বাচ্চারা প্রাপ্তবয়ষ্ক না হওয়া পর্যন্ত মায়ের কাছেই থাকবে। প্রচলিত আইন এটাই।
আর আমেরিকাগামি এই লোকটাতো আবার বিয়ে করবে ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায়।
বাচ্চাদুটিকে নিয়ে এসেছে কোন মমতা থেকে নয়। শ্রেফ মেয়েটাকে প্রতিশোধ্মুলক নিপীড়ন দেয়ার জন্য। মেয়েরা সৎ মায়ের কাছে বা বাংলাদেশে অচেনা ফুফুর কাছে অবহেলিতই থাকবে নিশ্চিত।
এমনিতে প্রচলিত সামাজিক নিয়মে দেখলেও লোকটি আইনত অপরাধী।
বাচ্চা স্কুলবাস স্ট্যাড থেকে উঠিয়ে নেয়া, বাচ্চার মাতার সাক্ষর জাল করে পাসপোর্ট হারানো আবেদন, এবং পলায়ন। এসেব সবই সবদেশে অপরাধ। ক্রাইম।
লোকটি জেনুইন হলে ভাল হলে জাপানেই আইনি ফয়সালা করে ভদ্রভাবে মেয়েদের নিয়ে ভদ্রভাবে দেশত্যাগ করতে পারতো।
এইজন্যই তার আইনজীবি সাংবাদিকের প্রশ্নে বার বার বলে যাচ্ছে জাপানে ন্যায় বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা নেই, তাই (পলায়ন} বাংলাদেশে আসা।
আর লোকটার আমেরিকান পাসপোর্ট। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ মিথ্যা তথ্য দিয়ে মায়ের শাক্ষর জাল করে দুই বাচ্চার পাসপোর্ট হারানো আবেদন করেন ১৭ ফেব্রুয়ারি নতুন পাসপোর্ট হাতে নেন।
এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি মেয়েদের নিয়ে তিনি আমেরিকা না যেয়ে করোনা বিপর্যস্ত বাংলাদেশে চলে আসেন।
ভাল করেই জানে আমেরিকা গেলে জাপানের মতই অবস্থা হবে, উলটো জালিয়াতির দায়ে জেল খাটতে হবে।
বাচ্চারা ৮-৯ মাস মায়ের স্নেহ থেকে মায়ের দেখা বঞ্চিত দৃষ্টি থেকে দূরে। আদালতে বাপের শিখিয়ে দেয়া কথা বলে কিনা কেউ যানে না।
দেখা যাক নারী হেটার্স ল্যান্ড তালেবানিস্তানের আদালতে ন্যায় বিচার হয় কি না।
মুল কাহিনী হচ্ছে - প্রথমআলোর ভাস্য মা–বাবার বিরোধ অ্যাপার্টমেন্ট কেনা নিয়ে।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইমরান কলেজের পাঠ চুকিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়া করতে গিয়েছিলেন।
২০০৭ এর দিকে কর্মসূত্রে জাপানে আসেন এবং নাকানো এরিকোকে বিয়ে করেন। ইমরান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ২০০৮ সালে বিয়ে করেন। তাঁদের ১১, ১০ ও ৭ বছর বয়সী ৩টি মেয়ে রয়েছে।
২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি ইমরান শরীফ স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদের আবেদন করেন। এর ফয়সালা চলমান ছিল।
এর তিন দিন পর তিনি বড় মেয়েকে স্কুল থেকে বাস বাদে ব্যক্তিগত গাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন। কিন্তু মায়ের অনুমতি না থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁর প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়। ওই দিনই স্কুলবাসে বাড়ি ফেরার পথে তিনি দুই মেয়েকে বাসস্ট্যান্ড থেকে তুলে অন্য অজ্ঞাত স্থানে একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যান।
জাপানের আদালত ৩১ মে নাকানোর কাছে সন্তানদের জিম্মা দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু ততদিনে ওরা বাংলাদেশে।
নাকানো এরিকো পেশায় চিকিৎসক। সপরিবার তাঁরা টোকিওতেই থাকছিলেন। তবে প্রায়ই পেশাগত প্রয়োজনে তাঁকে টোকিওর বাইরে যেতে হতো। এর মধ্যেই টোকিওর বিলাসবহুল এলাকায় অ্যাপার্টমেন্ট কেনা হয়। চাকুরিজীবি দম্পতি ৫০-৫০ কিস্তি দেয়ার ভিত্তিতে হয় সাধারনত। ইমরানের দাবি, ভালোভাবে সবকিছু বুঝে ওঠার অ্যাপার্টমেন্টটি কিনে ফেলা হয়। ইমরানের দাবি ২০-৮০ তে তার উপর কিস্তি চাপিয়ে দেয়া হয়। এ নিয়েই মুলত বিরোধিতা, ইমরানের দাবি অনুযায়ী।