মেক্সিকো শহরের দক্ষিণে একটি ছোট দ্বীপ রয়েছে যাকে পুতুলের দ্বীপ বলা হয়। দ্বীপটির পেছনে রয়েছে একটি বেদনাদায়ক কাহিনী যার কারনে এটি কখনো পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারেনি। দ্বীপটি উৎসর্গ করা হয়েছে একটি অভাগী মেয়েকে যে কিনা খুব অল্প বয়সে অদ্ভুতভাবে দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছিলো।
মেক্সিকো শহরের দক্ষিণে হাজার লোকের বাস থাকলেও অই ছোট্ট দ্বীপটিতে রয়েছে শত শত ভয়ঙ্কর পুতুলের বাস। পুতুলগুলোর কোনটির মাথা নেই, হাত-পা নেই, দেহ নেই, শুধু চোখ রয়েছে এমন সব অদ্ভুত পুতুল দ্বীপ জুড়ে গাছে ঝোলানো দেখতে পাওয়া যায়। পুতুলগুলো দিনের আলোতে দেখতেই ভয়ঙ্কর, আর রাতের আঁধারে তো কথাই নেই।
কথিত আছে যে অনেক বছর আগে ভাগ্যাহত মেয়েটিকে রহস্যময় ভাবে পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় এবং পুতুলগুলো তার আত্মা হতে তৈরি হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের মতে, পুতুলগুলো হাত-পা নাড়ে এমনকি চোখ খোলে ও বন্ধ করে। অনেক প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, পুতুলগুলো নিজেদের মধ্যে ফিসফিস করে কথা বলে। অনেকে নাকি দ্বীপের পাশ দিয়ে নৌকা নিয়ে যাবার সময় দেখেছে পুতুলগুলো তাদের দ্বীপে যাবার জন্য ডাকছে। সত্যি হল দ্বীপটি আসলেই রহস্যময় ও ভূতুড়ে যে কারনে সাধারন দর্শনার্থী এখানে যায়না।
২) অউকিগাহারা-জাপান
অউকিগাহারা জাপানের ফুজি পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত প্রায় ৩৫ কিঃমিঃ দীর্ঘ একটি সুনসান নীরব বন যা কিনা গাছের সমুদ্র নামেও পরিচিত। জাপানি পুরান মতে, এটি আত্মহত্যা করার জায়গা এবং এখানে মৃতদের আত্মা ঘুরে বেড়ায়। এই জঙ্গলটি জাপানীদের কাছে আত্মহত্যা করার জায়গা হিসেবে পরিচিত।
প্রতি বছর এখান থেকে প্রায় শখানেক মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। জাপানি নথিপত্রের হিসাব অনুযায়ী ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত এখানে গড়ে প্রতি বছর একশত লাশ পাওয়া গিয়েছে। ১৯৯৮ সালে ৭৪ টি, ২০০২ সালে ৭৮ টি লাশ পাওয়া যায়। ২০০৩ সালে এই সংখ্যা ১০০ তে গিয়ে পৌছায়। পরবর্তীতে ২০০৪সালে ১০৮ জন ব্যক্তি নিজেদেরকে এখানে হত্যা করে। ২০১০ সালে প্রায় ২৪৭ জন ব্যক্তি আত্মহত্যার উদ্যগ নিলেও মাত্র ৫৪ জন সফল হয়েছিলো। বর্তমানে দেশটির স্থানীয় সরকার এই হিসাব প্রকাশ করা বন্ধ করে দিয়েছে।
৩) স্পটেড লেক-কানাডা
এটি কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার অসইউস শহরে অবস্থিত একটি বিশেষ লেক যা দেখতে সারা পৃথিবী হতে পর্যটকরা ভিড় করে থাকে। লেকটি সারা বছর সাধারন লেকের মত থাকলেও শুধুমাত্র গ্রীষ্মকালে এর বিশেষত্ব দেখা যায়। লেকটির পানিতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট, ক্যালসিয়াম এবং সোডিয়াম সালফেট থাকায় গ্রীষ্মকালে এর পানি বাস্পায়িত হতে থাকার ফলে লেকের পানির উপরিস্তরে খনিজ লবণগুলোর নানান রকম নকশা বা দাগ দেখতে পাওয়া যায়। এই নকশা দেখতেই পর্যটকরা এখানে এসে থাকে।
তথ্য ও ছবিঃ ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত