তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য কন্ট্রাক্টর নিজের ঝুকিতে বিনিয়োগ করবে। অর্থাৎ তেল-গ্যাস না পাওয়া না গেলে তারা কোন টাকা পাবেনা। আর লাভজনক পরিমানে তেল-গ্যাস পাওয়া গেলে সেখান থেকে কন্ট্রাক্টর এর খরচ পরিশোধ করা হবে তেল-গ্যাস দিয়ে।
1. এই ব্লক টা বাংলাদেশের সমদ্রসিমার শেষ প্রান্তে, গভীর সমুদ্রে। PPP বা বিদেশী ঠিকাদার ছাড়া এই গ্যাস উঠানো বাপেক্সের পক্ষে অসম্ভব। পার্শবরতি ক্ষেত্র গুলোতে কজ সুরু করে দিয়েছে ভারত ও বার্মা গত বছর থেকেই।
এই প্রথম এদেশ এত গভীর সমুদ্র থেকে গ্যাস উঠানোর পদক্ষেপ নিল। দ্রুত না উঠাতে পারলে ঐ ক্ষেত্রের গ্যাস লোপাট হওয়ার সম্ভবাবনা আছে।
যেখানে ডাঙ্গার ক্ষেত্রগুলো নন আমেরিকান দুর্নিতিবাজ অদক্ষ নাইকো, তাল্লো, আক্সিডেন্টাল প্রভৃতি কম্পানিকে অসম চুক্তি করতে দেয়া হয়েছে, তখনো চুক্তির ডিটেইল প্রকাশ কর হয় নাই। সেখানেও রপ্তানির সুযোগ দেয়াছিল।
এটা নিয়ে কখনো কোন উচ্চ-বাচ্চ হয় নি কারন, চুক্তিগুলো করেছিল দেশপ্রেমিক! BNP আর জাতিয়পার্টি।
2. বিশ্ব রাজনিতি-অর্থনিতির বর্তমান প্রেক্ষাপটে মেইনল্যান্ড আমেরিকান কম্পানীর পক্ষে অবৈধ লেনদেন করে বাড়তি সুবিধা আদায় করা অসম্ভব। কারন সেখানে বর্তমানে সরকারি মনিটরিং ছাড়াও ওয়ালষ্ট্রিট এবং প্রতিদন্দ্বি কম্পানিগুলোর তিক্ষ্ম নজর থাকে। (এর প্রমান কোকোর ধরা খাওয়া। SIMENCE মার্কিনি না হলেও নিউয়র্কের ওয়াল ষ্ট্রিট এ নিবন্ধন থাকায় ও অন্যান্ন কম্পানির চাপে FBI এর হাতে ধরাপড়ে)
এক্ষেত্রে কঙ্কো ফিলিপস একটি বড় কম্পানি, এটি মেইল্যান্ড আমেরিকায় নিবন্ধিত, ওয়ার্ল্ড রেংকিং এ ৫ নং,
3. এই চুক্তির খসড়া হয় গত তত্তাবধায়কের আমলে। পিএসসি ২০০৮ ছিল বিডিং এর জন্য নীতিমালা, যেখানে বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে ন্যুনতম শর্তগুলো উল্লেখ ছিল, অর্থাৎ বিডার কে এই শর্তগুলো পুরন করে বিড করতে হবে। সেখানে বাংলাদেশ যেসব শর্ত পালন করবে। সেগুলোও উল্লেখ আছে, এখন সবাই পিএসসি ২০০৮ মেনে বিড করেছে.
সেখানে কনোকোফিলিপস সবচেয়ে দক্ষ এবং ভাল শর্ত দিয়েছিল, তাই পরবর্তি নির্বাচিত সরকার এর সাথে চুক্তি হয়েছে। কৌশল্গত কারনে চুক্তির ডিটেইলস প্রকাশ করা হচ্ছে না, সেজন্য আমরা এটুকুই শুধু জানি যা হয়েছে সেটা পিএসসি ২০০৮ এর চেয়ে ভাল। তাই আসা করা যায় বর্তমান সরকারি মন্ত্রি-আমলারা এটা থেকে বড় অংকের কোন অবৈধ সুবিধা নেয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
4. কঙ্কো ফিলিপস প্রথমেই এক বিলিয়ন ডলার এর বেশী বিনিয়গ করবে রিগ বসিয়ে গর্থ খুড়তে, গ্যাস খুজতে, গ্যাস না পাওয়া গেলে বাংলাদেশকে কোন টাকা দিতে হবেনা। চুক্তির এটা একটা ভাল দিক।
চুক্তি হয়েছে ৫৫%-৪৫% বেসিস। অবকাঠামো ব্যয় ৫০%-৫০% ক্যাস না, ২৫% গ্যাসের মাধ্যমে।
5. মিলিয়ন ডলার পার মাইল বাংলাদেশের জন্য কোন ব্যাপার না পাইপ লাইন তৈরির জন্য।
১০ বছর সময় থাকবে বাংলাদেশের হাতে আভ্যন্তরিন পাইপলাইন upgrade করার জন্য,এবং প্রয়জনে LNG Plant তৈরি করে বাড়তি গ্যাস ধরে রাখার জন্য।
6. কঙ্কো ফিলিপস তাদের অংশের গ্যাস আমাদের কাছেই বেঁচবে। অন্য কারো কাছে সহজেই গ্যাস বেচতে পারবেনা কারন, মাঝ দরিয়ায় Lng plant করা খুব ব্যায়বহুল এবং ঝুকিপুর্ন, পৃথিবীতে এখনো এধরনের কোন নজির নাই।
বিপুল পরিমান গ্যাস পেলে হয়তো তারা ভাসমান এলেঞ্জি প্লান্ট বানিয়ে নজির শৃষ্টি করতে পারে। বিপুল গ্যাস পেলে দেশের তো বিপুল লাভ।
ঠিকাদারের এর বিনিয়োগকৃত টাকা after all পরিশোধ করতে হবে। এক্ষেত্রে টাকার বদলে তাদেরকে তেল-গ্যাস দেয়া হবে, তাদের খরচ যত হবে সেই পরিমান। কিন্তু সেটা একবারে দেয়া হবেনা, দেয়া হবে কিস্তিতে। বার্ষিক উতপাদনের সর্বোচ্চ ৫৫% এই কস্ট রিকভারীর জন্য রাখা যাবে। এর মানে কিন্তু এই নয়, তারা প্রতি বছর ৫৫% করে পেতে থাকবে। প্রতি বছরের কস্ট রিকভারী গ্যাস নিয়ে যখন সম্পূর্ন টাকা পরিশোধ হয়ে যাবে, তখন পুরো গ্যাসই প্রফিট গ্যাস হয়ে যাবে (মেইনটেনেন্স খরচ বাদে)।
কন্ট্রাক্ট্রর তাদের ভাগের গ্যাস নিয়ে কি করবে সেটাও বলে দেয়া আছে। তাদেরকে এই গ্যাস অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেট্রোবাংলার কাছে একটা নির্দিষ্ট দামে বিক্রি করতে হবে।তার মানে দাড়াচ্ছে, অবশেষে তার টাকাই পাচ্ছে। তারা বিনিয়োগ করল, আমরা উৎপাদন শুরু হওয়ার পর তাদের বিনিয়োগের টাকা কিস্তিতে শোধ করলাম।
সর্বশেষে আমার একটা প্রস্তাব সরকারের কাছে ভাল কন্সাল্টেন্ট নিয়োগ দেয়ার জন্য। দুর্নিতিবাজ বাপেক্স না, পেশাদার দেশী বা বিদেশি অভিজ্ঞ কন্সাল্টেন্ট।
বাপেক্স সুধু সমন্ময় করবে এবং সর্বত্র সচ্ছতা বজায় রাখার জন্য। প্রয়জনে তেলগ্যাস রক্ষা কমিটির দুই সদস্য কে সমন্নয় ও মনিটরের দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০১১ রাত ২:২৭