এই তো আগেও আমরা ছেলেরা কোথায় যাচ্ছি,
কি করছি, কেনো যাচ্ছি, কার সাথে যাচ্ছি
বিভিন্ন বিষয়ে হাজার খানেক প্রশ্নের
কৈফয়তি দিয়ে বাইরে যেতে হতো আড্ডা দিতে
হতো। ভাই বন্ধুকে এত সীমাবদ্ধতার ভিতরে
থেকে সময় দিতাম, খেলা ধূলা করতাম।
দিনের বেলায় বাইরে থাকা যেত যদি কিনা
উপযুক্ত কারন ব্যাখ্যা করা যেতো। যত যাই
করি না কেনো সন্ধ্যার পর ঘরের বাইরে
যাওয়া খুব কঠিন হয়ে যেতো।
যদি কোন দিন সন্ধ্যার পর পিকনিকের আয়োজন
করতো বন্ধুরা, সেই পিকনিকে যোগ দিতে
গেলেও জেরার মুখে পড়া লাগতো।
আর আমার কাজিন (মেয়ে) দের বেলায় দেখছি
সামরিক আইন। সেনাবাহিনীর লোকেরা
যেভাবে প্রটোকল রক্ষা করে চলে খানিকটা
তেমন।
তাদের বাপ মায়ের চোখ কান খোলা থাকতো
তাদের মেয়ে কোথায় যায়, কার সাথে যায়,
কি করতে যায়, কেনো যায় ...
আর আজকাল ??
মেয়েরে জিন্স প্যান্ট গেঞ্জি পড়ায়া ছেড়ে
দেয় আল্লাহর নামে। ভাবটা এমন আল্লাহর
মাল দরিয়ায় ঢাল। উহু উহু চেতনা ধারী ভাই-
বোনেরা গালি দিবেন না। মেয়ে জিন্স
গেঞ্জি পড়ে রাস্তায় যাক সেটা নিয়ে আমার
কোন আপত্তি নেই। ওটা নিয়ে কোন কথা বলতেও চাচ্ছি না।
মেয়েরা রাস্তায় গেলে যৌন হয়রানীর
শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাহলে বুঝতেই
হবে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় মেয়েরা হীরা
মতই দামী। তারা মিসকল দিলে একটি ছেলে
বাপের পকেট কেটে হলেও মোবাইলে টাকা
লোড দিয়ে সারা রাত কথা বলে। একটি মেয়ে চোখের ইশারা দিলেই একটি ছেলে বাপের
মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে টাকা নিয়ে দামী
দামী গিফট কিনে দেয়।
একটি মেয়ের নিকট নিশ্চয় কিছু আছে নইলে
পরিমল, পান্না মাষ্টাররা কেনো এত উতলা
হয়ে ওঠে।
বুঝতে হবে সৃষ্টি্ কর্তা নারীদের কি ভাবে
তৈরী করেছে।
আজ আমাদের মেয়েরা যৌন নিগৃহের শিকার
হচ্ছে। এর দায় সমাজে বসবাসরত কেউ এড়াতে
পারি না। না আমি না আপনি।
আমরা আমাদের সমাজের নারীদের
নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছি এবং হচ্ছি।
যেহেতু আমরা নিরাপত্তা দিতে পারছি না ,
রাষ্ট্র যন্ত্র নিরাপত্তা দিতে পারছে না
সেহেতু এখন করণীয় কি ?? নিজের সেফটি
নিজেকেই করতে হবে।
আমরা তো জানি কোথায় গেলে আমি যৌন
নিগৃহের শিকার হতে পারি , তবে সেই স্থান
গুলি পরিহার করলেই এ ধরনের অনাকাঙ্কিত
ঘটনা এড়াতে পারবো।
অনেকেই বলবে তবে কি আমরা ঘরে বসে
থাকবো ??
উহু ঘরে বসে থাকবেন কেনো ? তবে একটু
নিজের দিকটাও বিবেচনা করতে হবে। ধরুন
আপনি এক লক্ষ টাকার একটি বান্ডিল নিয়ে
নিরিবিলি কোন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন।
আপনিই বলুন কি কি ঘটনার শিকার হতে
পারেন ??
আপনি নারী আপনার মূ্ল্য তো কোটি টাকার
চেয়েও বেশি। টাকার অঙ্কে মাপা যাবে না।
আমাদের রাষ্ট্র ছিনতাই কারীদের ধরতে
পারে না বলেই সিএনজিকে জেল খানা
বানিয়ে আমাদেরকে রাস্তায় চলতে হয়।
যেখানে ছিনতাই কারীদের খাচায় ভরার
কথা সেখানে আমরাই খাচার ভিতর। কি
চমৎকার।
সিএনজি যেমন খাচার ভিতর আপনিও খাচা
নিয়ে চলাচল করেন। এ ছাড়া আর কোন বুদ্ধি
নেই।
চেতনা ধারীরা কিন্তু কেউ একথা বলে না
কিল্লাই আমরা খাচার ভিতর করে চলাচল
করবো ?? সে নিজেও খাচার ভিতরে চলাচল
করে।
আর যখন নারীদেরকে খাচার ভিতর ঢুকতে বলা
হয় তখনি যত হাউ কাউ বাধে।
সারসংক্ষেপঃ দেখলেন তো সেদিন
টিএসসিতে কি ঘটনা ঘটলো। সেদিন কি
ওখানে আর কোন পুরুষ ছিলো না ?? যদি দশ জন
এগিয়ে আসতো যদি একশোজন এগিয়ে আসতো এবং
বখাটেরকে গন পিটুনি দিতো তবে কি হতো ??
কিন্তু সবাই বড় বড় কথা বলবে বিপদে পড়লে দুয়েকজন ব্যতীত সবাই যে যার জীবন নিয়ে
দৌড় দিবে।
আগেও এমন ঘটনা ঘটছে- বখাটেদের হাত হতে
বাচাতে গিয়ে যুবক আহত, নিহত। কই কিছু
হয়েছে ??
(সংগৃহীত)
by কর্পোরেট ভালোবাসা