***
বোনের বাসায় যাই।মাঝপথে দোকানের
পাশে একটা ছোটখাট মাজার।লোকমুখে
শুনেছি,এখানে কোন মাজার ছিলনা।এক
পাগল অসুস্থ হয়ে এখানে পড়ে ছিল।বিনা
চিকিৎসায় পাগলটি একদিন মারা যায়।
দোকানের পাশেই কবর দেয়া হয় কিছু
দুষ্টলোকের বুদ্ধিতে।তারপর কবর পাকা
করে গিলাফ চড়ানো হয়।কিছুদিন পর রাতে
ওরস জমে,আঁতশবাজি হয়,গান-বাদ্য
হয়,জুয়ারীদের মেলা বসে।
আর যে রাতে ওরস হয় সেরাতে এলাকার
ভালোমানুষ পর্যন্ত ঘুমাতে পারেনা।
এখানে বাঁধা দেয়ার ক্ষমতা কারো নেই।
সমাজের নেতৃস্থানীয় লোকেরা এর সাথে
সম্পৃক্ত।তারা মাজার থেকে মোটা
অঙ্কের টাকা পায়।
এটাতো আমার এলাকার ঘটনা।এরকম বহু
মাজার রয়েছে বাংলাদেশের গ্রামে-
গঞ্জে,শহর-বন্দরে।এসব মাজারগুলোতে
শরিয়তবিরোধী বহু কর্মকান্ড সংগঠিত হয়।
অনেকে না জেনে মাজারে সেজদা করে
নিজের ঈমান হারায়।
এসব পাপ ও কূসংস্কারকে সমাজ থেকে
মুক্ত করতে হবে।এব্যপারে সচেতন
হবে,অন্যকে সচেতন করতে হবে।অন্যথায়
আল্লাহর আজাব আমাদেরকে গ্রাস করে
নেবে।সুতরাং শাস্তি আসার আখেই
জাগতে হবে,জাগাতে হবে।