somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ভিত্তি কী হবে?

২৮ শে মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রশ্নটা হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কীসের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে? টাকা না কি মেধা? না কি দুটিই? একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য যে কোনো একটি ভিত্তি থাকা উচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির মূল মানদণ্ড হলো অল্প খরচে মেধাবী শিক্ষার্থী ভর্তি করা। এখানে যার মেধা আছে সে দরিদ্র হোক আর ধনী হোক সবাই ভর্তি হতে পারে, নিতে পারে উচ্চতর শিক্ষা। এখানে দুটি মানদণ্ড থাকতে পারে না, থাকা উচিতও নয়।
তাই সান্ধ্যকালীন কোর্সের নামে যে চেষ্টা চলছে তা চলা উচিত নয়। করলে কর্তৃপক্ষ একসঙ্গে দুটি শিফট চালাতে পারে। অর্থাৎ একেবারে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে দ্বিগুণ শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। সবাই কম খরচে পড়তে পারবে। তখন প্রশ্ন উঠবে অবকাঠামো সমস্যা ও লোকবল সঙ্কট নিয়ে। কারণ কর্তৃপক্ষ প্রায়ই আবাসন সঙ্কট ও অবকাঠামোর সমস্যার কথা বলে। অথচ এই সমস্যার মধ্যে কর্তৃপক্ষ সান্ধ্যকালীন বাণিজ্যিক কোর্স চালু করতে চায়।
এবার আমার কথা বলি। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে এ বছর প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় হয়ে মাস্টার্স পাস করেছি। অনার্সেও একই ফলাফল ছিল।
অথচ আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ারই কথা ছিল না। দারিদ্র্য ও পারিবারিক অশানি-র কারণে ২০০০ সালে কোনোমতে এসএসসি পাস করেছি। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে নম্বর ছিল ৮২৬।
কলেজে পড়া নিয়ে শঙ্কায় ছিলাম। ধানমন্ডির আইডিয়াল কলেজ সেই বার ঘোষণা দিল অন-ত ৭৭৫ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থী বিনাবেতন ও খাওয়া-দাওয়ায় পড়ার সুযোগ দেবে। সুযোগটি নিলাম। দুই বছর সাপ্তাহিক হাত খরচ ছাড়া কোনো খরচ হয়নি। ২০০২ সালে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে পেলাম ৮০০ নম্বর।
ইচ্ছে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ ইউনিটে চান্স পেলে হিসাব বিজ্ঞান পড়বো নয় তো ঘ ইউনিটে পরীক্ষা দিয়ে সাংবাদিক হতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়বো। নয় তো আর পড়াশুনা করবো না। কারণ আমাদের সেই সামর্থ্য নেই। গ ইউনিটে চান্স পাইনি।
ঘ ইউনিটে চান্স পেয়ে সাংবাদিকতায় ভর্তি হলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস'ায় টিউশনি ও সাংবাদিকতা দুটোই করেছি। এখন পড়াশুনা শেষ। দেশের প্রথম সারির একটি দৈনিক পত্রিকায় সহ-সম্পাদকের কাজ করছি। মাঝে মধ্যে রিপোর্টিংও করি। আমার লক্ষ্য আমার ভুল বা অসতর্কতার কারণে কোনো ভুল প্রতিবেদন যাতে ছাপা না হয়, যেনো কারো ক্ষতি না হয়।
সবশেষে বলতে চাই শিক্ষাটা যদি পুরোটাই বাণিজ্যের হাতে চলে যায় তবে আমার মতো শিক্ষার্থীরা কোনোদিন উচ্চতর শিক্ষা নিএত পারএব না।


সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৪
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পুলিশ হত্যার বিচার চাই।

লিখেছেন রাবব১৯৭১, ১৩ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:৫১

সব হত্যার বিচার চাওয়ার অধিকার সবার আছে, কিন্তু পুলিশের হত্যার বিচার চাওয়ার অধিকার নেই! পুলিশ কি মানুষ নয়? তারা কি কোনো মায়ের সন্তান নয়? তারা কি কোনো সন্তানের বাবা নয়?... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিল্পী মমতাজ কিভাবে দশমাস আত্নগোপনে ছিলেন ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:৩৩


'ফাইট্যা যায় বুকটা ফাইট্যা যায়' খ্যাত সংগীত শিল্পী গতকাল রাতে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। শিল্পী মমতাজ ফোক সংগীতের জন্য গ্রামে গঞ্জে বেশ নাম করেছিলেন। শিল্পী মমতাজ কে সবাই চিনে মূলত... ...বাকিটুকু পড়ুন

নৌকা ডুবার পর আওয়ামী সমর্থকরা গামছা পরে শরম ঢাকবে কি?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:৩৯



ছাত্র-জনতার তাড়া খেয়ে আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেলে ছাত্র-জনতা তাদের সখের নৌকাখানা ডুবিয়ে দেয়। জলে ভিজে উঠে শরম ঢাকতে এখন তাদের গামছা প্রয়োজন।বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সন্তান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির নাতির আমেরিকার নাগরিকত্ব গ্রহন

লিখেছেন ধূসর সন্ধ্যা, ১৩ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:৫১



কয়েকদিন আগে বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে গর্ব করা সজিব জয় এখন মার্কিন নাগরিক। সারাদিন আমেরিকাকে গালি দিয়ে এখন সে হয়েছে আমেরিকার নাগরিক। ভন্ডামির সীমা কোথায়!

খবর থেকে - শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতের নেতৃত্ব কী কাঁঠালপাতা খাচ্ছে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:০৩



ভারতের এই কাঁঠালপাতা খেকো নেতৃত্ব তাদের দেশের ভিতর মুসলিম নির্যাতন, ওয়াকফ বিল অথবা অন্যকোন অপকর্মের কথা বললেই বলে এটা তাদের অভ্যন্তরীন বিষয় অথচ এরা প্রতিনিয়তই বাংলাদেশের অভ্যান্তরীন বিষয় নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×