্টল নাম্বার- ৪৩৫-৪৩৬


রুল টানা খাতা।

আমার ভ্রমন গল্প। ট্রাভেলগ।

আনন্দ নিয়ে লিখেছিলাম রুল টানা খাতা-র পাণ্ডুলিপি। আমার শহর ঢাকার রাজপথ ছুঁয়ে দূর্গ আর পাহাড় ঘেরা শান্ত এডিনবরা, হাঁটাপথে হান্টলি ধরে রুজ আর সুজের সাথে গুপ্তধন খোঁজা ক্যান্টারবুরি, স্মৃতির শহর লন্ডন হয়ে পাখির পাহাড় বারউইক আপঅন টুইড, পোর্তোর অচেনা রাস্তার পথিক এর হাত ধরে লিসবন এর পরিচিত মুখ ফ্রান্সিসকা, ইস্তাম্বুল এর মজাদার কাবাবের স্বাদ বদলে হৃদ মাঝারের গান শান্তিনিকেতন আর কোলকাতা।

আর ভূ-স্বর্গ হাইলেন্ড এর সেই দুই পাহাড়ের মাঝে আটকে পড়া ঘূর্ণায়মান মেঘের দল। চোখ জ্বালা করা অপার্থিব সুন্দর।

এসবই ধরেছি ঘুরতে ঘুরতে। পথ থেকে প্রান্তরে। শব্দচয়নে। সাথে উঠে এসেছে এডিনবরার দিনলিপি। চিকেন শপের সেই' শাহকুর খান' গাম্বিয়ান ক্লিফ এর কথা, নামের বিড়ম্বনা আর স্প্যানিশ জুয়ানজোর ব্যাঙ এর ডাকসমেত হাস্যরস।

রুল টানা খাতা -আমার গল্প,আমাদের দুজনার গল্প। আমার চারপাশের গল্প। টুকরো টুকরো দৃশ্যকল্পে উঠে আসা এই পৃথিবীর সুন্দর।

আমার তো মনে হয়, আমাদের সবার কাছেই একটা রুল টানা খাতা আছে। অদৃশ্য, চর্মচোখে দেখা যায় না এমন।
আমরা সবাই নিজের জীবনের গল্প লিখে যাচ্ছি সেই রুল টানা খাতায়। আনন্দে। বিষাদে। আবেগে। অথবা একদম নির্মোহ হয়ে।





৩) কবিতার পোস্টকার্ড

কবিতার পোস্টকার্ড। আমার লেখা একমাত্র কবিতার বই।

গীতিকবিতা লিখছি বেশ অনেকদিন ধরেই। আমার লেখার সাথে যারা সম্যক পরিচিত তারা হয়তো জানেন। তবে আমার লেখালেখির শুরু কবিতায় মগ্ন হয়েই। হেলাল হাফিজে মুগ্ধতা আর জয় গোস্বামীতে বিহবল পর্ব ধরে সোহরাব পাশা আর শঙ্খ ঘোষ। অথবা টুকরো কাগজে খুঁজে পাওয়া শাহনাজ মুন্নী।

প্রবাস জীবন শুরু থেকেই আলগোছে কবিতাগুলো লিখছিলাম। তার এক দুটো কবিতার পোস্টকার্ড নামে প্রকাশ করেছি অন্তর্জালে। বাকি সব কবিতাই অন্তরালে লিখে গেছি। আবেগের স্বতঃস্ফূর্ত প্লাবন শান্ত হয়ে ধরব বলে।

সবশুদ্ধ আটচল্লিশটি কবিতা রয়েছে কবিতার পোস্টকার্ডে। ফেরদৌস আরা টিচারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সময় নিয়ে, যত্ন করে প্রুফ দেখা এবং পরামর্শের জন্য।

বইটার প্রচ্ছদ করেছে প্রিয় চিত্রকর মুরাদ। মুরাদকে অনেক ধন্যবাদ আর ভালোবাসা।
আমি চেয়েছিলাম বইটায় একটু পুরোনো গন্ধ থাকুক। ফন্ট আর পাতাগুলো যেন সত্তর বা আশি দশকের বইয়ের কথা মনে করায়। অনুপ্রাণন প্রকাশনী এবং ইউসুফ ভাইকে ধন্যবাদ জানাই কবিতার পোস্টকার্ড সেভাবেই যত্ন করে নিয়ে আসার জন্য।

একুশে বইমেলায় কবিতার পোস্টকার্ড পাওয়া যাবে অনুপ্রাণন এর স্টলে। স্টল নাম্বার- ৪৩৫-৪৩৬।

ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। বাঙলা ভাষায় কথা, আমার শ্রেষ্ঠতম রূপ।




৪) টুকরো নাগরিক জার্নাল
(দ্বিতীয় পর্ব)
প্রকাশক-পেন্ডুলাম
স্টল-৫০২


শনিবার। রবিবার। সোমবার। মঙ্গলবার। ম্যাকগাইভার। বৃহস্পতিবার। শুক্রবার।

সব অসাধ্য বুদ্ধি খাটিয়ে সমাধা করে ফেলা সেই নায়ক- রিচার্ড ডিন এন্ডারসন। বুধবার এলে আমরা অপেক্ষা করতাম কখন নয়টা বাজবে আর অনুষ্ঠান ঘোষক স্মিত হাসিমুখে বলবে, 'প্রিয় সুধীমন্ডলী এখন শুরু হচ্ছে ম্যাকগাইভার। সৌজন্যে...'

নব্বই মানে ম্যাকগাইভার। নব্বই মানে ক্ষুরধার হাস্যরস নিয়ে মাসে একবার বের হওয়া উন্মাদ। এক কিশোর এর চকচকে চোখ নিয়ে সংবাদপত্র বিক্রয় কেন্দ্র স্টল থেকে নতুন উন্মাদ কেনা। ভাত ঘুম দুপুরে বাংলাদেশ বেতার। সিনেমার গান। তিনটা থেকে শুরু হওয়া ওয়ার্ল্ড মিউজিক। অথবা অনেক রাতে রেডিওর নাটক। একা একা শোনা। আর দৃশ্যগুলো কল্পনা করে নেয়া একের পর এক।

তখন নাটকের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা আমার কাছে মস্ত বড় তারকা। বিটিভির এ সপ্তাহের নাটক মানেই রাতের খাবার শেষ করে বা খেতে খেতে সবাই এক হয়ে নাটক দেখা। সুবর্ণা-আফজাল, রাইসুল ইসলাম আসাদ-নুপুর অথবা আর একটু পরে শমী-জাহিদ হাসান-তৌকির-বিপাশা। কিন্তু আমার সবচাইতে প্রিয় ছিলেন আজিজুল হাকিম।

স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল দুপুর। পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের দাপটে মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে হাইকোর্টে ঢুকে পড়লো একদিন। আমার নাটক প্রীতির কথা তখন সর্বজনবিদিত। মাসুম এসে আমাকে খবর দিতেই আমি হন্তদন্ত হয়ে ডায়েরী নিয়ে সবার অটোগ্রাফ নেয়ার জন্য সে কী ছুটোছুটি।
সবশেষে আজিজুল হাকিম এর পাশাপাশি হেঁটে অনেক গল্প-টল্প করে মিছিলকে হাইকোর্টের গেট পর্যন্ত এগিয়ে দেয়া। দিনের বাকি সময়টায় তখন মনে মনে আমিই তারকা।

সেই সময়টা এই সব সহজিয়া টুকরো ছবি।
সুইটি-রুমা-রানা-টগর-পলাশ-বড় বাবু-ছোট বাবু-রাসেল-রুবেল ভাই এর সাথে খেলা। ঝগড়া। পিকনিক। কনিষ্ঠা ছুঁয়ে আড়ি নিয়ে সত্যি সত্যি কথা বলা বন্ধ। অথবা বুড়ো আঙ্গুল ছুঁয়ে ভাব। আবার খেলা একযোগে।
নব্বই মানে সালমা খাতুন। আমার প্রথম প্রেমে পড়া। বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্ক এর কাছে সেই বাসার ছাদে একদিন না একদিন তাকে দেখবো বলে পাশের মুসলিম সুইটমিটে বসে মিষ্টি ভক্ষণ। সেই সব মুহূর্তের ফুসমন্তরে মিলিয়ে যাওয়ার উপলক্ষ তৈরি হওয়া।

অথবা আনিস -রফিকের দূর্দান্ত বোলিং এ এক রানে ভারতকে পরাজিত করে বাসায় ফিরে আসা শ্লোগান দিতে দিতে বাসায় ফিরে আসা। স্টেডিয়াম ভর্তি বাংলাদেশ সেদিন। খুশীতে পাগল হয়ে গেল কেউ কেউ! বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার খবর। ইনকিলাব। বিকট শব্দে বোমা। গুলিস্তান। ক্রিজ ছেড়ে সিধুর দ্রুতগতির দৌড়ে ড্রেসিং রুম। এ পথ- ও পথ ধরে আমাদের ফিরে আসা ঘর।

নব্বই মানে পাটিগনিত। বীজগনিত। ফুল মার্কস পাবার ত্রিকোনোমিতি। বাইলোজির প্র্যাকটিকাল খাতায় সুন্দর ব্যাঙ অথবা অণুবীক্ষণ যন্ত্রের ছাপচিত্র। পাশে ক্যাসেট প্লেয়ারে অবিরাম বাজতে থাকা রেনেসাঁর ও নদীরে তুই যাস কোথায় রে । অথবা অরবিট এর ঐ লাল শাড়ি রে। নব্বই মানে জোনাকী সিনেমার গলিতে ফারুক স্যারের কাছে ব্যাচ পড়া। একদিন স্যার না আসায় এক ঘন্টা বসে বাদাম খেয়ে স্যার এর ড্রয়ার খোসা ভর্তি করে দেয়া। পরদিন স্যারের গম্ভীর মুখ।

নব্বই মানে ঈদ। কোরবানী ঈদে সবাই মিলে ফেরি করে পাবনা। নগরবাড়ি এলেই কমে যাওয়া পথ। শহিদুল্লাহ ভাইয়ের সাথে সাইকেল করে শহরে গিয়ে রাজভোগ-কাটাভোগ আর 'ঝুড়ে-বুইদে'। এক টাকার খাগড়াই। নীচু হয়ে বসা চাকা গাড়ি। মেঠো পথে বৃষ্টি। ক্যাসেটে জিতেন্দ্র-শ্রীদেবী। নাহ, ক্যাসেটে বাপ্পী লাহিড়ি। আমি বিশ্বাস করি সঙ্গীতে।

নব্বই মানে আমি-তুমি-সে। আমাদের এক একটা গল্প। সবুজের আইল ধরে হেঁটে যাওয়া সময়।



 



৫) শব্দ পাখির দল
গীতিকবিতার বই
প্রচ্ছদ- Rakibul Hasan
স্টল- স্টুডেন্ট ওয়েজ, ২৬
প্রথম প্রকাশ- ২০১৮ একুশে বইমেলা


''শেখ রানা। আমার ছাত্র। শিক্ষক জীবন বড় অহংকার আর গর্বের হয়ে ওঠে ওর জন্য। গীতিকার এবং গায়ক হিসেবে ও বাংলাদেশের সংগীত জগতে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে সুপরিচিত এবং খুবই প্রিয়।

এবারকার বই মেলায় বের হয়েছে ওর গীতি কবিতা সংকলন "শব্দ পাখির দল " আর চারপাশের দেখা, অনুভব করা ছোট ছোট রেখাচিত্রের মতো টুকরো টুকরো স্মৃতির গদ্যগ্রন্থ "টুকরো নাগরিক জার্নাল "।
দু তিন দিন ওর বই ই পড়লাম। ভালো লাগা নিয়ে।
কিছু বলতে বড় ইচ্ছা করছে। কিন্তু আমার অবস্থা " বল কি বলিতে পারি যত মনে আসে? " প্রকাশের অক্ষমতা, মেধার দৈন্য বড় বাধা। তবুও একটু বলি।

'শব্দ পাখির দল ' কবি রানার গীতি কবিতার সংকলন। লেখকের কথায় শেখ রানার কথা আমাকে খুব নাড়া দিয়েছে। " আমার বরাবর মনে হয়, গান পরিপূর্ণ হয় সুর পাওয়ার পরে নয়, এমন কি কণ্ঠশিল্পীর গান গাইবার পরেও নয়। গান পরিপূর্ণতা পায় শ্রোতা যখন গানটি শুনতে শুরু করেন। "

রবীন্দ্রনাথকে মনে পড়লো, " শুধু গায়কের তরে নহেকো গান, গাহিতে হবে দুজনে, একজন গাহিবে ছাড়িয়া গলা আর গাহিবে প্রাণে। "

শেখ রানার গানের বাণী সম্পর্কে মলাটলিখনে শিল্পী বাপ্পা মজুমদার যা বলেছেন, তার চেয়ে যথার্থ কথা বোধহয় আর কেউ বলতে পারবে না। আমার মতো অকবি, অশিল্পী নগণ্য বাংলার মাস্টার, তাও খুব ছোট শিশুদের কোন ছার। পর্যালোচনা বা বিশ্লেষণের যোগ্যতা রাখি না, ভালো লাগাটুকু জানাতে পারি শুধু।

আমি তুলে দিচ্ছি বিভিন্ন কবিতা থেকে কিছু উদ্ধৃতি আর বাপ্পার কথাগুলো :

"যায় পুড়ে যায় সাঁওতাল গ্রাম যাক
আমার কথা নীরবতা খাক
আমি তবু যে মুহূর্তে বাঁচবো
দু:খ পেলে শব্দ খুঁজে হাসবো। "

"অনেক কথার ভিড়ে
অনেক কোলাহলে
যে কথাটি বুকপাঁজরে
নীরব ছিলো খুব
সে কথাটি ভালোবাসা
মৌনতা নিশ্চুপ। "

"পাহাড় কাটি, পাহাড় কাটি চলো
এসব কথা খানিক এলোমেলো
ইটের ভাটায়, ইটের যোগান মাটি
পাহাড় কেটে সাজাই পরিপাটি
সাজাই চলো লাশের পাহাড় সব
পাহাড়দেশে এমনই সম্ভব
সম্ভাবনায় অসম্ভবের দিন
পাহাড় ধ্বসে সমস্ত বিলীন "

"গড্ডলিকা,
আমায় তুমি গা ভাসাতে দাও
হেলান দিয়ে না হয় একটু
দাঁড়িয়ে থাকতে দিও

গড্ডলিকা, আমার কথা
আমার শব্দ নাও
অদৃশ্য রাত
ঠিক যেভাবে দেয়াল ঘড়িটিও। "
( সম্ভবত ছাপার ভুলে 'গড্ডালিকা ' হয়েছে)

বড় সংবেদনশীল শেখ রানার কবি মন। নিছক নরনারীর প্রেম নয় শুধু, রানার মানবপ্রেম, রানার
প্রকৃতি প্রেম আবেগময়,
পরিশীলিত হৃদয়স্পর্শী ভাষায় আপ্লুত করে স্পন্দিত করে। যখন তাল -লয় -সুর -ছন্দে
গীত হয় বা হবে তখন কেমন লাগবে বা লাগে সে কথা বলা বাহুল্য। বাপ্পা মজুমদার যেন আমার মনের কথাই বলেছেন। আমি তুলে দিচ্ছি তাঁর কথাগুলো।

"রানার লেখা মানেই বুক ভরে অনাবিল ঝাপটা হাওয়ার শ্বাস নেয়া। ফুসফুসে নির্মল কিছু পরিশুদ্ধ অক্সিজেন এর যোগান। আবার ও বেঁচে থাকার তাগিদ অনুভব করা। আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখতে চাওয়ার আকুতি।
খুব চেনা পরিচিত চারপাশকে আবার নতুন করে আবিষ্কার করা। নতুন করে ভিন্ন আঙ্গিকে খুঁজে পাওয়া।

আমি প্রায়শ একটা কথা বলি --- রানার লেখাগুলোর মধ্যে কোথায় যেন সঞ্জীব 'দাকে খুঁজে পাই। খুব আপন খুব কাছের মনে হয়। আনন্দ -বেদনা, দু:খ-হতাশা, মান-অভিমান সবকিছুই খুব নিজের মনে হয়। আমার এই ক্ষুদ্র জীবনে অনেক গুণী মানুষের সাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছে, আমি খুব গর্ব করে বলতে চাই রানা সে সব গুণী কিছু মানুষের একজন।

আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে আমি বিশ্বাস করি রানার লেখা একদিন আমাদের ভাবনার পাখাকে আরো বিস্তৃত করবে, নিয়ে যাবে আরো আরো উঁচুতে।
ভালোবাসা অবিরাম, রানা। দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বাঁচো। আর ও অনেক লেখা চাই তোমার। "

রানা মেধাবী, সৃজনশীল। ছোটবেলার বাংলার শিক্ষকের শেখানোকে অনেক পেছনে ফেলে রেখে অনেক গুণী, অনেক বড় রানা। ছোটবেলায় ওর শিক্ষক ছিলাম, এ অনেক বড় গর্ব।

আর বাপ্পা, আপনাকেও বলি, ভালো থাকুন দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বাঁচুন। আরো অনেক গান চাই আপনার। আপনার মতো, রানার মতো মানুষদের অনেকদিন বেঁচে থাকা বড় দরকার। অকালে হারাবার কষ্ট পেতে চাই না।''

- ফেরদৌস আরা বেগম
প্রভাষক ( অবসরপ্রাপ্ত) বাংলা বিভাগ
ঢাকা রেসিডেনশিয়েল মডেল কলেজ






৬) ম্যারাডোনা
অনুবাদ
প্রকাশকাল- ২০১৯ একুশে বইমেলা
প্রচ্ছদ- মুরাদ
স্টল- ২৬( প্যাভিলিয়ন) স্টুডেন্ট ওয়েজ


ম্যারাডোনার আত্মজীবনী বইটা হাতে পেয়ে , মনে পড়ে, অদ্ভুত অনুভূতি হয়েছিল।

আমি তখন এডিনবরায় থাকি। লেখালেখির জন্য সময় বের করে নিয়েছি। লিখছি, নতুন নতুন শহর ঘুরছি। ২০১৪ এর মাঝামাঝি সময়কাল। প্রতিদিনই কিছু না কিছু ঘটছে আমার জীবনে। এমন একটা তরঙ্গময় সময়ে ম্যারাডোনার আত্মজীবনী পড়তে শুরু করলাম।

ম্যারাডোনার সাথে আমার সম্পর্ক তো আসলে ১৯৮৬ থেকে। আমি তখন অনেক ছোট, ক্লাস ফোর-ফাইভে হয়ত পড়ি। রাত জেগে প্রথম বিশ্বকাপ দেখা। আর আর্জেন্টিনা, ম্যারাডোনা - একটা দেশ, একটা নাম হৃদয়ের সাথে জড়িয়ে যাওয়া ওতপ্রোতভাবে।

সেবার আর্জেন্টিনা চাম্পিয়ন হল। কাপ হাতে ম্যারাডোনার হাসিমুখ, ল্যাপ অফ অনার। সুদূর বাংলাদেশেও তার রেশ রয়ে গেল। তারপর অনেকগুলো বিশ্বকাপ এলো,গেল। অনেক ঘটনা, নতুন দেশের নতুন করে কাপ হাতে নেয়া আর ম্যারাডোনার কান্নাবিজরিত সেই ৯০ এর ফাইনাল। অনেক স্মৃতি ফুটবল আর বিশ্বকাপ নিয়ে। তাই তো হবার কথা আসলে!

অটোবায়োগ্রাফি অফ ম্যারাডোনা বইটা না পড়লে এক সহজ, সত্যবাদী এবং অকপট ম্যারাডোনা অচেনা থেকে যেত আমার কাছে। ফাইওরিটোর সেই শৈশব থেকে যে গল্প শুরু হয়েছে তার পরতে পরতে নানা সংগ্রাম, উত্থান- পতন। আর সবকিছুর সাথে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে একটাই শব্দ, একটাই খেলা- ফুটবল। ক্লাব ফুটবল থেকে শুরু করে জাতীয় দল- সমস্ত খেলার পুঙ্খানুপুঙ্খ ডায়েরিতে টুকে রাখা ম্যারাডোনার আত্মজীবনী এ কারণে অনেক বেশী ঘটনাবহুল এবং তথ্যনির্ভর। ম্যারাডোনার ভক্ত এবং ফুটবল ভক্ত- সবার জন্যই অবশ্যপাঠ্য।

ম্যারাডোনাকে হয়তো অনেকেই ভুল বুঝেছে, বুঝবে কিন্তু কেউ কখনও ভুলে যাবে না। ম্যারাডোনাকে ভোলা সম্ভব নয়।

দীর্ঘ চার বছর ধরে বইটা অনুবাদ করেছি। ফুটবলপ্রেমী পাঠকদের ভালো লাগলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।


 



৭) গল্প শেষে
প্রচ্ছদ- Shafin Chowdhury
প্রকাশক- চন্দ্রবিন্দু প্রকাশন
স্টল- ২৮৬
চট্টগ্রামে স্টল-২৩


আজ যে শিশু, হৃদয় কাদামাটির কোনো মূর্তি নয়, একদিন ঘুম ভাঙা শহরে, আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি, প্রিয় আকাশী, হাসতে দেখো গাইতে দেখো, আহা! জীবন, বৃষ্টি দেখে অনেক কেঁদেছি, মেয়ে, এ শহর ডুবে যায়, জন্মহীন নক্ষত্র... এত বছর পরেও এই গানগুলোর ঔজ্জ্বল্য ম্লান হয়ে যায় নি। হবেও না কোনোদিন।

এইসব জনপ্রিয় গানের গীতিকবি শহীদ মাহমুদ জঙ্গী, লতিফুল ইসলাম শিবলী, নিয়াজ আহমেদ অংশুকে নিয়ে সাক্ষাৎকার -আড্ডার বই গল্প শেষে।

নব্বইয়ের স্বর্ণযুগের গল্প, সাউন্ড গার্ডেন থেকে অডিও আর্ট, সৈকতচারী থেকে সোলস অথবা বামবা শুরুর সুত্র ধরে হোটেল ব্লু নাইল। সেই হোটেল ব্লু নাইল, যেখানে একসময় নিয়ম করে ব্যান্ড সংশ্লিষ্ট প্রায় সব মিউজিশিয়ান নিয়মিত আড্ডা দিতেন। প্রিয় আকাশী, একদিন ঘুম ভাঙা শহরে আর জন্মহীন নক্ষত্র সহ বেশকিছু গানের পেছনের গল্প। অথবা এইসব গল্পে গল্পে উঠে আসা গীতিকবিদের লুকোনো আক্ষেপ, রয়্যালটি, কপিরাইট নিয়ে মনখোলা কথা আর গীতিকবি হয়ে ওঠার গল্প। থাকবে হাতে লেখা লিরিক আর কিছু দূর্লভ ছবি। সব মিলে গল্প শেষে বইতে পাঠকের জন্য মনের খোরাক মেটানোর নানারকম বর্ণিল উপাদান রয়েছে।

বিশেষ করে আমরা যারা নব্বইয়ের সেই ব্যান্ড সময়কার স্বর্ণযুগের মানুষ, তাদের কাছে বইটা ভালো লাগবে।

সবাইকে শুভেচ্ছা।




৮) টুকরো নাগরিক জার্নাল
প্রকাশকাল- ২০১৯ একুশে বইমেলা
প্রচ্ছদ- মুরাদ
স্টল- ২৬( প্যাভিলিয়ন) স্টুডেন্ট ওয়েজ


আমার প্রানের দল মোহামেডান। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

সাদা-কালোয় বুঁদ ছিলাম শৈশব-কৈশোর-তারুণ্যের সাদা কালো সুন্দর দিনগুলোতে। এখনকার ফুটবল ভক্তদের পক্ষে কল্পনা করা একটু কঠিনই বটে, ৮০-৯০’র দশকে কী দারুণ উন্মাদনা ছিলো দেশীয় ফুটবলে। মোহামেডান-আবাহনীর খেলা হলে ঢাকা শহরে সাজ-সাজ রব পড়ে যেতো।
খেলা পাঁচটায় শুরু হলে গ্যালারীতে জায়গা পেতে চলে যেতাম তিনটার আগেই। ম্যাচের দিন ক্লাবের খবর, খেলোয়ারদের অজানা তথ্য, আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ নিয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত- এইসব খবর নিয়ে পত্রিকা বা ম্যাগাজিন বের হতো। হকারদের কাছ থেকে সাগ্রহে কিনে নিতো গ্যালারীর দর্শকরা।
মোহামেডান গ্যালারীতে আমি সাধারণত মশাল এর আশেপাশে বসতাম। পুরান ঢাকার প্রচুর সমর্থক বসতো ঐদিকটায়। পুরোটা সময় গ্যালারী মাতিয়ে রাখতো। পাঁড় সাপোর্টার এক একজন, মজারও বটে। ভালো খেললে একদম আবেগী হয়ে যেতো, মোহামেডান জিতলে সে কী আনন্দ...কিন্তু হারলে? বা সহজ মিস করলে? যে গালির তুবড়ি ছুটতো- তা এক্সপ্রেস ট্রেনের গতিকেও হার মানায়।

সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিলো গোল না হলে কুফা ছোটানো।
কিভাবে?
অনেকক্ষণ গোল হচ্ছে না। ম্যাচের সময় গড়িয়ে যাচ্ছে। গ্যালারীতে টেনশন। হঠাৎ পুরানো ঢাকার এক দর্শক উঠে হাসিমুখে খাঁটি পুরান ঢাকাইয়া উচ্চারণে বলে উঠবে-

'ঐ, বেবাকতে লুঙ্গি ঝাড়া দে। গোল হইবো'

পরের দৃশ্যেই হাসতে হাসতে একদল দর্শক লুঙ্গি ঝাড়া দিচ্ছে।

গ্যালারী ভর্তি দর্শক। মোহামেডান-আবাহনীর দ্বৈরথ। বাংলাদেশের ফুটবলের সেই আলো ঝলমল দিন বিবর্ণ হয়ে গেছে এই ২০১৪-তে এসে। আমার মাঝে মাঝে অবিশ্বাস্য লাগে সাদা কালো দিনের কথা ভাবলে।

সাদা-কালো জার্সির সাব্বির, কায়সার হামিদ, কানন, আবুল, ইলিয়াস, মনু আর গ্যালারী ভর্তি দর্শকের গো- ও- ও- ও- ল চিৎকার।

আ ট্রু বিউটিফুল নস্টালজিয়া।





৯) কবির তখন সওদাগরি মন
লিরিক ও লিরিকের পেছনের গল্প
প্রচ্ছদ- মুরাদ
স্টল- ২৬( প্যাভিলিয়ন) স্টুডেন্ট ওয়েজ


তোমার কি আর দুঃখ পেলে চলে
তোমার কি আর দুঃখ পেলে চলে
মেদুর আকাশ, বৃক্ষ সবুজ
তোমার কথা বলে।
তোমার কি আর দুঃখ পেলে চলে

ভাবনা নিয়ে উদাস তেপান্তর
শান বাঁধানো স্মৃতির পুকুরঘাট
পাকুড় গাছের ছায়া,ছায়াতলে-
সন্ধানী চোখ, চোখটা খুঁজে পাক।

তোমার কি আর উদাস হলে চলে
সাঁঝের বেলা সবুজ টিয়া
তোমার কথা বলে,
তোমার কি আর উদাস হলে চলে

এক একটা রাত এক একটা শব্দ
নৈঃশব্দের দীর্ঘ পথের শেষে
স্বপ্ন যখন চন্দ্রকাতর হয়
আকুল বর্ষা গান ধরে আবেশে।

তোমার কি আর আকুল হলে চলে
অঝোর ধারায় বৃষ্টি শুধু
তোমার কথা বলে,
তোমার কি আর আকুল হলে চলে

সুর ও সঙ্গীত- বনি আহমেদ   ব্যান্ড- নস্টালজিক

নস্টালজিয়া... তোমার কি আর দু:খ পেলে চলে


তোমার জন্য শব্দকল্প সাজাই। শান বাঁধানো স্মৃতির পুকুরঘাটে। শব্দগুলো টিয়া পাখি হয়ে  আমার দৃষ্টিসীমার ভেতরেই অদৃশ্য হয়ে যায়। সেই টংকারে আমি পরবর্তী দৃশ্যকল্প দেখি।
এক একটা রাত, এক একটা শব্দ। নৈঃশব্দের দীর্ঘ পথের শেষে স্বপ্নদের চন্দ্রকাতর করে দিয়ে, আমি তোমার অবয়বে জলটোকা দেই। মুহূর্তেই কি অপূর্ব ঝংকারে বিষাদ্গুলো আকুল বর্ষা রঙে গান ধরে।
সেই গানের সুরে জোনাকপোকাদের বিভ্রম। পথ ভুল করে এলোমেলো ঘুরে বেড়ায় আমার চারপাশে। আমি আর আমার ভাবনা। ভাবনাগুলো উদাস তেপান্তরের খোঁজে জীবন্ত হয়ে ওঠে তারপর। আমার পাশে এসে বসে অনুক্ষণ।
ঘোর লাগা চোখে পাকুর গাছের ছায়া। সন্ধানী চোখ। চোখটা খোঁজে চোখের অতল। কাকে দেখে শেষমেশ?
তোমার জন্যই আমার সব শব্দকল্প। তোমার কি আর দুঃখ পেলে চলে!
মেদুর আকাশ, বৃক্ষ সবুজ তোমার কথা বলে...
তোমার কি আর দুঃখ পেলে চলে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৬
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রবীন্দ্রনাথের 'সমাপ্তি' গল্প নিয়ে কাটাছেঁড়া

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৮ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:২৯



রবীন্দ্রনাথের চমৎকার একটা গল্প আছে।
গল্পের নাম- সমাপ্তি। গল্পটা আমার অনেক পছন্দের। যদিও আজকের আধুনিক যুগের সাথে রবীন্দ্রনাথের গল্প গুলো প্রায় অচল। সে যাকগে, প্রায়ই আমি এই গল্পটি পড়ি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাহাঙ্গীর আলম এবারো রাগ করবেন।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৮ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৪



আরেক নটী নুসরাত ফারিয়াকে বিমানবন্দর থেকে আটক করেছে কতৃপক্ষ। এবার জেলে যেতে হবে সংগে ডিম থেরাপীও চলবে। জাহাঙ্গীর আলম আমেরিকা বসে এসব পছন্দ করছেন না কারণ ফারিয়া যেভাবে তৈলমর্দন... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়ার দিন~

লিখেছেন সামিয়া, ১৮ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৬



ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় আগুন-রঙা রক্তিম লাল রঙে কৃষ্ণচূড়া ফুলে ভরে আছে গাছগুলো,
গ্রীষ্মের এই প্রচন্ড গরমে কৃষ্ণচূড়ার এই ফুলে ফুলে ছেয়ে যাওয়া রুপ দেখে মনে হয় আকাশের নিচে আগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

পর্দার শেখ হাসিনা তো গ্রেফতার হলো, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কি খবর ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:৩৪


খুব এক্সসাইটিং ব্যাপার স্যাপার ঘটছে আজকাল ! ব্লগে যে চরিত্র নিয়ে লিখি উহাই গ্রেফতার হচ্ছে। গতকাল নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে নিয়ে লিখলাম। আজকে দেখি বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার মটর-সাইকেল ট্যুরের সময় ভূতুরে অভিজ্ঞতা

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:০১

আসলে জীবনে অল্প বিস্তর প্যারানরমাল ঘটনা আমার সাথে ঘটেছে। আজ সে সবের মধ্যে আজ শুধু বাইক রিলেটেড ব্যাপারগুলোই তুলে ধরব।



ঘটনা ১. শুরুতেই বলি, আমি একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×