somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আস্তিক বা নাস্তিক কোনটা তোমায় খাটে?

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হিন্দু দর্শন ছয়টি আস্তিক বা দর্শন[১] এবং তিনটি নাস্তিক শাখায় বিভক্ত। আস্তিক শাখাগুলি বেদ-কে সর্বোচ্চ ধর্মগ্রন্থ হিসেবে স্বীকার করে; কিন্তু নাস্তিক শাখাগুলি তা করে না। আস্তিক শাখাগুলি হল: সাংখ্য, যোগ, ন্যায়, বৈশেষিক, মীমাংসা ও বেদান্ত। নাস্তিক শাখাগুলি হল: বৌদ্ধ, জৈন ও চার্বাক। এর মধ্যে চার্বাক দর্শন শাখাটি খ্রিস্টীয় পঞ্চদশ শতকে অবলুপ্ত হয়ে যায় এবং এর প্রধান ধর্মগ্রন্থগুলিও হারিয়ে যায়।

গুপ্তযুগে ছয়টি আস্তিক দর্শন বা ষড়দর্শনের অস্তিত্ব ছিল বলে জানা যায়। মধ্যযুগের শেষভাগে বৈশেষিক ও মীমাংসা শাখাদুটি অবলুপ্ত হয়ে গেলে বেদান্ত শাখার উপশাখাগুলির গুরুত্ব বেড়ে যায় এবং বেদান্ত হিন্দু দর্শনের প্রধান শাখা হয়ে ওঠে। সতেরো শতক পর্যন্ত ন্যায় "নব্যন্যায়"-এর আকারে টিকে ছিল। সাংখ্য শাখাটি স্বাতন্ত্র্য হারিয়ে ধীরে ধীরে যোগ ও বেদান্ত শাখার সঙ্গে মিশে যায়।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্যাটানিজম এমন একটি শব্দ যা মানুষের বিশ্বাসের সাথে জড়িত। সাধারণভাবে শয়তানের ওপর ভক্তি বা প্রশংসাকে বোঝানো হয়ে থাকে। হিব্রু বাইবেল অনুসারে যে মানুষের বিশ্বাসের ওপর আঘাত করে সেই শয়তান। গ্রিক নিউ টেস্টামেন্টে আরো বিস্তারিত ধারণা পাওয়া যায়, যেখানে যিশুর প্রলুদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে বুঝানো হয়েছে। আব্রাহামিক ধর্মে শয়তানকে তুলনা করা হয়েছে বিপথগামী দেবদূত বা দানব হিসেবে যে মানুষকে খারাপ কাজ বা পাপ করতে অনুপ্রেরণা যোগায়। খ্রিস্টান ধর্ম অনুযায়ী শয়তানকে খ্রিস্টান ধর্মের প্রধান শত্রু হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। ইউরোপে রেঁনেসা হওয়ার পরে শয়তানকে আসলে রূপক অর্থে দেখা হয়েছে যা বোঝাচ্ছে বিশ্বাসের অভাবকে, বিচ্ছিন্নতাবাদ, ইচ্ছার স্বাধীনতা, জ্ঞান এবং আলোকিত হওয়াকে। সাহিত্যে আমরা শয়তানকে দেখি পারাডাইজ লস্ট-এ। ১৯৬০ সালের আগে শয়তান উপাসকদলগুলোকে আন্ডারগ্রাউন্ড ও অবৈধ মনে করা হত। ডাকিনীবিদ্যা বিরোধী আইন যেমন ব্রিটিশ ডাকিনীবিদ্যা আইন ১৭৩৫( যা ১৯৫১ সালের আগে বাতিল হয়নি) জনগণের ডাকিনীবিদ্যা ও স্যাটানিজম বিরোধী আবেগকে প্রকাশ করে।আধুনিক স্যাটানিজম প্রথম সবার নজরে আসে ১৯৬৬ সালে শয়তানের চার্চ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।আধুনিক শয়তানের দলগুলো নানা ভাগে বিভক্ত হলেও প্রধান দু’টি ধারা হচ্ছে আস্তিক স্যাটানিজম ও নাস্তিক স্যাটানিজম। আস্তিক শয়তানের দলগুলো শয়তানকে পূজা করে একটি অতিপ্রাকৃতিক দেবতা হিসেবে যিনি প্রকৃতই দয়ালু।অন্যদিকে নাস্তিক শয়তানের দলগুলো নিজেদের নাস্তিক মনে করে এবং শয়তানকে মনে করে মানুষের খারাপ বৈশিষ্ট্যের একটি প্রতীক হিসাবে।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফ্রান্সিস বেকন (ইংরেজি Francis Bacon ফ্র্যান্সিস্‌ বেক‌ন্‌, ২২শে জানুয়ারি, ১৫৬১ - ৯ই এপ্রিল, ১৬২৬) একজন ইংরেজ দার্শনিক, রাষ্ট্রনায়ক ও বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার পথপ্রদর্শক ছিলেন। আইনজীবি হিসেবে পেশাগত জীবন শুরু করলেও তিনি বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের প্রবক্তা এবং জ্ঞানান্ধতা ও গোঁড়ামি বিরোধী হিসেবে সুখ্যাত হন।তিনি বলেছিলেন"যে বাক্তি বিজ্ঞান সম্পরকে অল্প জানে সে নাস্তিক হয়ে যাবে আর যে বাক্তি বিজ্ঞান সম্পরকে ভাল জানে সে আল্লাহর খুব কাছাকাছি চলে আসবে"
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নাস্তিক্যবাদ (ইংরেজি ভাষায়: Atheism; অন্যান্য নাম: নিরীশ্বরবাদ, নাস্তিকতাবাদ) একটি দর্শনের নাম যাতে ঈশ্বর বা স্রষ্টার অস্তিত্বকে স্বীকার করা হয়না এবং সম্পূর্ণ ভৌত এবং প্রাকৃতিক উপায়ে প্রকৃতির ব্যাখ্যা দেয়া হয়। আস্তিক্যবাদ এর বর্জন কেই নাস্তিক্যবাদ বলা যায়।[১] নাস্তিক্যবাদ বিশ্বাস নয় বরং অবিশ্বাস এবং যুক্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। বিশ্বাসকে খণ্ডন নয় বরং বিশ্বাসের অনুপস্থিতিই এখানে মুখ্য।[২]

ইংরেজি ‘এইথিজম’(Atheism) শব্দের অর্থ হল নাস্তিকক্য বা নিরীশ্বরবাদ। এইথিজম শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে গ্রিক ‘এথোস’ (ἄθεος) শব্দটি থেকে। শব্দটি সেই সকল মানুষকে নির্দেশ করে যারা ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই বলে মনে করে এবং প্রচলিত ধর্মগুলোর প্রতি অন্ধবিশ্বাস কে যুক্তি দ্বারা ভ্রান্ত বলে প্রমাণ করে। দিনদিন মুক্ত চিন্তা, সংশয়বাদী চিন্তাধারা এবং ধর্মসমূহের সমালোচনা বৃদ্ধির সাথে সাথে নাস্তিক্যবাদেরও প্রসার ঘটছে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে সর্বপ্রথম কিছু মানুষ নিজেদের নাস্তিক বলে স্বীকৃতি দেয়। বর্তমান বিশ্বের জনসংখ্যার ২.৩% মানুষ নিজেদের নাস্তিক বলে পরিচয় দেয় এবং ১১.৯% মানুষ কোন ধর্মেই বিশ্বাস করে না।[৩] জপানের ৬৪% থকে ৬৫% নাস্তিক অথবা ধর্মে অবিশ্বাসী।[৪] [৫] রাশিয়াতে এই সংখ্যা প্রায় ৪৮% এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নে ৬% (ইতালী) থেকে শুরু করে ৮৫% (সুইডেন) পর্যন্ত।[৬]

পশ্চিমের দেশগুলোতে নাস্তিকদের সাধারণ ভাবে ধর্মহীন বা পরলৌকিক বিষয় সমূহে অবিশ্বাসী হিসেবে গণ্য করা হয়।[৭] কিন্তু বৌদ্ধ ধর্মের মত যেসব ধর্মে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে হয় না, সেসব ধর্মালম্বীদেরকেও নাস্তিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[৮] কিছু নাস্তিক ব্যক্তিগত ভাবে ধর্মনিরপেক্ষতা, হিন্দু ধর্মের দর্শন, যুক্তিবাদ, মানবতাবাদ এবং প্রকৃতিবাদে বিশ্বাস করে। নাস্তিকরা কোন বিশেষ মতাদর্শের অনুসারী নয় এবং তারা সকলে বিশেষ কোন আচার অনুষ্ঠানও পালন করে না। অর্থাৎ ব্যক্তিগত ভাবে যে কেউ, যে কোন মতাদর্শে সমর্থক হতে পারে,নাস্তিকদের মিল শুধুমাত্র এক জায়গাতেই, আর তা হল ঈশ্বরের অস্তিত্ব কে অবিশ্বাস করা।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আমরা কি আস্তিক নাকি নাস্তিক?
নিয়মিতি না হলেও নামাজ পড়ি, জানাজা পড়ি, রোজা রাখি সব গুলো, ঈদের নামাজ পড়তে ভুল করি না। শুক্রবারে জুমার নামাজে ১০/- টাকা চাঁদাও দেই। আমি কি আস্তিক নাকি নাস্তিক?
আমি মনে করি আমি আস্তিক নাস্তিক কোনটাই না, আমি মুসলিম। আল্লাহ এক, অদ্বিতীয় তাঁর কোন শরিক নাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×