খুশিতে লাফানোর কিছু নেই। ভারত এর আগে চন্দ্রযান-১ মিশন পরিচালনায় সফল হয়েছিল। সফলভাবে অবতরন করেছিল।
২০০৮ সালের ১৪ নভেম্বর ২০:০৬ মিনিটে চন্দ্রযান-১ মুন ইমপ্যাক্ট প্রোবটি চাঁদের কক্ষপথে ভ্রাম্যমান চন্দ্রযান থেকে পৃথক হয়ে যায় এবং চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল ও সুনিয়ন্ত্রিত পন্থায় অবতরণ করেছিল।
এবারেরটা ছিল চন্দ্রযান মিশন-২।
চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডিং এরিয়া ছিল চাঁদের অন্ধকার দুর্গম দক্ষিণ অংশে, যেখানে পৃথিবীর অন্যকোন দেশ কোনো মিশন পরিচালনা করেনি। ভারতই প্রথম দেশ, যারা চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি মিশন পরিচালনা করেছে। ল্যান্ডিং চেষ্টা করেছে।
মনে রাখতে হবে বিজ্ঞান এমন একটা জিনিস, যেখানে একটি ব্যর্থতা সফলতার আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে।
একটি বিশাল প্রকল্পে ব্যার্থতা থাকবেই। মার্কিন চন্দ্রাভিজান বিসমিল্লাতেই ব্যার্থ হয়েছিল। এপোলো ১ রকেট উৎক্ষেপনের আগের মুহুর্তে আগুন ধরে গেছিল ককপিটেই ৩ নভোচারি নিহত হয়েছিলেন। আরো ৪ টি মিশন যান্ত্রিক কারনে ব্যার্থ হয়েছিল। এর পরও হতদ্যম হয় নি। ১১ তম এপোলো চাদে মানুষ নামায়। এরপরও আরো চার টি মিশন ব্যাটারি চালিত গাড়ী সহ নেমেছিল।
চন্দ্রযান-২-এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) ভারতীয় মিশনকে সহমর্মিতা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে,
বলেছে চাদে অবতরন এই সহজ ব্যাপার না। গত ৬০ বছরে চাঁদে চালানো বিভিন্ন দেশের অভিযানগুলোর মধ্যে ৪০ শতাংশই ব্যর্থ হয়েছিল। নাসার ‘মুন ফ্যাক্ট শিট’-এর তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী, গত ৬০ বছরে চালানো ১০৯টি অভিযানের মধ্যে মাত্র ৬১টি সফল হয়।
ভারতীয় এই বার মিশনটি ব্যর্থ হয়েছে ঠিকই কিন্তু এই ব্যর্থতাকে কাজে লাগিয়ে ১ বছর, ২ বছর বা ৫ বছর পরই ঠিকই তারা সফল হবে। মানুষও নামবে। বিজয়ের উৎসব করবে। সুভকামনা ভারত।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮