somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিজয়, ইউনিজয়, অভ্র, রিদমিক

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তরুন সমপ্রদায়ের সাথে মোস্তফা জব্বার সাহেবের প্রথম যুদ্ধটা শুরু হয় অভ্র এর "ইউনিজয় কীবোর্ড লেআউট" বাদ দেবার মধ্য দিয়ে। সে সময়েও বর্তমানের মতো অনলাইন কমিউনিটিতে ব্যপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। যেটি হযেছে বর্তমানে রিদমিক মোবাইল এপস নিয়ে।

মোস্তফা জব্বার সাহেব একজন ব্যবসায়ী মানুষ। বিজয় কীবোর্ড লেআউট তার পেটেন্ট করা জিনিস। কাজেই তার জিনিস কেউ বিনা অনুমতি ব্যবহার করতে পারে না। ইউনিজয়, বিজয় লেআউট থেকে সামান্য আলাদা। এইটুকু আলাদা হলে কপিরাইট ভংগ হয কিনা আমার জানা নেই।

কম্পিউটারে বাংলাভাষার প্রচলনের জন্য মোস্তফা জব্বার সাহেবের অবদান অনেক। বিশেষকরে প্রিন্টিং মিডিয়াতে এখনও বিজয় অপ্রতিদ্বন্দী।

আমার জানাতে ভুল না হলে বাংলাদেশে যেসকল কম্পিউটার কীবোর্ড আমদানী হয় তাতে বিজয় কীবোর্ড ছাপ দেয়া থাকে এবং এর জন্য কীবোর্ডের দাম বেশি হয়ে যায়। অনেকটা বাধ্য করা হয় বিজয় কীবোর্ড প্রিন্ট সহ কীবোর্ড কিনতে।


চেতনা আর আবেগের ব্যবসা কমবেশি অনেকেই করে। ফোন অপারেটর গুলোর বিজ্ঞাপন কিংবা প্রথমআলোর ভালোর সাথে অবস্থান সহ অনেক কিছুতেই আমরা চেতনার ব্যবসা দেখতে পাই। এরসাথে শুধু মোস্তফা জব্বার সাহেবকে আলাদাভাবে দোষ দিয়ে লাভ নেই।

প্রযুক্তির বড় সমস্যা হলো এটি গড়িয়ে পড়া পানির মতো। একে বেকে ঠিকই নিজের পথ করে নিবে। থামাতে গেলে বাধ উপচিয়ে পার হবে।


তরুন সমপ্রদায় মোস্তফা জব্বার সাহেবের ব্যবসায়ীক দিকটি না দেখে তাকে অশ্লীলভাবে ব্যক্তি আক্রমন করে গেছে এটি কোনো মতেই শোভন নয়। কেননা তিনি তার ব্যবসার স্থানটি যে কোনভাবেই ঠিক রাখবেন। আবার মোস্তফা জব্বার সাহেব এতো পুরনো ব্যবসায়ী হিসেবে বোঝা উচিত ছিলো সর্বোচ্চ সংখ্যক তরুন সম্প্রদায়ের চাহিদা কী? তাদের সাথে তার এভাবে লাগতে আসা উচিত হয় নাই। তিনি যেমন "বিজয়" নাম দিয়ে ভাষা বেচে খাচ্ছেন, তেমনি তরুনদের কাছেও ভাষার দোকানদার ড্রাকুলার মতোই রক্তচোষা।


বিষয়টির খুব সহজেই সমাধান হতে পারে। "ইউ্নিজয়" নামক কীবোর্ড লেআউটটি অনেকর কাছেই জনপ্রিয় এবং এটি ১০০% বিজয় লে্‌আউট নয়। ইংরেজী ২৬টি অক্ষরের মধ্যে যদি ৫টিও অমিল থাকে তাহলেইতো বিজয় এবং ইউনিজয়কে একই বলার সুযোগ নেই। এরপরেও মোস্তফা জব্বার সাহেব ছোট্ট একটি কাজ করতে পারেন, সেটি হলো যারা ইউনিজয় কীবোর্ড লেউআট ব্যবহার করতে চায় করতে পারবে। কিন্তু এধরনের সফটওয়্যার বা এপস শুধুমাত্র ফ্রী হবে। বানিজ্যিকভাবে ইউনিজয় লেআউট কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। এবং যারা তাদের সফটওয়্যার/এপস বানাতে ইউনিজয় লেআউট ব্যবহার করবে, তারা অবশ্যই সেখানে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করবে।

আশা করি বিষয়টি সবাই ভেবে দেখবেন।
৪০৬ বার পঠিত
৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর

১. ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:০১

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: চাচার বিজয় ম্যাকে অচল। যদিও লোকজন অপারগ হয়ে ৫ হাজার টাকি দিয়ে কিনে। কিন্তু ওরা জানে না ম্যাকে এখন নিজস্ব বাংলা কিবোর্ড আছে এবং এডবি সিসি তে ইউনিকোড দিয়ে লেখা যায়।
শুধু যায় নয় আমি ৫ টা উপন্যাস প্রকাশ করেছিও।

আমাদেরকে শুধু একটু অগ্রসর হতে গবে। এক্সপি ভিসতাতে চাচার বিজয় লাগবেই তবে নতুনগুলোতে লাগে না।

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ, সুন্দর মতামতের জন্য।

২. ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: সহমত।

৩. ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:০১

শাহ আজিজ বলেছেন: সরকারী ব্যার্থতা অপরিসীম। লেআউট হবে সরকারের আর বিজয় অভ্র বা অন্যরা স্টাইল, ফন্ট ইত্যাদি যোগ করে যার যার ব্যাবসা করবে। যেমনটি আমরা ইংরেজিতে দেখি। মুনির অপটিমা কি দোষ করেছিলো। জব্বারকে সুযোগ করে দিয়েছে তাই জব্বার করে খাচ্ছে।

৪. ১১ ই মার্চ, ২০১৫ ভোর ৫:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


জাব্বার লোভী মানুষ

৫. ৩১ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৩১

এন এফ এস বলেছেন: ভাষা হোক উন্মুক্ত এর বেশি কিছু বলার নেই

৬. ২৬ শে মে, ২০১৮ ভোর ৬:১৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সঠিক ইতিহাসে জানতে হলে মেজর ডালিমকেও আমলে নিতে হবে

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৯

সঠিক ইতিহাস জানতে হলে যেমন আপনাকে মেজর ডালিমের বক্তব্যকে আমলে নিতে হবে তেমনি ‌শেখ মুজিবের বক্তব্যও নিতে হবে।

আপনি একজনের ১৭ বছর একই ওয়াজ করা বক্তব্যকে বাইবেল আর মেজর ডালিমের বক্তব্যকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার ঘোষক কে?

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:২৭

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ১৯৫৭ সালের কাগমারী সম্মেলনে "আসসালামুয়ালাইকুম" বলে পাকিস্তানকে বিদায় জানানোর ঘটনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। তিনি তখন পূর্ব বাংলার জনগণের অধিকার, ভাষা, ও স্বাধীনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেলিম অনোয়ারের ব্যান নিয়ে আপনি কিছু বলছেন না কেন?

লিখেছেন জেনারেশন৭১, ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৩৫



এই ব্লগে কাকে ব্যান, সেমিব্যান, কমেন্ট ব্যান করলে আপনি খুশী হয়ে থাকেন? চাঁদগাজী/সোনাগাজীকে নিশ্চয়ই; এটা ভালো! চাঁদগাজী/সোনাগাজী "ব্যক্তি আক্রমণ" করে থাকে। সেলিম আনোয়ার কি আক্রমণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ষড়যন্ত্র করে অন্য দেশের সাহায্য নেয়া আওয়ামীলীগের পুরানো অভ্যাস

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২৭

বহুদিন পর্যন্ত এই দেশের লোক জানতো যে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা মিথ্যা ছিল। জনগণের ধারণা ছিল শেখ সাহেবকে শায়েস্তা করার উদ্দেশ্যে পাকিস্তানের শাসকরা এই মামলা সাজিয়ে ছিল। কিন্তু বেশ কয়েক... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুনির মুখে ইতিহাস শিক্ষা ও অধঃপতিত মানস

লিখেছেন sabbir2cool, ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৩৪


বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি মেজর শরিফুল হক ডালিমকে প্রকাশ্যে এনেছেন আলোচিত ফেসবুক-সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন। গত রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে ইলিয়াস ‘বিশেষ লাইভে যুক্ত আছেন বীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×