দিনাজপুরে শহীদ মতিয়ার রহমানের জানাযা-দাফনে জনতার ঢল
জানাযা শেষে শহীদ মতিয়ার রহমান মতির দাফন চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর গ্রামের পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয়েছে।
সকাল থেকেই জানাযায় শরীক হতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষের ঢল নামে নশরতপুর ফকিরপাড়া হাফেজিয়া মাদরাসা অভিমুখে। সাড়ে ৯টা নাগাদ তিল ধারণের জায়গা ছিল না মাদরাসা মাঠে। কোন জানাযায় এতো লোক ওই এলাকার মানুষ আর কখনও দেখেনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সকাল সাড়ে ১০টায় জানাযা শুরু হয়। শেষে নিহত মতিয়ারের বাবা আব্দুর রহমান মোনাজাত পরিচালনা করেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার গভীর রাতে চিরিরবন্দরের রাণীরবন্দর ও নশরতপুর গ্রামে যৌথবাহিনীর অভিযানে গুলীবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় মতিয়ার রহমান মতি। গুলীবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার পর পুলিশ তাকে আটক করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় নেয়া হয়। কিন্তু পথিমধ্যেই মতি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। এরপর পুলিশের দায়িত্বহীনতার কারণে গত সোমবার দুপুর পর্যন্ত মতির লাশ দিনাজপুর থেকে বহন করা এ্যাম্বুলেন্সেই পড়ে ছিল। মৃত্যু সংবাদ পেয়ে মতির বাবা আব্দুর রহমানসহ পরিবারের লোকজন ঢাকায় গিয়ে লাশ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে দিনাজপুরে পৌঁছায়। এদিকে নিহতের বড় ভাই খোদা বক্স দিনাজপুর জেল হাজতে থাকায় দাফন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি। যে রাতে মতিয়ারকে গুলী করে পুলিশ হত্যা করে, সে রাতেই বড় ভাই ডা. খোদা বক্সকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলহাজতে নেয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৮