যারা আমার মতো একটু বয়স্ক তারা জানেন এক সময় টিভি থাকলে তার লাইসেন্স করতে হতো। অনেকেই টিভি কিনতেন কিন্তু লাইসেন্স করতেন না। লুকিয়ে চুরিয়ে টিভি দেখা হতো। লাইসেন্স পরিদর্শনে বের হলে তাড়াহুড়ো করে টিভির এন্টেনা খুলে লুকিয়ে রাখা হতো। সময়ের পরিক্রমায় টিভির লাইসেন্স আর করতে হয় কিনা আমার জানা নেই।
দেশী/চাইনিজ বাইক বাদে সকল বাইকের দামই ১লাখের উপর থেকে শুরু। ১লাখ টাকা খরচ করা যায় কিন্তু সাথে ১৫-২০হাজার টাকায় লাইসেন্স করতে আমাদের আপত্তি। রাস্তায় ট্রাফিক সার্জেন্ট ধরলে স্যার স্যার করতে কিংবা হোমরা-চোমরা কাউরে দিয়ে ফোন করাতে আমাদের বিবেকে বাধে না। কেনোরে ভাই, বাইক চালাবেন নিজের টাকায় তো আরেকটু টাকা খরচ করে গাড়ীর কাগজ করতে সমস্যা কোথায়?
বাইকের রেজিস্টেশনটি সরাসরি শোরুম থেকেই হওয়া উচিত, মোবাইলের সীমের মতো। রেজিষ্টেশন ফী সরকার নিবে কোম্পানী থেকে। এতে সবারই ঝামেলা কমে। আর রেজিষ্ট্রেশন ফী হওয়া উচিত সহনীয় যেনো সবাই সহজেই তা করতে পারে। এতে এক বাইকে অনেক টাকা না পেলেও বাইক বিক্রির সংখ্যা বেড়ে যাবে এবং রেজিস্ট্রেশন ফাকি দেবার ইচ্ছে হযতো অনেকেই করবে না।
বাইক সৌখিন জিনিস নয়, বাহন হিসেবে এটি বাংলাদেশে সর্বজন স্বীকৃত, কাজেই ১৫০সিসি পর্যন্ত বাইকের আমদানী ট্যাক্স সহনীয় করা উচিত। এতে বাইকের দাম অনেক কমে যাবে।