মূঘলরা ইতিহাস, তবে ইতিহাসের অন্ধকার অংশ।
ইতিহাসে সবই থাকবে। ইতিহাসে কোনটা গুরুত্বপুর্ন সেটাই হোল কথা।
আদিম কাল থেকেই বাংলা তথা ভারত উপমহাদেশ সুজলা সুফলা স্বনির্ভর সম্পদে সমৃদ্ধ একটি দেশ ছিল।
ভারত উপমহাদেশ তথা ভারতীয়রা কখনোই বিদেশে ডাকাতি করতে দখল যায়নি। খাদ্যভাবে বিদেশে দখল লুট করতে যায়নি। ভারত নিজেই সবচেয়ে সমৃদ্ধ ছিল। কিন্তু সতর্ক না থাকায় বারবার বিদেশী জলদস্যু বা মরুভুমির ক্ষুধার্ত তষ্কর ডাকাতদল দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল।
বিদেশী জলদস্যুরা মরুভূমির তস্কররা মূঘল, তূর্কী, আরবী, পারসি বকতিয়ার ডাকাতরা, চেঙ্গিশ হালাকু খুনেরা এসে ভারতের সর্বনাস করে গেছে।
জাপান এশিয়ার অন্যতম দেশ যারা কখনো বিদেশি তস্কর দ্বারা আক্রান্ত হয়নি, সমুদ্র বাধার কারনে বিদেশিরা দখল করতে পারেনি। তাই নিজেরা ধিরে ধিরে ভালোভাবে উন্নতি করতে পেরেছে।
ডাকাত তস্কর ঠেকাতে চীনারা উচু দেওয়াল নির্মাণ করেছিল। ভারতের ছিল নিজ প্রাকৃতিক দেয়াল। উচু হিমালয় কাঞ্চঞ্জঙ্ঘা হিন্দুকুশ, কারাকোরাম তোরাবোরা পাহাড় ঘিরে ছিল আর ছিলো গভীর শিন্ধু নদের বাধা। পুর্বেও পদ্মা যমুনা মেঘনার কাদা মাটির দুর্গম বাধা। সহজে বহিরাগত ডাকাতরা অনুপ্রবেশ করতে পারত না।
কলম্বাস লুটপাটের উদ্দেশ্বে সম্পদে সমৃদ্ধ ভারত আবিষ্কার করতে পথভুলে আমেরিকা মহাদেশে চলে গেছিল। পরে ভাস্কোডাগামা কালিকটে আসতে সক্ষম হয়েছিল সুদুর আফ্রিকা উত্তমাশা অন্তরিপ ঘুরে।
অনেক প্রাচীন সভ্যতা, ভারত যখন অন্যান্ন এলাকা থেকে অঙ্কশাস্ত্র জ্ঞ্যানেবিজ্ঞানে উন্নত, ভারতে যখন তক্ষশীলা নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, তখন ব্রিটিষ পশ্চিম ইউরোপবাসিরা তখনও সম্পুর্ন নিরক্ষর জংলি, দিগম্বর বনে বাঁদাড়ে ঘুরে বেড়াতো।
ভারতীয়রা যদি চীনের মতো প্রাচীর দিয়ে পর্বত এর ফাঁক ফোকোর গুলো বন্ধ তরে বিদেশী ডাকাতদের রুখতে পারতো। তাহলে ভারত- বাংলাই জাপানের মত পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হয়ে থাকতো।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:২৪