সৌদি আরবে জেদ্দায় আছি অনেক বছর ধরে কিন্তু কখনো আনন্দের উদ্দেশ্যে এতো দূরে যাওয়া হয়নি। কর্মব্যস্ত জীবনে সাপ্তায় একদিন ছুটি আবার কারো দুইদিন।এপ্রিলের শুরুতে জেদ্দায় প্রচন্ড গরম পড়ে।
দিনের বেলা রৌদ্রে বের হলে সূর্যের প্রচন্ড তাপে খবর হয়ে যায়।সন্ধ্যার পরে অবশ্য খানিকটা ঠান্ডা হয়।আল সাইফ সমুদ্র সৈকত দেখার জন্য আমাদের রুমমেট মুরব্বী আব্দুস সালাম উদ্যোগে শুক্রবার বিকেল ৪ টায় ৩টি গাড়ীতে আমারা ১৩ জন রওয়ানা হলাম।
পঁয়ষট্রি কিলো মিটার পাড়ি দিয়ে আমারা পৌছে যাই আল সাইফ সমদ্র সৈকতে।তখন সূর্য ডুবি ডুবি গাড়ী থেকে নেমে আমি চলে গেলাম,সাগর পাড়ে গিয়ে কিছু ছবি তোলে নিলাম সৃতি হিসেবে রাখার জন্য।
অনেকেই পুরো ফ্যামিলি নিয়ে চলে এসেছে কেও গল্প করছে কেও (গাওয়া)কফি পান করছে কেও মুরগী পুড়াচ্ছে কয়লার আগুন দিয়ে।তাদের সন্তানেরা খেলা দুলায় ব্যাস্ত কারণ তারাও সাপ্তায় এক দুই দিন সময় পায়।
সব সময় এই পরিবেশে আসা ও হয়না দুর্রত্বের কারণে।আমাদের মাঝেমধ্যে যে সব ছোটখাটো পার্টি হয় বেশি কষ্ট করে আব্দুস সালাম, মামুন, মুকুল ভাই।
[
এশার নামাজ শেষে শুরু হয় মামুন ভাইর কষ্ট, অনি মাছ পুড়াচ্ছে কেও টুয়ান্টি নাইন খেলছেন কেও ফুটবল নিয়ে খেলছেন।রাত ১০ টা বাজে মাছ পুড়ানো শেষ সবাই একে একে যায়গা মতো বসে গেল খাওয়ার জন্য।
মাছে ভাতে বাঙলী হলেও ভাত রান্না করা সমদ্র সৈকতে কস্টের একটি বিষয় তাই সে দিনের জন্য আমরা হয়েছি,মাছে রুটি বাঙলী।যদি লেখার সময় খাওয়ার কথা মনে উঠাতে বলতে হচ্ছে আমি তৃপ্তি পাইনি।
দেশের রাজনীতিক ফ্যামিলি কে কত বৎসর কে কি করছে দেশের বাড়িতে।কেও ফ্যামিলি কষ্টের কথা বলতে গিয়ে চোখে জল আসে,আবার কেও কোন রকম ভালো আছে,কেও আবার কিছুই করতে পারেনি প্রবাস জীবনে।
সময় কখন চলে গেল বুঝা এ গেল না,রাত ১২ টা লাইট অফ কিন্তু মানুষ বসে আছে।আমরা ভেবে ছিলাম যান্ত্রিক সমস্যা, কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারলাম রাত ১২টার পর কর্তৃপক্ষ থেকে লাইট অফ করে দেওয়া হয়েছে।শনিবার কয়েজনের ডিউটি আছে তাই আল আল সাইফ সমদ্র সৈকত কে বিদায় জানিয়ে আমাদের বাসায় ফেরা।
ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমা করে দিবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ৮:৫৩